মে ২৪, ২০১৬ ১৯:০৭ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক! আমাদের নিয়মিত অনুষ্ঠান কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি। আজ ২৪ মে মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতেই বাংলাদেশ ও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ দৈনিকের বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম। এরপর বাছাইকৃত কিছু খবরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

ঢাকা:

বাসা থেকে ডেকে পুলিশের সোর্সকে হত্যা- প্রথম আলো

মোসাদের নামে কল্পকাহিনী তৈরি করছে সরকার-রিজভী- যুগান্তর

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর তাণ্ডবের ক্ষত ক্রমেই বের হয়ে আসছে,নতুন আতঙ্ক ভাঙা বাঁধ- কালের কন্ঠ

নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন নিয়ে সংশয়- সমকাল

‘বিনাবিচারে ১৩ বছর বন্দি জবেদকে কেন ক্ষতিপূরণ নয়’-মানবজমিন

রায়পুরে ৪০ হাজার মেট্রিক টন সয়াবিন উৎপাদন-বাংলাদেশ প্রতিদিন

পরকীয়ার জের ধরে মনিরুল হত্যা, গ্রেফতার ৫- ইত্তেফাক

হাইকোর্টের নির্দেশনা মানতে সরকার বাধ্য : ড. কামাল- নয়া দিগন্ত

মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে সায়েম গ্রুপের এজিএম খুন!-মানবকন্ঠ

নরসিংদীতে চা দোকানিকে গলা কেটে হত্যা-ইনকিলাব

নিবন্ধিত সিম জালিয়াতি হলে গ্রাহক কতটা বিপদে পড়বে!-জনকন্ঠ

কোলকাতা:

প্রণবকে স্বাগত, কিন্তু এনএসজিতে ভারতকে ঢুকতে দিতে রাজি নয় চিন- আনন্দবাজার

অযৌক্তিক আক্রমণ নয় মমতাকে, সতর্কবার্তা সিপিএমকে- সংবাদ প্রতিদিন

-এইসময় অনলাইন

‌ ‌কাঠগড়ায় পাউরুটি, তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের- দৈনিক আজকাল

জেলায় জেলায় হাঙ্গামা, নানুরে গুলিতে মৃত ১-বর্তমান

পাঠক! শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশ ও ভারতের সবচেয়ে আলোচিত কয়েকটি খবরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

জঙ্গি হামলা ও হত্যা বেড়েই চলেছে-প্রথম আলো

মাসওয়ারি হিসাবে গত দেড় বছরে দেশে জঙ্গি হামলা ও হত্যার হার বেড়েছে। গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে চারটি হামলায় ১১ জন নিহন হন। এ বছরের একই সময়ে হামলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৩। নিহত হয়েছেন ১৪ জন।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যার মধ্য দিয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনা দেশে-বিদেশে আলোচনায় আসে। তবে ওই বছরের জুন ও জুলাই—দুই মাস হামলা ও হত্যার ঘটনায় বিরতি থাকলেও আগস্ট থেকে আবার শুরু হয়। বছরটির শেষ পাঁচ মাসে ২৫টি হামলায় নিহত হন মোট ১৯ জন। সেই হিসাবে গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি মে মাস পর্যন্ত গড়ে চারটি করে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কেবল গত মাসেই পাঁচটি হামলায় ছয়জন নিহত হন।

সব মিলিয়ে গত ১৬ মাসে ৪২টি হামলায় ৪৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ টিতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএল এবং ৮টিতে আল-কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশের (একিউআইএস) কথিত বাংলাদেশ শাখা আনসার আল ইসলাম দায় স্বীকার করেছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার কুষ্টিয়ায় বাউল অনুসারী হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক মীর সানাউর রহমান হত্যার ঘটনার দায়ও স্বীকার করেছে আইএস। তবে শুরু থেকেই সরকার জোরের সঙ্গে বলে আসছে, এ দেশে আইএস বা আল-কায়েদার অস্তিত্ব নেই। দেশীয় জঙ্গিরা এসব হামলায় জড়িত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি এখন আর এগুলো জঙ্গিরা করছে বলব না। এগুলো হচ্ছে টার্গেট কিলিং। একেকটা সাবজেক্ট নিয়ে আসছে আর টার্গেট কিলিং করছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্যই এগুলো করা হচ্ছে। আইএস-ফাইএস কিছুই নাই এ দেশে।’ এদিকে, দেশে এ ধরনের একের পর এক হত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিদেশি কূটনীতিকেরাও।

