ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর
বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বৃদ্ধিতে চিন্তিত নয় ভারত!
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম :
- সুবর্ণ জয়ন্তীর কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিলেন রামনাথ -দৈনিক কালেরকণ্ঠ
- মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রথম আলো
- বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বৃদ্ধিতে চিন্তিত নয় ভারত- দৈনিক মানবজমিন
- বিশ্বজুড়ে ২০২১ সালে ৪৬ সাংবাদিক নিহত, কারাগারে ৪৮৮: আরএসএফ: যুগান্তর
- ভারতের প্রতিবেশী নীতিতে 'বিশেষ স্থানে' বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ -দৈনিক ইত্তেফাক
- আবারও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবো’ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- আপনাদের আত্মত্যাগই আমাদের অনুপ্রেরণা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ মমতার -আনন্দবাজার পত্রিকা
- ছেলের অপরাধে বাবাকে শাস্তি নয়, লখিমপুর কাণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের পাশে বিজেপি- প্রতিদিন
- কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি খারিজ, কলকাতা পুরভোটে রাজ্য পুলিশেই আস্থা হাইকোর্টের ’ আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার প্রশ্ন (১৬ ডিসেম্বর)
১. জনাব, সিরাজুল ইসলাম… মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয়ের ৫০তম পূর্তি উদযাপন করা হচ্ছে। পত্র-পত্রিকাগুলো উন্নয়নের নানারকম ফিরিস্তি তুলে ধরেছে। কীভাবে দেখছেন বাংলাদেশের উন্নয়নকে?
২. আরবরা লেবাননের জন্য দরজা বন্ধ করেছে, উন্মুক্ত করেছে ইসরাইলের জন্য -এ কথা বলেছেন লেবাননের স্পিকার নাবিহ বেরি। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রথম আলো
র্যাবের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের কাছে তুলে ধরেছি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ফোন কলটা হয়েছিল। আলোচনার জন্য। এ সময় সাংবাদিকেরা জানতে চান, র্যাবের নিষেধাজ্ঞার তুলে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কি না? এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমিও এ নিয়ে বলিনি। উনিও বলেন নি।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ব্লিঙ্কেন মুঠোফোনে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় ৩০ মিনিটের আলোচনায় আগামী বছর সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দুই দেশের সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তাঁরা কথা বলেন। এ সময় র্যাব এবং র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি তোলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দেন। বাংলাদেশের কোনো বিষয়ে প্রশ্ন থাকলে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে ফোনে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনকে অনুরোধ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
সুবর্ণ জয়ন্তীর কুচকাওয়াজে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, যোগ দিলেন রামনাথ -দৈনিক কালেরকণ্ঠ
আজ সেই ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালির যুদ্ধজয়ের উচ্ছ্বাস আর আত্মপরিচয় পাওয়ার দিন। অসীম রক্তের বদলে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তির দিন। আর এই বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ কুচকাওয়াজ চলছে। সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত হয়েছেন। বিশেষ কুচকাওয়াজে যোগ দিয়েছেন ঢাকা সফররত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ ৮টি দেশের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা এ কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন। রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
এর আগে সূর্যোদয়ের সময় ঢাকার তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা হয়। সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়ছে। সন্ধ্যায় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে ভবনগুলো। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন পতাকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।

বিজয় দিবসের ঊষালগ্নে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রথমে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
সকাল ৭টা থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, বিএনপি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাসদ, বাসদ ও ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দলে দলে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।
এ সময় ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সব বয়সী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের দেওয়া ফুলে ফুলে ভরে ওঠে স্মৃতিসৌধের বেদি। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে পরিবার-পরিজনকে নিয়ে অনেকে সাভার স্মৃতিসৌধে যান।
ভারতের প্রতিবেশী নীতিতে 'বিশেষ স্থানে' বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ -দৈনিক ইত্তেফাক
ভারতের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতিতে বাংলাদেশের একটি অনন্য স্থান রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেছেন। এ সময় দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে যৌথ উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন এই দুই নেতা।
