ঢাকা ও কোলকাতার পত্রপত্রিকার সব গুরুত্বপূর্ণ খবর
সেসব নেতার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো, যারা নিজেদের দেশবাসীর অধিকারকে সম্মান করে না: ব্লিনকেন
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২৬ ডিসেম্বর রোববারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম :
- সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন, ৮৪ বার পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
- স্বামী-সন্তানসহ ‘বন্দিজীবন’ ভুক্তভোগী নারীর-প্রথম আলো
- লঞ্চে আগুন: ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট-দৈনিক ইত্তেফাক
- সেসব নেতার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো, যারা নিজেদের দেশবাসীর অধিকারকে সম্মান করে না: ব্লিনকেন-- দৈনিক মানবজমিন
- বাঁশি শুনলেই রাস্তায় নেমে যেতে হবে: ভিপি নুর: যুগান্তর
- ভীতি ছড়াচ্ছে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড; আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা প্রবর্তন জরুরি-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
ভারতের শিরোনাম:
- আফস্পা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে পদক্ষেপ? নাগাল্যান্ড নিয়ে বৈঠকের পরই বড় সিদ্ধান্ত অমিত শাহর- প্রতিদিন
- কেন্দ্রের সুশাসনের তালিকায় সবার শেষে বাংলা! ফার্স্টবেঞ্চে মোদির গুজরাট’ আজকাল
-
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নবান্ন-রাজভবন সঙ্ঘাত চরমে, কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ধনখড়ের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
শ্রোতাবন্ধুরা!
শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার প্রশ্ন (২৬ ডিসেম্বর)
১. কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগন্নাথদিঘি ইউনিয়নের একটি ভোটকেন্দ্র থেকে সাংবাদিকদের বের হয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের উপপরিদর্শক চিরঞ্জীব বড়ুয়া। কী বলবেন বিষয়টি নিয়ে?
২. রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলছেন- মহানবী (স)-কে অবমাননা ধর্মীয় স্বাধীনতার লঙ্ঘন। পুতিনের এই কথা বলার কারণ কী এবং এই বক্তব্যের গুরুত্বটা কী?
স্বামী-সন্তানসহ ‘বন্দিজীবন’ ভুক্তভোগী নারীর-প্রথম আলো
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টের কাছে ছয়তলা ভবনে ট্যুরিস্ট পুলিশের কার্যালয়। ভবনের তিনতলার একটি কক্ষে চারদিন ধরে অনেকটা ‘বন্দিজীবন’ কাটাচ্ছেন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা নারী। সঙ্গে আছেন আট মাস বয়সী সন্তান ও তাঁর স্বামী।
ট্যুরিস্ট পুলিশের দাবি, তাঁদের ‘বন্দী’ করে রাখা হয়নি। নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য তাঁদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁদের ঠিকমতো খাবারদাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এর আগে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়।
দুই দিন ধরে ধর্ষণের শিকার নারী ও তাঁর স্বামীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালান প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক। কিন্তু ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়া যায়নি।কারণ জানতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, তাঁরা বিশ্রামে আছেন, কথা বলতে হলে সময় লাগবে। তবে একসঙ্গে কয়েকজন সাংবাদিকের সামনে তাঁদের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে। তখন সবকিছু জানা যাবে।
তবে মুঠোফোনে ওই নারীর স্বামী বলেন, ঘটনার (২২ ডিসেম্বর রাতে) পর থেকে তাঁদের তিনজনের গোসল হয়নি। ঠিকমতো ঘুম ও খাওয়াদাওয়া হচ্ছে না। কোলের শিশুটা অসুস্থ। কিন্তু নিরাপত্তার কথা বলে তাঁদের ছাড়া হচ্ছে না। তবে এ কথাও সত্যি, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসী আশিকের শক্তিশালী বাহিনী আছে শহরে। সে দিক বিবেচনা করে তাঁরাও এখানে থেকে যেতে রাজি হয়েছেন। ‘কিন্তু এভাবে কত দিন! আমরা বাড়ি ফিরতে চাই,’ ওই নারীর স্বামীর কণ্ঠে আকুতি।
২২ ডিসেম্বর বিকেলে স্বামী ও শিশুসন্তানকে নিয়ে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে নামেন ওই নারী। বালুচর দিয়ে হেঁটে পানির দিকে নামার সময় তাঁর স্বামীর সঙ্গে সামান্য ধাক্কা লাগে আশিকের। এর জের ধরে সন্ধ্যায় পর্যটন গলফ মাঠ এলাকা থেকে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যান আশিক। প্রথমে ঝুপড়ি একটি চায়ের দোকানে, পরে কলাতলীর একটি হোটেলে ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