একই দিন সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ৩৭টি হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ২৫টির সঙ্গে সরাসরি জেএমবি (জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) জড়িত। আর আটটির সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (পরিবর্তিত নাম আনসার আল ইসলাম) এবং বাকি চারটির সঙ্গে অন্যান্য জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন জড়িত। এসব ঘটনায় আইএসের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

আমির হোসেন আমু বলেন, ওই ৩৭টি ঘটনার মধ্যে কেবল চারটি মামলার তদন্ত শেষ করে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে। দুটি মামলা বিচারাধীন আছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৪৬ জনকে। যাঁদের মধ্যে ৪৯ জন আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে ৩ মে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকও একই তথ্য দিয়েছিলেন। ওই দিন তিনি বলেন, ৩৭টি হামলার মধ্যে ৩৪টি ‘ডিটেক্টেড’ বা মূল রহস্য উদ্‌ঘাটিত হয়েছে। ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে পুলিশ সফল হয়েছে।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে একই কায়দায় হামলা-হত্যাকাণ্ড বন্ধ হয়নি; বরং বেড়ে চলছে। আর এসব হামলার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন ধর্মীয় ও গোষ্ঠীগত সংখ্যালঘুসহ ভিন্ন মতাবলম্বীরা। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামে হামলার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এসব হামলা ঠেকাতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এমনকি ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনারও সুরাহা করতে পারছে না তারা।

অবশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমরা এগুলো প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনীর রায় বহাল-ইত্তেফাক,প্রথম আলো, যুগান্তর, নয়া দিগন্তসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকের খবর

পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন তা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। তবে হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনাগুলোতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন।

রায়ে আদালত বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করা হলো। তবে হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনাগুলোতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিষয়গুলো জানা যাবে।

৫৪ ও ১৬৭ ধারা বিষয়ে রায়ের আলোকে ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রথম আলো

পরোয়ানা ছাড়া গ্রেপ্তার ও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ সংক্রান্ত ৫৪ ও ১৬৭ ধারা সংশোধনের নির্দেশনা দিয়ে উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন, তা যথাযথভাবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় এলে আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

‘ভূতের মুখে রাম নাম’-মানবজমিন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ বলেছেন, আসলাম চৌধুরী ও মোসাদ ইস্যুতে ইসলামপন্থি দলগুলোকে মাঠে নামার আহবান জানিয়েছেন মাহবুবুল আলম হানিফ। এ তো ভূতের মুখে রাম নাম। আওয়ামী সরকারের আমলে ইসলামের ওপর সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ একটি সুবিধাবাদী দল। প্রধানমন্ত্রী ওআইসি সম্মেলনে গেলেন না। অথচ একটি বেসরকারি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিদেশ গেলেন। আজ সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ ইসলামের নাম মুছে দিতে চায়। ইসলামপন্থি মানুষদের জঙ্গি বানিয়ে হয়রানি করছে। হেফাজতের ওপর আক্রমও করে বহু লোককে হত্যা করা হয়েছে। কত লোক হত্যা হয়েছে তা এখনও জানি না। তিনি বলেন, আসলাম চৌধুরী ও মোসাদ নামে কল্পকাহিনী তৈরি করে সরকার প্রচার করে যাচ্ছে। এই ভোটারবিহীন সরকার এদেশের মানুষকে পাগল বা বোবা ভাবেন। তাই জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।

‘বিনাবিচারে ১৩ বছর সাজাখাটা জবেদকে কেন ক্ষতিপূরণ নয়’-ইত্তেফাক

কারামুক্তির আদশের পরেও সাতক্ষীরার জবেদ আলীর ১৩ বছর সাজা খাটার ঘটনায় তাকে কেন ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, আইজি প্রিজন, সাতক্ষীরার তৎকালীন অতিরিক্ত দায়রা জজ তাপস কুমার, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার ও জেল সুপারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিচারপিত মঈনলু ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোহম্মদ ইকবাল কবিরের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

