ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার অবিশ্বাস্য জয়: ম্যাচসেরা মালিঙ্গা
https://parstoday.ir/bn/news/world-i71392-ইংল্যান্ডের_বিপক্ষে_শ্রীলঙ্কার_অবিশ্বাস্য_জয়_ম্যাচসেরা_মালিঙ্গা
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর লাসিথ মালিঙ্গা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। রোমাঞ্চকর এ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে চন্দিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
জুন ২১, ২০১৯ ২৩:৫৯ Asia/Dhaka
  • ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার উল্লাস
    ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কার উল্লাস

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পর লাসিথ মালিঙ্গা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। রোমাঞ্চকর এ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে চন্দিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।

লিডসের হেডিংলি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে লঙ্কানরা তোলে ২৩২ রান। ২৩৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৪৭ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের সংগ্রহ ২১২ রান।

টার্গেট মামুলি হলেও মালিঙ্গার তোপে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। দলীয় ২৬ রানেই দুই ওপেনারকে বিদায় করেন এ পেসার। এরপর জো রুটের সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নেয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। কিন্তু ইশুরু উদানার বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ইংলিশ অধিনায়ক। তাতে ম্যাচে ফিরে আসে লঙ্কানরা।

তবে চতুর্থ উইকেটে বেন স্টোকসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন দারুণ ছন্দে থাকা রুট। গড়েন ৫৪ রানের জুটি। এ জুটিও ভাঙেন মালিঙ্গা। তুলে নেন বিশ্বকাপে নিজের ৫০তম উইকেট। এরপর ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান জস বাটলারকেও তুলে নেন তিনি। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে শ্রীলঙ্কা। মালিঙ্গার তোপ শেষ না হতে ঘূর্ণি জাদু দেখান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৮ রানের ব্যবধানে তুলে নেন ৩ উইকেট। তখনই কার্যত জয় দেখতে শুরু করে লঙ্কানরা।

৮২ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি বেন স্টোকস

কিন্তু বেন স্টোকস শেষ দিকে প্রতিরোধ গড়ে লঙ্কানদের অপেক্ষা বাড়ান। মালিঙ্গার করা ৪৫তম ওভারে ক্যাচও তুলে দিয়েছিলেন। তবে অল্পের জন্য নাগাল পাননি কুশল মেন্ডিস। আঙুলে লাগলেও তালুবন্দি করতে পারেননি। তবে স্টোকস টিকে থাকলেও অন্য প্রান্তের উইকেট নিয়ে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা।

৮৯ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৮২ রানের হার না মানা দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন স্টোকস। ৮৯ বলে ৫৭ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেছেন রুটও। এছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান দায়িত্ব নিতে পারেননি।

লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নেন চারটি উইকেট। আর ম্যাচ সেরাও হলেন তিনি। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৮ ওভারে ৩২ রান দিয়ে পান তিনটি উইকেট। ইসুরু উদানা ৮ ওভারে ৪১ রানের বিনিময়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। নুয়ান প্রদীপ ১০ ওভারে ৩৮ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট।

লঙ্কানদের জয়ের নায়ক লাসিথ মালিঙ্গা

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলঙ্কার। দলীয় ৩ রানেই নেই দুই ওপেনার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আভিস্কা ফের্নান্ডোকে নিয়ে দলের হাল ধরেন কুশল মেন্ডিস। ৫৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন তারা। এরপর আভিস্কার বিদায়ের পর ম্যাথিউজের সঙ্গে আরও একটি ভালো জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস। স্কোর বোর্ডে ৭১ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান।

কুশল মেন্ডিসকে অধিনায়ক ইয়ন মরগানের তালুবন্দি করে এ জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। এমনকি পরের বলে জীবন মেন্ডিসকে আউট করে বড় চাপে ফেলে দেন লঙ্কানদের। এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন ম্যাথিউজ। ৫৭ রানের জুটি গড়েন তারা।

শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্যাথিউস। খেলেন ৮৫ রানের ইনিংস। ১১৫ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। উইকেটে নেমেই বেশ হাত খুলে ব্যাটিং করে মাত্র ৩৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৯ রান তোলেন আভিস্কা। কিছুটা ধীর গতিতে ব্যাট করে ১১০ বলে ৪৬ রান করেন কুশল মেন্ডিস। এছাড়া ধনাঞ্জয়ার ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।

ইংলিশ স্পিনার আদিল ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। মার্ক উড ৮ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নেন তিনটি উইকেট। জোফরা আর্চার ১০ ওভারে ৫২ রান খরচায় পান তিনটি উইকেট। ক্রিস ওকস ৫ ওভারে ২২ রান দিয়ে পান একটি উইকেট।

বিশ্বকাপের ২৭ নম্বর ম্যাচটি শেষে টেবিলের শীর্ষে ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে গতবারের ফাইনালিস্ট নিউজিল্যান্ড। হারলেও তিনেই রইল ইয়ন মরগানের ইংল্যান্ড। ইংলিশরা ৬ ম্যাচে তুলে নিয়েছে ৮ পয়েন্ট। চারে থাকা ভারত ৪ ম্যাচে পেয়েছে ৭ পয়েন্ট। শ্রীলঙ্কা ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে উঠে এলে। ৬ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ নেমে গেল ছয় নম্বরে। সাতে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৫ ম্যাচে সংগ্রহ ৩ পয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আটে। পাকিস্তান ৫ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে নয়ে আর ৫ ম্যাচের ৫টিতেই হারা আফগানিস্তান তলানিতে অবস্থান করছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।