পরের দিন ২৩ ডিসেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মো. আশিক (২৮), মো. বাবু (২৫), ইসরাফিল হুদা জয় (২৮) ও রিয়াজ উদ্দিন ওরফে ছোটন (৩০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
অবশ্য ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ রোববার তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে তাঁরা কেউ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। গ্রেপ্তার তিনজন হলেন—শহরের দক্ষিণ বাহারছড়ার রেজাউল করিম সাহাবুদ্দিন (২৫), চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের উলুবুনিয়ার মামুনুর রশিদ (২৮) ও পশ্চিম বাহারছড়া এলাকার মেহেদী হাসান (২৫)।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে করলে তাঁরা (ওই নারী ও তাঁর স্বামী) চলে যেতে পারেন। আমাদের দায়িত্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।’
পুলিশ জানায়, হোটেল কক্ষে নারীকে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া রিয়াজ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ট্যুরিস্ট পুলিশ। গত শনিবার বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ট্যুরিস্ট পুলিশ। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিয়াজ উদ্দিন হোটেল জিয়া গেস্ট ইনের ব্যবস্থাপক।
বাঁশি শুনলেই রাস্তায় নেমে যেতে হবে: ভিপি নুর: যুগান্তর
অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবাইকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, সরকার মাফিয়া হয়ে গেছে। মানুষের ওপর নানা অন্যায়, অবিচার, গুম, খুন ও অত্যাচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। যার যার অধিকার আদায়ে কাজ করতে হবে। অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবাইকে মাঠে নামতে হবে।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক মানববন্ধনে নুর এসব কথা বলেন।
সাবেক ডাকসু ভিপি বলেন, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে দেশ থেকে বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশের আপামর জনসাধারণের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার বাঁশি শুনলেই রাস্তায় নেমে যেতে হবে।
নুর বলেন, ছুটি কাটাতে এসে রাস্তায় দাঁড়াতে হয় এমন একটি দেশের নাগরিক আমাদের প্রবাসীরা। একটা টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে না। বিমানের টিকিট পর্যন্ত পাচ্ছেন না প্রবাসীরা। এ জন্য তারা এখানে দাঁড়িয়েছেন। অথচ এই দায়িত্ব ছিল সরকারের। কেন তাদের এখানে দাঁড়াতে হবে?
‘দুর্নীতি, লুটপাট করে বিপদে পড়ে সরকার এখন জনগণের পকেট কেটে টাকা আদায় করছে। টিকিট পাচ্ছে না। এ জন্য সারা দেশ থেকে তারা এখানে এসেছেন।’
তিনি বলেন, আমাদের প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা করোনার সময় কীভাবে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন আমরা সবাই জানি। তাদের গোসল, খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। টিকার অভাবে অনেকের টিকিট বাতিল হয়ে গেছে। একটা টিকিটের প্রক্রিয়া সরকার ঠিকমতো করতে পারেনি।
এ সময় প্রবাসীদের অধিকার বিষয়ে নানা প্রশ্ন তুলে ভিপি নুর বলেন, বিদেশে মারা গেলে লাশ আনতে হবে এ দাবি কেন জানাতে হবে সরকারকে? প্রবাসীর সাহায্য করতে বারবার প্রেসক্লাবে এসে দাঁড়াতে হবে কেন? এগুলো তো সরকারের দায়িত্ব। দেশে ছুটি কাটাতে এসে তাদের দাবিদাওয়া জানাতে হচ্ছে।
২০০৮ সাল থেকে একটা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের নামে ক্ষমতায় এসেই সরকার পরিকল্পিতভাবে চৌকস সেনা অফিসারদের হত্যা করেছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগের লোকজন সিলেট, কক্সবাজারে ধর্ষণ ও হত্যা করছে। ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত কথা শুনেছি অভিজ্ঞদের কাছে। এখন সেটি দেখতে পাচ্ছি।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. কবীর হোসেন জানান, সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ বাংলাদেশি নাগরিক বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছেন, যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ। কিন্তু প্রবাসীরা বরাবরই বঞ্চিত।
এ সময় তিনি প্রবাসীর জন্য বেশ কিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো— প্রবাসে মারা যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের মৃতদেহ রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে আনা, প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, বিমানবন্দরে প্রবাসী হয়রানি বন্ধ করা, প্রবাসীদের জন্য যুগোপযোগী দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন ও পেনশন সুবিধা প্রদান, পাসপোর্ট সংশোধনের সুযোগসহ দালালমুক্ত পাসপোর্ট ও দূতাবাস নিশ্চিত করা, জাতীয় বাজেটে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা, বিদেশে কাগজপত্রবিহীন প্রবাসীদের বৈধকরণে সরকারি সহায়তা, বিদেশে প্রবাসীদের জন্য পর্যাপ্ত বাংলাদেশি দূতাবাস ও শ্রমকল্যাণ উইং
