কথাবার্তা
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব, গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ অ্যামনেস্টির
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৩০ মার্চ বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব, গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ- প্রথম আলো
- পুলিশ বিভাগে পদায়ন, পদোন্নতি: অভিজ্ঞতার চেয়ে ঘুষের প্রাধান্য বেশি–ইত্তেফাক
- বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, রমজানেও সহনীয় থাকবে-প্রধানমন্ত্রী-মানবজমিন
- ‘গরিবের ডাক্তার’ বুলবুল হত্যায় তিনজন গ্রেফতার –যুগান্তর
- ইউক্রেন অভিযানে প্রধান প্রধান লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে: রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী -সমকাল
- সরকারি কর্মকর্তারা সম্পদের হিসাব দেওয়া নিয়ে দোটানায়-কালের কণ্ঠ
ভারতের শিরোনাম:
- অর্থের ভাগাভাগি নিয়েই অনর্থ, বগটুই ঘুরে আসা বিজেপি-র সত্যান্বেষী দল রিপোর্ট দিল নড্ডাকে-আনন্দবাজার
- অনুব্রত কেন এত দিন গ্রেপ্তার হননি? মুখ্যমন্ত্রীকে পাল্টা সুকান্তের -আজকাল
- ফের বিরোধী ঐক্যে শান, প্রতিবাদে শামিল হতে অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি মমতার-সংবাদ প্রতিদিন
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
‘জাতীয় সরকারের’ নতুন ধারণা নিয়ে আসছে বিএনপি-প্রথম আলোর প্রধান এ খবরে লেখা হয়েছে, নির্বাচনের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার না জাতীয় সরকার—এ নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে ওঠা বিতর্কের রেশ টানতে জাতীয় সরকারের নতুন ধারণা নিয়ে হাজির হচ্ছে বিএনপি। ধারণাটি হচ্ছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফলে বিএনপিসহ মিত্রজোট যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়, তাদের নিয়েই জাতীয় সরকার গঠন হবে। নির্বাচনে মিত্রদলগুলো জিতলেও সরকারে থাকবে, হারলেও থাকবে। অর্থাৎ নির্বাচনে যদি দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক দলের কোনো শীর্ষস্থানীয় নেতা হেরেও যান, তবু তাঁদের জাতীয় সরকারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
অ্যামনেস্টির প্রতিবেদন-মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব, গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ-প্রথম আলো
কঠোর আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাপকভাবে খর্ব করা অব্যাহত রয়েছে। গুম, বেআইনি আটক, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে কর্তৃপক্ষ। বিরোধী রাজনৈতিক দল ও শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে বাধা প্রদান ও দমন করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারিকালে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। বন উজাড় ও ভূমি দখলের কারণে সম্পদস্বল্পতার মুখে পড়েছে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অধিবাসী। শরণার্থী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সহিংস হামলার শিকার হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও ভিন্নমতের ওপর কর্তৃপক্ষ ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন গত বছরে ৪৩৩ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শেখ হাসিনাকে ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখা দরকার: বিএসএমএমইউ উপাচার্য-ইত্তেফাক
আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখা দরকার বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে, একইসঙ্গে বাংলাদেশকে উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় রাখা দরকার। বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বিএসএমএমইউয়ের ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে প্রথম আলোর এক খবরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের সরকার প্রধানকে নিয়ে এভাবে মন্তব্য করেছেন, দেশের মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের জন্য টিসিবির গাড়ীতে লাইন দিচ্ছেন। আর ভারত থেকে শিল্পী এনে প্রধানমন্ত্রী গান শুনছেন। এতে কোটি কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।
অপর দিকে মানবজমিনের একটি খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীসহ সবধরনের পণ্যসামগ্রীর মূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণপূর্বক তা সহনীয় পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
পুলিশ বিভাগে পদায়ন, পদোন্নতি: অভিজ্ঞতার চেয়ে ঘুষের প্রাধান্য বেশি!-ইত্তেফাক
পুলিশ বিভাগে পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা নয়, ঘুষই প্রাধান্য পায়। এতে যোগ্যরা বঞ্চিত হন। আর যার খুঁটির জোর বেশি, তিনিই লাভবান হন। পুলিশে এই পরিস্থিতি বাড়ছে দলবাজির কারণে।
বিগত সরকারের আমলে ঘুষের পাশাপাশি দলীয় লোকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন দেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলেও তা অব্যাহত আছে। এতে লাভবান হচ্ছেন ঘুষখোর ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা। এ কারণে মাঠ পর্যায়ের অপরাধ দমনে ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ। পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের মনিটরিংয়ের অভাবে দেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন কর্মকর্তারা।
সরকারি কর্মকর্তারা সম্পদের হিসাব দেওয়া নিয়ে দোটানায়-কালের কণ্ঠ
‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা’ অনুযায়ী পাঁচ বছর পর পর সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বারবার সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে সম্পদের হিসাব চাওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা কার্যকর হচ্ছে না। সরকারি কর্মকর্তাদের ভাষ্য, তাঁরা প্রতিবছর এনবিআরকে ইনকাম ট্যাক্স দিচ্ছেন। সেখানে সম্পদের হিসাব দেওয়া হচ্ছে। এখন মন্ত্রণালয়েও হিসাব দিতে হবে। এক হিসাব সরকারের দুই দপ্তরে দেওয়া নিয়ে দোটানায় রয়েছেন তাঁরা। এ ছাড়া অনেক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা সম্পদের হিসাব জমা দেওয়ার কোনো চিঠিই পাননি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান জাতীয় দৈনিকগুলোর খবর: রুশ-ইউক্রেন উত্তেজনা কমলে পুতিন-বাইডেনের বৈঠক সম্ভব বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে, নিষাধাজ্ঞা প্রত্যাহারে রাশিয়াকে যে শর্ত দিল যুক্তরাজ্য। অন্য এক খবরে লেখা হয়েছে, ইস্তাম্বুল সংলাপ কি ইউক্রেন যুদ্ধের 'টার্নিং পয়েন্ট' সমকালের লেখা হয়েছে, ইউক্রেন অভিযানে প্রধান প্রধান লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। আর ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, কিয়েভের পাশেই কামানের শব্দ। দৈনিকটি আরও লিখেছে, ইউরোপের চার দেশ থেকে বহিষ্কার ৪৩ রুশ কূটনীতিক। ইউক্রেনের পরিণতির পথে চনের প্রতিবেশী দেশগুলো, রুখতে কৌশল বদলাতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে- এমন খবর পরিবেশিত হয়েছে মানবজমিনে। আর কালের কণ্ঠের খবরে লেখা হয়েছে, ইউক্রেনীয়রা বোকা নয়, রাশিয়ার অঙ্গীকারের জবাবে বললেন জেলেনস্কি।
এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ফের বিরোধী ঐক্যে শান, প্রতিবাদে শামিল হতে অবিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি মমতার-সংবাদ প্রতিদিন
ফের বিজেপি (BJP) বিরোধিতায় জাতীয় স্তরে ঐক্যের পথে হাঁটলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখলেন তিনি। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সকলকে একজোট করে প্রতিবাদের বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি চিঠিতে লিখেছেন কেন্দ্রের বিরোধী নেতাদেরও চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, জাতীয় স্তরে বিরোধীদের একজোট হয়েই প্রতিবাদে নামতে হবে। চিঠিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ”বিজেপি গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত করছে। সকলের কাছে আমার আবেদন, নিজেদের সময়-সুযোগমতো একসঙ্গে বসে আলোচনা করি এবং এর বিরোধিতায় সরব হই।”
‘বগটুই কাণ্ডে বিজেপির রিপোর্ট CBI তদন্তকে প্রভাবিত করবে’, আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রীর-সংবাদ প্রতিদিন
রামপুরহাটের বগটুই (Bagtui) কাণ্ডে জেপি নাড্ডার কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিজেপির প্রতিনিধি দল। ওই রিপোর্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। দার্জিলিংয়ে দাঁড়িয়ে সেই ইস্যুতেই বিজেপির কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বিজেপির প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট তদন্তকে প্রভাবিত করবে বলেই আশঙ্কা তাঁর। বুধবার সকালে বাংলার বিজেপি (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ভারতী ঘোষ, রাজ্যসভার সাংসদ শ্রী ব্রজলাল, সাংসদ সত্যপাল সিং এবং সাংসদ শ্রী কেসি রামমূর্তি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (JP Nadda) কাছে যান। বগটুই কাণ্ড নিয়ে রিপোর্ট জমা দেন তাঁরা। ওই রিপোর্টে বাংলার আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনার দিন পুলিশকর্মী এবং এসডিপিও’র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের তাঁদের সাংবিধানিক দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত করা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
বিজেপির রিপোর্টে ক্ষু্ব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “বগটুইয়ের তদন্তে সিবিআইকে (CBI) সহযোগিতা করছে রাজ্য সরকার। বিজেপি নিজস্ব রিপোর্ট দিয়ে তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। এই রিপোর্ট প্রতিহিংসামূলক।
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, রামপুরহাট এবং বিধানসভার অশান্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে মুখোমুখি আলোচনারা আহবান জানিয়েছেন।
তাঁর দেওয়া সব রায়ে স্থগিতাদেশ কেন? দেশের প্রধান বিচারপতির শরণাপন্ন কলকাতার বিচারপতি-আনন্দবাজার পত্রিকা
কলকাতা হাই কোর্টের ইতিহাসে কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল বুধবার। স্কুলে শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ মামলায় চাঞ্চল্যকর মন্তব্য বিচারপতির। কেন তাঁর দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ দিচ্ছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ? এই প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সম্পতি স্কুলে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের কয়েকটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। কারণ, বিচারপতি মনে করেছিলেন, সেখানে বড় কোনও দুর্নীতি থাকতে পারে। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে সিবিআই অনুসন্ধানের মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এর পর শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এসএসসি-র তৎকালীন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিংহের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব-নিকেশ চেয়েছিল বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই নির্দেশেও ডিভিশন বেঞ্চে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে কার্যত ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এর পর শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কাদের সুবিধা পাইয়ে দিতে ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের হাত বেঁধে দিচ্ছে? মঙ্গলবার নির্দেশ জারি করে, গত মাস দুয়েক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর দেওয়া চারটি সিবিআই অনুসন্ধানের মামলার নথি এবং সেগুলিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের দেওয়া স্থগিতাদেশের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ও হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারপতির বক্তব্য, ‘‘দেশ দেখুক, বিচার করুক, বেআইনি চাকরি দেওয়া নিয়ে কী চলছে!’’#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩০