আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, ইসরায়েলি শাসনযন্ত্রের অর্থনীতি সংকটে
-
আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে, ইসরায়েলি শাসনযন্ত্রের অর্থনীতি সংকটে
পার্সটুডে- দখলদার ইসরায়েল অর্থনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। সামরিক আশঙ্কা, তীব্র বাজেট ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক চাপ এই শাসনযন্ত্রের অর্থনীতিকে ভয়াবহভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে।
বিশেষজ্ঞরা নানা দিক বিবেচনায় ইসরায়েলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে সংকটপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন। পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনের সামরিক অভিযান, বাজেট ঘাটতি এবং সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপ একসঙ্গে ইসরায়েলি অর্থনীতিকে পতনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে।
অর্থনীতিবিদ সালিম আল-জাদাবি বলেছেন, বাজেট ঘাটতি ও ঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠী বারবার ট্রেজারি বন্ড ইস্যু করতে বাধ্য হচ্ছে, যা তাদের আর্থিক সক্ষমতাকে দুর্বল করে দিচ্ছে।
অন্য এক গবেষক ইমাদ আকুশ বলেছেন, ২০২৫ সালের জন্য ইসরায়েলি বাজেট ব্যয় প্রায় ৯.৩৬ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে। এর ফলে ঘাটতি ১৮-২০ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ইসরায়েলের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি'র ৫.২ শতাংশ। এ ঘাটতির বড় অংশের পেছনে রয়েছে সামরিক ব্যয়, বসতি স্থাপনকারীদের ক্ষতিপূরণ এবং উচ্চ সুদে বন্ড।
বিশেষ করে ইয়েমেনের সামরিক অভিযান ইলাত বন্দরে (যা ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র) বড় আঘাত হেনেছে, এতে ইসরায়েলের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। পর্যটন, প্রযুক্তি, রপ্তানি ও ওষুধ শিল্পের ওপরও এর প্রভাব পড়েছে। এছাড়া আয়রন ডোমের মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চাহিদা কমে যাওয়া এবং জ্বালানি ও পেট্রোকেমিক্যাল সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অর্থনৈতিক সঙ্কট আরও গভীর হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে তা ইসরায়েলি শাসকগোষ্ঠীকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পতনের দিকে নিয়ে যাবে।#
পার্সটুডে/এসএ/৩০
খবরসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব লেখা ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য লাইক দিন