সেসব নেতার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো, যারা নিজেদের দেশবাসীর অধিকারকে সম্মান করে না: ব্লিনকেন-- দৈনিক মানবজমিন
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ১৪ই ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে একটি ভাষণ দেন। ওই ভাষণের উল্লেখযোগ্য অংশ রবিবার ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে শেয়ার করা হয়েছেঃ যুক্তরাষ্ট্র ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অবাধ ও উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবে যেখানে সমস্যার নিরসন করা হবে খোলামেলাভাবে, নিয়ম-নীতি পালিত হবে স্বচ্ছভাবে ও প্রয়োগ করা হবে ন্যায়সঙ্গতভাবে এবং মালামাল, ধারণা ও মানুষ অবাধে স্থল, সাইবার পরিসর ও উন্মুক্ত সমুদ্র জুড়ে চলাচল করতে পারবে।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যা ঘটবে তার মধ্য দিয়েই একবিংশ শতাব্দীর বৈশ্বিক গতিপথ তার রূপ পাবে। গত পাঁচ বছরে পরিচালিত বিশ্ব অর্থনীতির ৬০ শতাংশ ও সমস্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুই-তৃতীয়াংশই এ অঞ্চলের সাথে সম্পৃক্ত।উল্লেখ্য, ওই ভাষণে অ্যান্টনি ব্লিনকেন আরো বলেছিলেন- আমরা সেইসব নেতার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো, যাঁরা নিজেদের দেশবাসীর অধিকারকে সম্মান করে না, যা এখন আমরা বার্মায় দেখতে পাচ্ছি। লাগামহীন হিংসা, অন্যায়ভাবে আটকে রাখা ব্যক্তিদের মুক্তি, অবাধ চলাফেরা, বার্মাকে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে আমাদের সহযোগী ও অংশীদারদের নিয়ে একযোগে চাপ তৈরি করে যাব।
লঞ্চে আগুন: ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট-দৈনিক ইত্তেফাক
এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনে নিহতদের পরিবারকে ৫০ লাখ ও গুরুতর আহতদের ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে রিটে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি। আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে নৌ-পরিবহন সচিব, বিআইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যান এবং লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখকে। গত বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। এতে ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটে।
সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন, ৮৪ বার পিছিয়ে নতুন তারিখ নির্ধারণ-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ছিল আজ। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ২৬ জানুয়ারির মধ্যে তা জমা দিতে বলে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। এ নিয়ে তা ৮৪ বারের মতো পেছাল।
আজ রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করে এ ঘোষণা দেন। তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় নতুন তারিখ ধার্য করা হয়। এর আগে তদন্ত শেষ করতে বিলম্ব করায় এর আগে দুটি পৃথক আদালত অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ভীতি ছড়াচ্ছে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড; আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা প্রবর্তন জরুরি-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
নৌপথে হাজার হাজার যাত্রীর জীবন নিরাপত্তাহীন। নদী পথে নৌযানে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে নেই কোনো ব্যবস্থা। মান্দাতা আমলের প্রযুক্তি দিয়ে চলছে যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌযানগুলো। অগ্নিনির্বাপণে নৌ শ্রমিকদেরও নেই কোনো প্রশিক্ষণ। এ কারণে নৌযানে দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় বহু মানুষের। বিশেষ করে ঝালকাঠীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জনের মৃত্যুর ঘটনা ভাবিয়ে তুলছে সংশ্লিষ্টদের। নৌযানে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা প্রবর্তন এখন সময়ের দাবি বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
আধুনিক ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি নৌ শ্রমিকদের অগ্নিনির্বাপণে প্রশিক্ষিত করার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা। এদিকে সব নৌযানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান।
