নভেম্বর ২৩, ২০২১ ১৮:৫১ Asia/Dhaka
  • ইরান নিয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২৩ নভেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা-স্মারকলিপি পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী -প্রথম আলো

  • আগামী বছর থেকে দেশেই টিকা উৎপাদন করতে পারবো: সালমান এফ রহমান -মানবজমিন
  • খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গ : স্বাস্থ্য না রাজনীতি?খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক সমকাল
  • ইরান নিয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র’-যুগান্তর
  • আইডিইএর প্রতিবেদন বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থার উপাধি ‘হাইব্রিড’, ‘কর্তৃত্ববাদী’-কালের কণ্ঠ

ভারতের শিরোনাম:

  • ভোটের মুখে পঞ্জাবে কেজরীবালের হাতে মমতার ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, লক্ষ্য নারী ক্ষমতায়ন-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • বাজপেয়ী-আডবানী ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্র কুলকার্নি তৃণমূলে? মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বাড়ল জল্পনা-সংবাদ প্রতিদিন
  • পুরভোটে হিংসা রুখতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ত্রিপুরা সরকার?‌ জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট–আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার প্রশ্ন (২৩ নভেম্বর)
১.খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা
আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বিএনপিপন্থি ১৫ আইনজীবী। আপনার কি মনে হয় যে, এতে কোনো সুরাহা হবে?
২.'আইএইএ যেন কিছু দেশের রাজনৈতিক লক্ষ্য হাসিলের হাতিয়ার না হয়’। ইরান কেন এ কথা বলছে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা-স্মারকলিপি পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী -প্রথম আলো

মানবিক কারণে চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধিদল। আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে ১৫ জন আইনজীবী মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই স্মারকলিপি দেন।

জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটি তারা পরীক্ষা করবেন এবং এ নিয়ে আলোচনা করবেন। যতটুকু গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

এর আগে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা স্মারকলিপিতে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১{ ১}–এর ধারা মতে সরকার যেকোনো সময় শর্তহীনভাবে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে বা ৪০১–এর ৬ উপধারা মোতাবেক বিশেষ আদেশ দিয়ে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে। স্মারকলিপি পড়ে সেটা আইনমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যসচিব মো. ফজলুর রহমান। এ সময় অন্য আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী বছর থেকে দেশেই টিকা উৎপাদন করতে পারবো: সালমান এফ রহমান -মানবজমিন

 

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেছেন, আগামী বছর থেকে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন শুরু করতে পারবো। তিনি বলেন, বেসরকারিভাবে ইনসেপ্টা ও বেক্সিমকো কাজ করলেও আরও কয়েকটি কোম্পানি টিকা উৎপাদন নিয়ে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে আন্তরিক। তিনিও চান দেশে টিকা উৎপাদন হোক। এজন্য যে কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এ অবস্থায় আমি বিশ্বাস করি, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশে টিকা উৎপাদন শুরু হবে।মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।টিকা উৎপাদন বিষয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি ওষুধ উৎপাদন কোম্পানি ইনসেপ্টা চীনের একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গ : স্বাস্থ্য না রাজনীতি?খোঁজ রাখছেন প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক সমকাল

আদালতের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়ার দাবিতে তার দল রাজপথের আন্দোলনে নেমেছে। সরকার বলছে, আইনের আওতায় তা সম্ভব নয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকদের বাইরে বিএনপি নেতারাও অনেক কথা বলছেন। গুরুতর আশঙ্কা ব্যক্ত করা হচ্ছে। তার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশে উত্তেজনার পারদ ওপরে উঠছে। সমকাল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় তরফ থেকে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি এ ব্যাপারে সর্বশেষ তথ্য জানার পাশাপাশি সংশ্নিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দিচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ ও সরকারের নীতিনির্ধারকদের কয়েকজন এমন তথ্য জানিয়ে সমকালকে বলেছেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে বর্তমান সরকার বেশ আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও এ বিষয়ে মানবতা দেখিয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতাবলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারামুক্তি দিয়ে বাসায় থেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।

বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে চিকিৎসার ব্যাপারে সর্বাত্মক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে তার চিকিৎসার দাবি করছে বিএনপি। কিন্তু আইনের বাইরে গিয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ নভেম্বর সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বলেছেন, সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি খালেদা জিয়ার জন্য যতটুকু করার ছিল, সেটা করেছেন। বাকিটুকু আইনের বিষয়। এ ব্যাপারে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক গত ১৬ নভেম্বর সংসদে বলেছেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে খালেদা জিয়াকে কারাগারে ফিরে যেতে হবে। সেইসঙ্গে নতুন করে আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন বিবেচনা করে দেখবে সরকার।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার পাশাপাশি সরকারের নীতিনির্ধারক মহল নিজেদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে নানামুখী আলাপ-আলোচনা করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর দু'জন সদস্য এবং মন্ত্রিসভার একজন প্রভাবশালী সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বিএনপির দাবি অনুযায়ী খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তাই তার কোনো অঘটন ঘটে গেলে সম্ভাব্য রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হতে পারে, সেটা নিয়েও আগাম চিন্তাভাবনা চলছে সরকার ও আওয়ামী লীগে। সে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রস্তুতিও রয়েছে। সেইসঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাৎক্ষণিকভাবে করণীয় বিষয়াদি নিয়েও অল্পবিস্তর আলোচনা হচ্ছে। সতর্ক দৃষ্টিও রয়েছে।

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করছেন। তারা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শীর্ষ পর্যায়ের চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন এবং সেই বোর্ড পরামর্শ দিতে পারে। কিন্তু বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, তারা এখন চিকিৎসক বনে গেছেন। খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বলে দাবি করছেন। অথচ এ বিষয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিংবা কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কিছু বলেননি। আগেও অসুস্থ হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তখনও বিদেশ না পাঠালে তাকে বাঁচানো যাবে না বলে দাবি করেছিল বিএনপি। অথচ দেশের হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এখনও বিএনপি সেই আগের মতো একই দাবি করছে। আসলে খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার দাবি তার স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, এই দাবি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে তার চিকিৎসার দাবিতে বিএনপির আন্দোলনের হুমকির বিষয়টি মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন। এর পাল্টা জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এক যুগের বেশি সময় ধরে আন্দোলন ও সরকার পতনের হুমকি দিয়ে আসছে বিএনপি। কিন্তু এ নিয়ে সরকার ও জনমনে কোনো উদ্বেগ কিংবা আগ্রহ তৈরি হয়নি।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা সমকালকে জানিয়েছেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার বিষয়টি মানবিকভাবেই দেখছে আওয়ামী লীগ। তবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার হিংসাত্মক ভূমিকার কথা ভুলে গেলে চলবে না। খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বাসায় নিয়ে চিকিৎসা করাতে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। অথচ ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন এই খালেদা জিয়াই। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার না করে খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল রশিদকে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসিয়েছিলেন। ২০০০ সালে কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রেখে এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছেন শেখ হাসিনাকে।

ইরান নিয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র’-যুগান্তর

মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরাইলের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। এর কারণ হলো— হিতে বিপরীত হতে পারে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা। এসব হামলার ফলে তেহরান আরও বাড়াতে পারে পরমাণু কর্মসূচির গতি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় মিডল ইস্ট আই।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের এ সতর্কতাকে পাত্তা দিচ্ছেন না ইসরাইলি কর্মকর্তারা।

এ সতর্কতাকে খারিজ করে দিয়ে ইসরাইলের কর্মকর্তারা বলছেন, ইরানের সামরিক স্থাপনায় এ ধরনের নাশকতা বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা ইসরাইলের নেই।

গত দুই বছরে ইরানের চারটি পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনায় হামলা এবং দেশটির প্রধান পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহকে হত্যার পেছনে ইসরাইলের গোয়েন্দাদের হাত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব হামলা সত্ত্বেও ইরান দ্রুতই তাদের পরমাণু কার্যক্রম শুরু করেছে। এমনকি পূর্বের চেয়ে তারা বেশি পরিমাণে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম সরঞ্জাম ব্যবহার করছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইরান সাইবার হামলা থেকে নিজেদের সুরক্ষায় ব্যাপক উন্নতি করেছে।  এর অর্থ হলো—  নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় হামলার মতো কিছু ঘটানো এখন আর সহজ হবে না। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মোকাবিলা করার বিষয়ে ইসরাইল ও আমেরিকান কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেক মতপার্থক্য বিদ্যমান, যার মধ্যে এটি একটি।

ওয়াশিংটন বারবার বলেছে, কূটনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ভালো পন্থা। অপরদিকে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতার বিরুদ্ধে নিজেদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছে ইসরাইল। ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াল হুলাতা রোববার বলেছিলেন, ইরানকে সুন্দরভাবে বললে তারা তাদের কর্মসূচি বন্ধ করবে না। জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থার ধারণা, ইরান ২০১৫ সালের চুক্তি ভঙ্গ করে তাদের পরমাণু কার্যক্রম আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ভোটের মুখে পঞ্জাবে কেজরীবালের হাতে মমতার ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, লক্ষ্য নারী ক্ষমতায়ন-আনন্দবাজার পত্রিকা