ভারতের রাষ্ট্রপতি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং তাঁর স্ত্রী রাশিদা হামিদ তাকে স্বাগত জানান। পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠকে বসেন তাঁরা। ভারতকে বাংলাদেশের খুব কাছের ও বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বর্ণনা করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সার্বিক সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি এবং দেশটির সরকার ও জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
এক টুইট বার্তায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘বঙ্গভবনে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দকে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সার্বভৌমত্ব, সমতা, আস্থা এবং বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং কৌশলগত অংশীদারিত্ব সম্প্রসারণ করা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।’
ভারতের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বৈঠকে রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতিতে বাংলাদেশের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব সবচেয়ে ব্যাপক এবং বিস্তৃত। একই সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সবচেয়ে জটিল দিকগুলো মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট পরিপক্ক।’
আবারও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবো’ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আবারও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবো এবং দেশকে মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ। বৃহস্পতিবার মহান বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একথা জানান তিনি।

ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার যে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ পরিচালনা করছে তাতে দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। আবারও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবো এবং দেশকে মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা এসে তাদের শ্রদ্ধা জানাই। যে লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম তা আজও অর্জন হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার, গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার। কিন্তু আজকে এই আওয়ামী সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে বিরোধী দলকে নির্মূল করছে।
বেগম খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশ নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় ঝুলিয়ে দিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। জিয়া আজকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। সরকার তার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থাও নিচ্ছে না।
বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বৃদ্ধিতে চিন্তিত নয় ভারত- দৈনিক মানবজমিন
প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ-ভারত পারস্পরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন সফররত দিল্লির বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। একই সঙ্গে তিনি এ খাতের যৌথ উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার তাগিদ দিয়েছেন। ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দের ঢাকা সফরের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার রাতে হোটেল সোনারগাঁয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে ভারতীয় হাই কমিশন।
বাংলাদেশের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির কোন প্রস্তাব আছে কী-না? এমন প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পঞ্চাশ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি রয়েছে। ওই এলওসির আওতায় কিছু প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সামনের দিনে আমরা দেখব, কিছু সমরাস্ত্র ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি হচ্ছে।তিনি বলেন, দুই দেশের সামরিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণ হোক বা বিনিময় হোক অথবা যৌথ উৎপাদন, পুরো প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি দেখতে চায় ভারত।কোয়াডে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, কোয়াড মূলত অবাধ মুক্ত ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জোট।এটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে করোনা মোকাবিলা ও টিকা নিয়ে কাজ করেছে। যদিও কোয়াড চার দেশের একটি ঐক্য। তারপরও এ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশকে এর পাশে চাই আমরা। এ ইস্যুতে ঢাকা যে সিদ্ধান্তেই উপনীত হোক না কেন, তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা থাকবে।