খালাসের রায়ের ১৩ বছর পরও জেল খাটছেন জবেদ আলী’ এই শিরোনামে গত ২ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে ২০০১ সালের পহেলা মার্চ বিচারিক আদালত জবেদ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে তাকে বেকসুর খালস দেয়। হাইকোর্টের এই আদেশের অনুলিপি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক তাপস কুমার দের নিকট পৌঁছায়। কিন্তু তিনি খালাস আদেশ জেল কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠিয়ে আদালতের রেকর্ড রুমে সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। তার কারণে ১৩ বছর বিনা বিচারে জেলে থাকতে হয় জবেদ আলীকে।

দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরদিন সাতক্ষীরার জেলা দায়রা জজ আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। এরপর আদালত তার কারামুক্তির নির্দেশ দেন। দীর্ঘ ১৩ বছর বিনা বিচারে কারাভোগের ঘটনায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ব্যারিস্টার আবদুল হালিম। তিনি আদালতে ইত্তেফাক পত্রিকার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এবং বলেন, একজন অতিরিক্ত দায়রা জজের ভুলের কারণে জবেদ আলীকে ১৩ বছরের সাজাভোগ করতে হয়েছে। সভ্য সমাজে এই আচরণ অকল্পনীয়। তাই এই বিষয়ে আদালতের যথাযথ আদেশ দেয়া প্রয়োজন। পরে হাইকোর্ট জবেদ আলীকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-এই মর্মে রুল জারি করে।

আঙুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন করার সময়সীমা যখন শেষ হতে যাচ্ছে ঠিক তার আগে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এই বিতর্ক তৈরি হয়েছে গ্রাহকের নিরাপত্তা নিয়ে।

নিবন্ধিত সিম জালিয়াতি হলে গ্রাহক কতটা বিপদে পড়বে!-জনকন্ঠ

চট্টগ্রামে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত প্রায় ১৫০ টি সিম জালিয়াতির পর গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক আবারো মাথাচাড়া দিয়েছে।

কিন্তু বায়োমেট্রিক সিম জালিয়াতি হলে গ্রাহক কতটা বিপদে পড়বেন? সে বিপদ কি তিনি কাটিয়ে উঠতে পারবেন? এসব প্রশ্ন এখন বড় করে দেখা দিয়েছে।

তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ জাকারিয়া স্বপন বলছেন একজনের নিবন্ধিত সিম যদি অন্যজন তুলে নেয়, সেক্ষেত্রে দুটো বিপদ হতে পারে। প্রথমত, সে সিমের সাথে যদি মোবাইল ফোনে টাকা লেনদেনের জন্য রেজিস্ট্রেশন থাকে তাহলে প্রতারক চক্র সে টাকা হাতিয়ে নিতে পারে।

দ্বিতীয়ত, জালিয়াতি করা সিমের মাধ্যমে যদি কোন সন্ত্রাসী তৎপরতা, রাষ্ট্রবিরোধী কাজ অথবা কোন অন্যকোন অপরাধমূলক কাজ হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথমেই সিমের আসল মালিককে গ্রেফতার করবে।

এসব ক্ষেত্রে প্রকৃত মালিক বড় ধরনের ঝামেলায় পড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন জাকারিয়া স্বপন।

তিনি বলেন, “ আমি সরাসরি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিটার সমালোচনা করতে চাচ্ছি না। বিকজ (কারণ) এটা তারা একটা ভেরিফিকেশনের জন্য রেখেছে।”

কিলিং মিশনের ভয়ঙ্কর নেটওয়ার্ক-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কিলিং মিশনের নেটওয়ার্ক। একের পর এক তাদের টার্গেট বাস্তবায়ন করছে নেটওয়ার্কের দুর্ধর্ষ সদস্যরা। তাদের কৌশলের কাছে বার বার পর্যুদস্ত হচ্ছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে চলে আসছে আনসার আল ইসলাম, একিউআইএস এবং আইএসের দায় স্বীকার করা বার্তা। ব্লগার, বিদেশি নাগরিক, সাধু, ফাদার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষক থেকে সমকামী অধিকার আন্দোলনকর্মী, এমনকি মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইমামও বাদ যাচ্ছেন না খুনের নিশানা থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একের পর এক টার্গেট কিলিং পুলিশ ও গোয়েন্দাদের ভাবিয়ে তুলেছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে জনমনে। সাধারণ মানুষের দিন কাটছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রগুলো বলছে, দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং সরকারকে বিব্রত করার জন্যই একের পর এক অপচেষ্টা চালাচ্ছে কুচক্রী মহল। তবে তাদের রুখে দিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা রয়েছেন তত্পর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, স্পর্শকাতর এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্তে লম্বা সময় নিলে চলবে না। কোনো হত্যাকাণ্ডকেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করলে চলবে না। দ্রুততর সময়ের মধ্যে অন্তত দু-একটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

