সিরিয়ায় শান্তি আনা ‘অসম্ভব ব্যাপার’: জাতিসংঘে রাশিয়া  
https://parstoday.ir/bn/news/world-i21190-সিরিয়ায়_শান্তি_আনা_অসম্ভব_ব্যাপার’_জাতিসংঘে_রাশিয়া
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে রাশিয়া বলেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনা এখন একরকম অসম্ভব ব্যাপার হয়ে পড়েছে। সিরিয়ায় সরকারি সেনাদের অবস্থানে মার্কিন বিমান হামলার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর রাশিয়া এ কথা বলল।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬ ০২:৪৭ Asia/Dhaka
  • ভিতালি চুরকিন
    ভিতালি চুরকিন

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে রাশিয়া বলেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনা এখন একরকম অসম্ভব ব্যাপার হয়ে পড়েছে। সিরিয়ায় সরকারি সেনাদের অবস্থানে মার্কিন বিমান হামলার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর রাশিয়া এ কথা বলল।

রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যকার সমঝোতা অনুযায়ী গত ১২ সেপেম্বর থেকে সিরিয়ায় নতুন করে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর খোদ আমেরিকা সিরিয়ার সেনাদের ওপর বিমান হামলা চালায়।

আজ (রোববার) অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন বলেন,  “সিরিয়াজুড়ে কয়েকশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৎপর। দেশটির ভেতের যার ইচ্ছা সেই বোমা মারতে পারে। সে কারণে সিরিয়ার ভেতরে শান্তি ফিরিয়ে আান প্রায় অসম্ভব কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে সংঘাত বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আজকের এ বৈঠক ডাকে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স। বৈঠকে চুরকিন বলেন, চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমেরিকা নিজেদের সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রথমত কথা ছিল- উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো থেকে মার্কিন মদদপুষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে আলাদা করা হবে এবং ভূমিতে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করা হবে। কিন্তু আমেরিকা তা করতে পারে  নি।

আলেপ্পোয় সামরিক অভিযানর বিষয়ে সিরিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে সমালোচনাকেও নাকচ করে দেন ভিতালি চুরকিন। তিনি বলেন, এ শহরের পূর্বাংশে ৩,৫০০ সন্ত্রাসী অবস্থান করছে যার মধ্যে জাবহাত ফাতেহ আশ-শাম বা সাবেক আন-নুসরা ফ্রন্টের সন্ত্রাসী রয়েছে ২,০০০। তারা ওই এলাকায় বেসামরিক লোকজনকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে এবং সরকারি সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা আবাসিক এলাকায় তারা নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

রুশ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‌আলেপ্পোর দু লাখ বাসিন্দাকে পণবন্দী করে রেখেছে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া, তাদের হাতে রয়েছে ট্যাংক, মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার ও গোলন্দাজ ব্যবস্থার মতো ভারী অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম। অবহেলার কারণে সন্ত্রাসীরা এসব অস্ত্র পেয়েছে অথবা কয়েকটি দেশের মাধ্যমে সরাসরি সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র পড়েছে। যারাই সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে এসব দেশ তাদেরকেই সমর্থন দিচ্ছে।

চুরকিন বলেন, “আমাদেরকে দেখতে হবে যে, অন্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো থেকে আন-নুসরা ফ্রন্টের সন্ত্রাসীদের আলাদা করে আমেরিকা তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে কিনা। তা না হলে আমাদের সন্দেহ আরো শক্ত হবে যে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আমেরিকা আন-নুসরা ফ্রন্টকে শক্তিশালী করছে।

আজকের বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূত সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি আবার কার্যকর করার আহ্বান জানান যাতে আলেপ্পোয় ত্রাণ বিতরণ করা সম্ভব হয়।#    

পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/২৬