নয়া দিল্লি-কাঠমান্ডু বিরোধ; নেপালের ক্ষোভের কারণ কী?
নেপাল বলেছে, তাদের ভূখণ্ডে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছে ভারত। এর প্রতিবাদে গতকাল (সোমবার) কাঠমান্ডুতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলবের পর নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক টুইট বার্তায় বলা হয়, ‘সীমান্ত ইস্যুতে নেপাল সরকারের অবস্থান ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন খাত্রাকে জানিয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদীপ কুমার গয়াল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রদূতকে এই বিষয়ে কূটনেতিক নোট দেওয়া হয়েছে।’
নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছে, ১৮১৬ সালের এক চুক্তির অধীনে লিপুলেখ পাসের অংশ বিশেষ নেপালের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু সেই অংশেই রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছে নয়া দিল্লি। এটিকে একতরফা সিদ্ধান্ত হিসেবে অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছে কাঠমান্ডু।
নেপাল সরকারের এক বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দুই দেশ এর আগে যে বোঝাপড়ায় পৌঁছেছিল তা মানা হচ্ছে না। ওই বোঝাপড়ায় সীমান্ত সংক্রান্ত ইস্যুগুলো পারস্পারিক আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করার কথা হয়েছিল।
লিপুলেখ পাসের যে অংশ নেপাল নিজের বলে মনে করে তা কালাপানি নামেও পরিচিত। তবে ১৯৬২ সালে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের সময় থেকে ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে ভারত সরকার।
হিমালয়ের ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় গত শুক্রবার ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রাস্তা নির্মাণের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এরপরই প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে নেপাল। এরইমধ্যে নেপালে ভারতের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে এবং নেপাল সরকার এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যেকোনো পর্যায়ে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অবশ্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাস্তাটি ভারতীয় ভূখণ্ডে নির্মাণ করা হচ্ছে। ওই রাস্তাটি কৈলাসের মানস সরোবর যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত সুগম করবে।#
পার্সটুডে/এসএ/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।