সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতি ইরানের সমর্থনের কারণ কী?
-
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (বামে) ও সৌদি যুবরাজ (ডানে)
পার্সটুডে- আমওয়াজ মিডিয়া জানিয়েছে, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতি ইরানের সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নিরাপত্তা নির্ভরতা হ্রাস এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ।
এই ওয়েবসাইটটি বিশেষজ্ঞদের মতামত উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে লিখেছে, নতুন সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের ওপর রিয়াদের নির্ভরতা কমাতে পারে। একই সঙ্গে ইরানের জন্যও কৌশলগতভাবে আরও বৃহত্তর সুযোগ তৈরি করতে পারে। বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ইরানের পক্ষ থেকে এ চুক্তিকে স্বাগত জানানোর কারণ হলো তেহরান এটাকে যুক্তরাষ্ট্র-বহির্ভূত একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তোলার সুযোগ হিসেবে দেখছে।
আমওয়াজ মিডিয়া'র বিশ্লেষণ অনুযায়ী, সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তির প্রতি ইরানের সমর্থনকে তেহরানের বৃহত্তর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। ইরান একটি সমন্বিত আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়।
আঞ্চলিক নিরাপত্তার হিসাব-নিকাশে পরিবর্তন
ওয়েবসাইটটির বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, চীনের মধ্যস্থতায় ২০২৩ সালে ইরান–সৌদি সম্পর্ক পুনরায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমীকরণে একটি নতুন পরিবর্তনের পথ তৈরি করেছে। পাশাপাশি কাতারে ইসরায়েলি হামলা এবং বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের আগ্রাসী পদক্ষেপ এই অঞ্চলের দেশগুলোকে এই বাস্তবতার মুখোমুখি করেছে যে, তারা নিজেরাও সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা ধীরে ধীরে কমবে
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তান–সৌদি প্রতিরক্ষা চুক্তি সৌদি আরবকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর গভীর নিরাপত্তা নির্ভরতা থেকে ধীরে ধীরে মুক্ত হওয়ার সুযোগ দেবে।
ওয়াশিংটনের কোয়িন্সি ইনস্টিটিউটের উপ-প্রধান ট্রিটা পারসি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, স্বনির্ভর সৌদি আরব এবং স্বনির্ভর উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখাটা ইরানের পক্ষে বর্তমান পরিস্থিতির চেয়ে অনেক সহজতর হবে।#
পার্সটুডে/এসএ/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।