শ্রোতাদের মতামত
'পাশ্চাত্যে মাদকের অবাধ ব্যবহার ও পতিতাবৃত্তি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে'
প্রিয়জন, মহোদয় নমস্কার ও আদাব। আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা। ১৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের অনলাইন সংস্করণ পার্সটুডে ডটকমে আপলোড করা হয়েছে ধারাবাহিক আলোচনা ‘পাশ্চাত্য জীবন ব্যবস্থা’র ২৩তম পর্ব। এতে পাশ্চাত্য সমাজে মাদকাসক্তির বিস্তার এবং ব্রিটেনে পতিতাবৃত্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। পাশ্চাত্যে মাদকের অবাধ ব্যবহার ও পতিতাবৃত্তি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে।
সারা বিশ্বে যে হারে ৭-১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীরা মাদকাসক্তি আসক্ত হচ্ছে তা গোটা বিশ্বে জন্য উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয়। মাদক দ্রব্য বর্তমানে সারা পৃথিবীতে কম বেশি দেখা যায়। বর্তমান যুব সমাজ ধ্বংসের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে মাদক দ্রব্য। মাদকদ্রব্য গ্রহণ করা পর কিশোরা ভালো-মন্দ, সত্য-মিথ্যা না বুঝে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিযুক্ত হচ্ছে। তাই যুবসমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা জন্য পরিবার সমাজ রাষ্ট্রকে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রাচীনকাল থেকে পৃথিবীতে পতিতাবৃত্তির মতো ঘৃণ্য পেশা চালু হয়েছে। এর প্রধান কারণ হলো আর্থিক অনটন ও দারিদ্র। পার্সটুডের প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি যে, ব্রিটেনে পতিতাবৃত্তি ও মাদকখাতে অর্থ লেনদেনের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে বলে সেদেশের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে। এ কারণে জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর কয়েক বছর আগে এই খাতকে জাতীয় রাজস্বের অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটাকে তারা ‘ছায়া অর্থনীতি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। পাশ্চাত্যের এই ঘৃণ্য সংস্কৃতি এখন গোটা বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ছে।
সবশেষে, রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের সবাইকে আবারো ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মতামত এখানেই শেষ করলাম।
হরিদাস রায়
গ্রাম: মল্লিকাদহ বালাপাড়া, ডাকঘর: মল্লিকাদহ, উপজেলা: দেবীগঞ্জ, জেলা: পঞ্চগড়।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।