পাঠক ! বাংলাদেশের পর এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ খবরের চুম্বক অংশ তুলে ধরছি।

রাজ্য সরকারি দপ্তরের কর্মী নিয়োগের সবচেয়ে বড় দুটি পরীক্ষা-বর্তমান

আগামী ২৭ মে রাজ্যে নয়া সরকার গঠিত হতে চলেছে। ঠিক তারপরই রাজ্য সরকারি দপ্তরের কর্মী নিয়োগের সবচেয়ে বড় দুটি পরীক্ষা। এখন সেই পরীক্ষা ঘিরেই দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। ফলে প্রায় ১২ লক্ষ বেকার ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ বড়সড় প্রশ্নের মুখে।

সন্ত্রাস রুখতে মমতাকে চিঠি রাজ্যপালের-আনন্দবাজার

ভোট পরবর্তী হিংসা দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি।

গত বৃহস্পতিবার ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছে। তার পর থেকেই জেলায় জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে হিংসার ঘটনা ঘটছে। রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ— সোমবারও তা ছিল অব্যাহত। হিংসা নিয়ে বিরোধীরা গোড়া থেকেই আঙুল তুলছেন তৃণমূলের দিকে। এ দিন তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সেই অভিযোগই জানিয়ে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। তার পরই মমতাকে চিঠি দেন কেশরীনাথ।

মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে রাজ্যপাল অবশ্য লিখেছেন, তৃণমূল কর্মীদের ওপরেও হামলা হয়েছে বলে তিনি রিপোর্ট পেয়েছেন। তবে যে দলই জড়িত থাকুক, এ ধরনের হামলা বন্ধ করতে প্রশাসনকে সক্রিয় হওয়ার জন্য এখনই নির্দেশ দেওয়া উচিত।

অযৌক্তিক আক্রমণ নয় মমতাকে, সতর্কবার্তা সিপিএমকে-সংবাদ প্রতিদিন

বিধানসভা ভোটে জোটের ভরাডুবির পর বামফ্রন্টের শরিকদলগুলির মতবিরোধ এবার প্রকাশ্যে চলে এল৷ রাজ্যে ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস বাড়ছে, এই কারণে আগামী ২৫ এবং ২৬ মে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সমস্ত শরিক দলকে নিয়ে একটি অবস্থান বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে৷ সূত্রের খবর, বামফ্রন্টের এই কর্মসূচি থেকে বেঁকে বসেছে আরএসপি৷ যৌথভাবে নেওয়া কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে তারা৷ কিন্তু কেন এই সিান্ত? আরএসপির কলকাতা জেলানেতৃত্বের ধারণা, বিপুল জনমত নিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ স্বচ্ছ, অবাধ ভোটে কোনওরকম ছাপ্পা বা রিগিংয়েরও অভিযোগ তোলা যায়নি৷ সাধারণ মানুষের এত সমর্থন নিয়ে যিনি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন তাঁর বিরু‌দ্ধে রাস্তায় বসে আন্দোলন করলে ভুল বার্তা যাবে মানুষের কাছে৷ শুধু তাই নয় এই অবস্থান বিক্ষোভে সমর্থক আনতেও হিমশিম খেতে হবে বলে মনে করছেন তাঁরা৷ রাজনৈতিক সংঘর্ষেগ্রামে গ্রামে আক্রান্ত হচ্ছেন বাম সমর্থকরা৷ ভোটের আগে যে সমস্ত নেতা পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তাঁরা সকলেই এখন কলকাতায়৷#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