বাংলাদেশে চীনের ক্ষমাগত প্রভাব বাড়ার প্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা নাচক করেন সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক ইউনিক। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, ভাষা, সংস্কৃতিসহ বহু উপাদানে এই রকসলিড রিলেশনশিপ মজবুত ভিত্তি পেয়েছে। সম্প্রতি র্যাবের প্রতি মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা বাংলাদেশ- ভারত সম্পর্ক নিয়েই ভাবি। এটি তৃতীয় একটি দেশের সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বৈঠকে সকল বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু গোপনীয়তার স্বার্থে সবকিছু বলা যাচ্ছে না। তবে, আলোচিত বিষয়গুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশ ও ভারত ঐক্যমতে রয়েছে।সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তিনি বলেন, বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আরও ভালো সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি কবে হতে পারে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জলবিদ্যুতের এ বিষয়টিতে বিদ্যুৎ বাণিজ্য নীতি নিয়ে কাজ করছে ভারত। ভুটান বা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে বিধি সংক্রান্ত কোন জটিলতা নেই। এখানে মূল সমস্যা হচ্ছে, বিদ্যুৎ রপ্তানিতে সঞ্চালন লাইন তৈরি। তা নিয়ে বর্তমানে কাজ করছে ভারত। এ খাতে দেশগুলোর সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের সম্পর্কে কী গুরুত্ব পাবে এই প্রশ্নের উত্তরে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, দুই দেশের সম্পর্কে সবুজ বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন, তরুণদের জন্য আরও কর্ম সংস্থান তৈরির মতো বিষয়গুলো দুই দেশের সম্পর্কে প্রাধান্য পাবে।দ্বিপক্ষীয় যৌথ পাইপলাইন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে অভূতপূর্ব পাইপলাইন তৈরি হতে যাচ্ছে। যা দিয়ে ভারতের এক অংশ থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অন্য অংশে হাই স্পিড ডিজেল প্রেরণ করা হবে। আশা করছি আগামী বছরে পাইপলাইনের উদ্বোধন করা হবে।
আপনাদের আত্মত্যাগই আমাদের অনুপ্রেরণা, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ মমতারআনন্দবাজার পত্রিকা
বিজয় দিবসের সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতীয় সেনাদের শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির দিনে মমতার টুইট-বার্তা, ‘সকলেরই মনে আছে, ১৯৭১ সালে কি সাহসের সঙ্গে বীর যোদ্ধারা লড়েছিলেন। আপনাদের আত্মত্যাগকে আমরা কুর্নিশ জানাই। তা ছাড়া, এই কৃতিত্ব আমাদের সেনাবাহিনীর অবদানও স্মরণ করছি। আপনাদের বীরত্ব আজও আমাদের অনুপ্রেরণা।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদ সেনানীদের শ্রদ্ধা জানান। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরের বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বুধবার ঢাকায় গিয়েছেন। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের আমন্ত্রণেই ‘বিশেষ অতিথি’ হিসেবে তাঁর এই সফর।
কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি খারিজ, কলকাতা পুরভোটে রাজ্য পুলিশেই আস্থা হাইকোর্টের ’ আজকাল
রাজ্য পুলিশ দিয়েই হবে কলকাতার পুরভোট। বিজেপির কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। নিরাপত্তার বিষয়ে রাজ্য পুলিশের ওপরেই আস্থা দেখাল হাইকোর্ট। কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গল বেঞ্চ। জানা যাচ্ছে, হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে বিজেপি।

কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু সেই আবেদন শোনেনি শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টে বিষয়টি আলোকপাত করতে বলা হয়। এই মামলায় আজ বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এই নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি খারিজ করা হলেও হাইকোর্ট এর আগেই নির্দেশ দিয়েছে ১০০ শতাংশ বুথে সিসিটিভি থাকতে হবে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি খারিজ করে দেওয়ায় মোটেও খুশি নয় গেরুয়া শিবির। জানা যাচ্ছে, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করতে পারে বিজেপি।
ছেলের অপরাধে বাবাকে শাস্তি নয়, লখিমপুর কাণ্ডে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের পাশে বিজেপি- প্রতিদিন
বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও লখিমপুর কাণ্ডে (Lakhimpur Kheri Incident) উত্তাল হয়েছে সংসদ। ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর (Union Minister Ajay Mishra) পদত্যাগের দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী-সহ (Rahul Gandhi) বিরোধীরা। এবার বিরোধীদের চাপের মুখেও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল বিজেপি। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতাদের অনেকেরই বক্তব্য, ছেলের অপরাধে বাবার শাস্তি হতে পারে না।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ গঠিত সিটের রিপোর্টের পর থেকে চাপে রয়েছে বিজেপি। যেখানে বলা হয়েছে লখিমপুরের ঘটনা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এরপর আদালত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ‘খুনের চেষ্টা’র মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছে। অন্যদিকে সংসদে লখিমপুর কাণ্ডে লাগাতার প্রবল চাপ তৈরি করেছে কংগ্রেস-তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। সূত্রের খবর, এর পরেও গেরুয়া শিবিরের প্রবীণ নেতারা অজয় মিশ্রকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করার পক্ষপাতী নন। তবে গতকাল লখিমপুর খেরিতে অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে যে আচরণ করেছেন, তা ঠিক হয়নি বলেই মনে করছে দল।
পার্সটুডে/বাবুল আখতার/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।