পাঞ্জাবে ক্ষমতায় এলে মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারের আদলে প্রকল্প আনবে আপ। মঙ্গলবার এমনটাই জানালেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পাঞ্জাব বিধানসভার নির্বাচন। সেই ভোটের আগে পাঞ্জাব সফরে এসে নারী ক্ষমতায় নিয়ে একাধিক কথা বলেন তিনি। বক্তৃতায় অরবিন্দ বলেন, ‘‘যদি পাঞ্জাবে আম আদমি পার্টি সরকার গঠন করতে পারে, তাহলে পাঞ্জাবের ১৮ ঊর্ধ্ব প্রত্যেক মহিলা মাসে ১০০০ টাকা করে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একটি পরিবারের যদি তিন জন মহিলা সদস্য থাকেন, তাহলে তিনজনের অ্যাকাউন্টে আলাদা আলাদা করে ১০০০ টাকা দেওয়া হবে। যে বয়স্ক মায়েরা বার্ধক্য ভাতা পান, তাদের বার্ধক্য ভাতার সঙ্গেও ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে।’’

কেজরীবাল দাবি করেছেন, পাঞ্জাব বা ভারত নয়, এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহিলা ক্ষমতায়নের কর্মসূচি হবে। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা ভোটের ইস্তাহারে লক্ষ্মীর ভান্ডার নামে একটি প্রকল্প চালু করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই এ কর্মসূচি চালু করতে উদ্যোগী হয় তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার। দুয়ারে সরকার প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে মহিলাদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেপ্টেম্বর মাস থেকে বাংলার মহিলাদের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে রাজ্য।

পুরভোটে হিংসা রুখতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ত্রিপুরা সরকার?‌ জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট–আজকাল

পুরভোটের আগে সরগরম ত্রিপুরা। তৃণমূলের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ত্রিপুরায় হিংসা রুখতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচনের দিন থেকে ফলপ্রকাশ পর্যন্ত নিরাপত্তার কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে ত্রিপুরার ডিজিপি এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরায় পুরভোটের দায়িত্বে কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

এদিন আদালতে তৃণমূলের আইনজীবী বলেছেন, ‘‌রাজনৈতিক কর্মী এবং তাঁদের বাড়ির মহিলা-শিশুদের ঘর থেকে বের করে এনে মারা হচ্ছে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে কীভাবে মানুষ ভোট দিতে বাড়ি থেকে বেরবেন? ১৭টি হিংসার ঘটনা। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’‌

প্রসঙ্গত, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে। এদিকে গত দু-‌তিন দিন ধরে একাধিকবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ত্রিপুরা। শনিবার ফিরহাদের সভায় লাইট বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। রবিবারও তৃণমূল নেতাদের হোটেলে পুলিশ হানা দেয়। তারপর সায়নীকে গ্রেপ্তার। এই সব ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। এবার সেই নিয়েই কড়া মনোভাব স্পষ্ট করল দেশের শীর্ষ আদালত। আজ বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

বাজপেয়ী-আডবানী ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্র কুলকার্নি তৃণমূলে? মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের পরই বাড়ল জল্পনা-সংবাদ প্রতিদিন

এবার কি তৃণমূলের পথে অটলবিহারী বাজপেয়ী-লালকৃষ্ণ আডবানী-নীতিন গড়কড়ি ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্র কুলকার্নি ? মঙ্গলবার দিল্লিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পরই বেড়েছে জল্পনা। যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। আর সুধীন্দ্র কুলকার্নির প্রতিক্রিয়া, “এই সাক্ষাতের অর্থ আপনারাই বুঝে নিন।” দিল্লির ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজনৈতিক কৌশলীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

এদিকে জল্পনা সত্যি করে এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন জেডিইউর প্রাক্তন সাংসদ পবন ভার্মা। দলবদলের পরই তিনি জানালেন, “দলনেত্রী যে দায়িত্ব দেবেন তাই পালন করব। ২০২৪ সালে দিদি দিল্লির ক্ষমতা সামলাতেই পারেন। “চারদিনের সফরে দিল্লি এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ক’দিন ঠাসা রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।  সেই সফরের দ্বিতীয় দিনে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব-জাভেদ আখতার এবং সুধীন্দ্র কুলকার্নি। ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১ ঘণ্টা কথাবার্তা হয়। তবে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, বর্তমান সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। রাজনৈতিক মহলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোর বিরোধী হিসেবে পরিচিত সুধীন্দ্র।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