বরিশাল সহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানী ঢাকায় যেতে নৌ পথ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন এসব অঞ্চলের লাখো যাত্রী যাতায়াত করেন নৌপথে। বরিশাল-ঢাকা, পটুয়াখালী-ঢাকাসহ অন্যান্য রুটে চলাচলকারী নৌযানগুলো সাজসজ্জায় আধুনিক এবং বিলাসবহুল। বরিশাল-ঢাকা রুটের অনেক নৌযানকে ‘জলের মধ্যে ৫ তারকা হোটেলে’ সাথে তুলনা করে সম্প্রতি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ। বিলাসী সেবা দেয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচে যাত্রীবাহী নৌযান নির্মাণ করা হলেও যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তায় কোনো ব্যবস্থা নেই নৌযানগুলোতে। বিশেষ করে যাত্রী ও পন্যবাহী নৌযানে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাই নেই তাদের হাতে। মান্দাতা আমলের ফায়ার স্টিউঙ্গুসার, বালুর বালতি এবং হোসপাইপ অগ্নিনির্বাপণের একমাত্র ভরসা নৌযান শ্রমিকদের। এসব সরঞ্জামাদি দিয়ে ছোট-খাটো আগুন নেভানো সম্ভব হলেও বড় ধরনের আগুন নিয়ন্ত্রণে নিজস্ব কোনো ব্যবস্থাই নেই নৌযানগুলোতে।
যাত্রী এবং নৌযান শ্রমিকদের জীবন রক্ষায় এখনই আধুনিক প্রযুক্তি প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছেন বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. মজিবর রহমান। আধুনিক প্রযুক্তি থাকলে নৌযানের আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন একই রুটের এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের প্রথম শ্রেণির মাস্টার মো. শামীম আহমেদ। একই সাথে নৌযান শ্রমিকদের অগ্নিনির্বাপণের বিষয়ে প্রশিক্ষণও জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন তারা।
ঝালকাঠীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে ৪১ জন মানুষের মৃত্যু এবং শতাধিক মানুষের দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে নৌযান মালিকদের। এ ধরনের ঘটনা রোধে ফায়ার সার্ভিস এবং নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের সমন্বয়ে যুগপোযোগী কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি নৌযান শ্রমিকদের অগ্নিনির্বাপণে প্রশিক্ষিত করার উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থার পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘সব নৌযানে আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আছে। সব জাহাজে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামাদি এবং শ্রমিকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ থাকা বাধ্যতামূলক। কেউ নিয়মের ব্যত্যয় করলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঝালকাঠীতে অগ্নিকাণ্ডের শিকার ওই লঞ্চের দায়িত্বপ্রাপ্তদের গাফিলতি ছিলো উল্লেখ করে সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, ‘ওই ঘটনায় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝালকাঠিতে লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু এবং ২ শতাধিক যাত্রী দগ্ধ হয়েছে। এর আগে গত ১২ নভেম্বর ঝালকাঠীতে তেলের জাহাজে বিস্ফোরণে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ২০১৯ সালে বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে তেলের জাহাজে বিস্ফোরণে একজন নিহত এবং ৫ জন শ্রমিক দগ্ধ হয়।
কেন্দ্রের সুশাসনের তালিকায় সবার শেষে বাংলা! ফার্স্টবেঞ্চে মোদির গুজরাট’ আজকাল
রাজ্যগুলি কতটা সুশাসন দিতে পেরেছে? সুশাসন দিবসে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানত কৃষি, শিল্প-বাণিজ্য, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, পরিকাঠামো, আর্থিক পরিচালন ব্যবস্থা, সামাজিক ন্যায় ও উন্নয়ন, আইন ব্যবস্থা ও জননিরাপত্তা, পরিবেশ এবং জনমুখী শাসন-এই ১০টি বিষয় রাজ্যগুলির ফলের ভিত্তিতে ওই রিপোর্ট পেশ করা হয়। আর সেখানেই দেখা যায়, সুশাসনের নিরিখে প্রথম স্থানে গুজরাট, আর সবচেয়ে নীচে পশ্চিমবঙ্গ।
তুলনার ক্ষেত্রে সমতা আনতে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর মতো ১০টি রাজ্যকে রাখা হয়েছিল উন্নত শ্রেণিতে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গের মোট আটটি রাজ্যকে রাখা হয়েছিল অনুন্নত শ্রেণিতে। দেখা যায়, সুশাসনের তালিকায় গুজরাটের সূচক ১২.৩ শতাংশ বেশি বেড়ে প্রথম স্থান হয়েছে। অন্যদিকে, গোয়া ২৪.৭ শতাংশ বেড়ে দ্বিতীয় হয়েছে। কৃষি, শিল্প, জনস্বাস্থ্য জনপরিকাঠামো, আর্থিক পরিচালন ব্যবস্থায় ভাল ফল করায় দশম স্থান থেকে একলাফে দ্বিতীয় হয়েছে গোয়া। গুজরাট শিক্ষা, আইন ব্যবস্থা, সামাজিক ন্যায়, জনপরিকাঠামোয় ভাল ফল করায় প্রথম হয়েছে। তবে বেঁচে থাকা রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের আরও ৬.৬ শতাংশ সূচক কমেছে। যার ফলে তালিকার একেবারে শেষে জায়গা পেয়েছে এই রাজ্য। কেন্দ্রের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী শুধুমাত্র পরিকাঠামো এবং জনপরিষেবার ক্ষেত্রে ভাল ফল করেছে বাংলা।
আফস্পা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে পদক্ষেপ? নাগাল্যান্ড নিয়ে বৈঠকের পরই বড় সিদ্ধান্ত অমিত শাহর- প্রতিদিন
নাগাল্যান্ড (Nagaland) থেকে কি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা (AFSPA)? ডিসেম্বরের গোড়ায় জঙ্গি সন্দেহে সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের গুলিতে ১৩ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পরে জোরাল হয়েছে আফস্পা প্রত্য়াহারের দাবি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার নাগাল্যান্ড সরকারের তরফে জানানো হল, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল গঠন করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) নেতৃত্বে হওয়া একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্য়ানেলকে ৪৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
রবিবার একটি বিবৃতিতে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর একটি বৈঠক করেন অমিত শাহ। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেইফু রিও, উপমুখ্যমন্ত্রী ওয়াই প্যাটন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রমুখ।
ওই বৈঠকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরই ঠিক হয় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নতুন কমিটি গঠিত হবে। কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য নিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন নাগাল্যান্ড পুলিশের ডিজিপি ও রাজ্যের মুখ্য সচিব। ৪৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিতর্কিত ওই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব পেশ হয় নাগাল্যান্ড বিধানসভায়। অবশেষে সেই নিয়ে বৈঠকের পর কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা (AFSPA) প্রত্যাহারের দাবি আজকের নয়, দীর্ঘ সময়ের। সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তার নামে সেনাবাহিনী তাঁদের উপর অকথ্য নির্যাতন করে বলে প্রায়শয়ই অভিযোগ ওঠে।
উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নবান্ন-রাজভবন সঙ্ঘাত চরমে, কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ধনখড়ের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে সরানোর ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এ বার বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে নবান্নের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়ে পড়লেন ধনখড়। রাজ্যপালের সরাসরি হুঁশিয়ারি, তাঁর অনুমতি ছাড়া যত উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে, সব খতিয়ে দেখবেন তিনি। না হলে কঠোর পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।দার্জিলিং যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে রাজ্যপাল বেনজির হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘আমি সরকারকে বলেছি, আমার অনুমতি ছাড়া যত উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখব। না হলে আমাকে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি, শিক্ষামন্ত্রী আমার সঙ্গে কোনও আলোচনা করলেন না। বলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করে দেব! আপনি মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য কেন রাজ্যপালও করে দিন। তা হলে হয়তো আপনি শান্তি পাবেন। এই আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।’’
নবান্নের সঙ্গে রাজভবনের বিরোধ নতুন নয়। কিন্তু রবিবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে যে ভাবে তিনি সরাসরি আক্রমণ শানালেন, তাকে ‘অভূতপূর্ব’ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। প্রত্যাশিত ভাবেই রাজ্যপালের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্য সম্পাদক তথা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘জগদীপ ধনখড় এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন। আমার মনে হচ্ছে এতক্ষণ বিজেপি-র পথসভা শুনছি। রাজ্যপাল পদের গরিমা ধরে রাখুন, এটাই কাম্য।’#
পার্সটুডে/বাবুল আখতার/২৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।