ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ১৭:০৮ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা!কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আজ ১৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম

  • মতামত একটি সমাবেশ এবং ক্ষমতাসীনেরা যখন ‘আইনের ঊর্ধ্বে’-প্রথম আলো
  • ৬ বছর আগে ‘মৃত’ স্ত্রীকে আরেক সংসারে খুঁজে পেলেন জেলখাটা স্বামী,অতঃপর!-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, আমি ভোটের অধিকার চাই-মানবজমিন
  • রিজার্ভ থেকে ডলার চায় এফবিসিসিআই-যুগান্তর
  • ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই-ইসি–ইত্তেফাক
  • ৭ দিনের রিমান্ডে জামায়াতের আমির শফিকুর-কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • গুয়াহাটি নয়, মেঘালয়কে শাসন করবে মেঘালয়ই’, শিলংয়ের সভায় পরিবর্তনের ডাক অভিষেকের-সংবাদ প্রতিদিন
  • কোথায় ডিসেম্বর ধামাকা!‌ এবার নয়া তারিখ জানালেন শুভেন্দু-আজকাল
  • আমি আর অভিষেক আপনাদের পরামর্শ দেব’, মেঘালয়ের নেতৃত্ব তৈরি, কর্মিসভায় বললেন মমতা-আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি। 

বিশ্লেষণের বিষয়:

১. বিএনপিকে সংঘাতের উস্কানি না দেয়ার আহ্বান ওবায়দুল কাদেরের। দৈনিক মানবজমিনসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই খবর এসেছে। ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যকে কিভাবে দেখছেন?

২. ইরানের সাথে সামরিক সহযোগিতার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল রাশিয়া। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এসব দেশ ইরান ও রাশিয়ার ব্যাপারে এরকম অভিযোগ তুলছে?

জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:

নয়াপল্টন সংঘর্ষের ঘটনায় বিদেশি মিশনগুলোতে চিঠি, ফখরুল-আব্বাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে যা বলল সরকার-প্রথম আলো

বেপরোয়া সহিংসতার পরিকল্পনা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার জন্য দলীয় কর্মীদের উসকানি দেওয়ায় অভিযোগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকার কূটনৈতিক মিশনগুলোতে পাঠানো একটি চিঠিতে একথা জানিয়েছে সরকার।রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গত ৭ ডিসেম্বর দলটির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে অবহিত করতে সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কূটনৈতিক মিশনগুলোতে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের সূত্র নিশ্চিত করেছে। ওই চিঠিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের কারণও সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়েছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির নেতা–কর্মীদের নামে রাজধানীর পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় চারটি মামলা করেছে পুলিশ। এসব মামলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর ডিবি কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিবি পুলিশ। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনার পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়ায় পল্টন থানায় করা মামলায় তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সেদিনই তাঁদের ঢাকার সিএমএম আদালতে তোলা হয়। আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের বিষয়ে চিঠিতে সরকার বলেছে, কেউই আইনের উর্ধ্বে নন। বিএনপি নেতাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা উচিৎ ছিল। কিন্তু তাঁরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল অশান্তি সৃষ্টি করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও বিএনপি ও তাদের মিত্ররা একই ধরনের কাজ করেছিল। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবার আর ঝুঁকি নেয়নি। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় বেপরোয়া সহিংসতার পরিকল্পনা করায় বিএনপির এই দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেননা সরকার কাউকে বেপরোয়া সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে জননিরাপত্তা ও দেশের আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে দিতে পারে না।

মতামত একটি সমাবেশ এবং ক্ষমতাসীনেরা যখন ‘আইনের ঊর্ধ্বে’-প্রথম আলো

ঘটনা-১

শনিবার সকালে ও দুপুরে দুই দফায় বিএনপি সমর্থক সন্দেহে ১০-১২ জনকে নীলক্ষেতের তোরণের সামনে আটক করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। মারধর ও মুঠোফোন ঘাঁটার পর তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা (প্রথম আলো অনলাইন, ১০ ডিসেম্বর ২০২২)।

ঘটনা-২

আইন

ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রলীগ। শুক্রবার বিকেলে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। এতে সড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় (আজকের পত্রিকা অনলাইন, ৯ ডিসেম্বর ২০২২)।

ঘটনা-৩

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড দিয়ে ছোট গাড়িও ঢাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ। শনিবার দুপুর থেকে পুলিশ অটোরিকশা, লেগুনাসহ ছোট গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। …গণপরিবহনের পর ছোট গাড়ি চলাচল বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা (প্রথম আলো অনলাইন, ১০ ডিসেম্বর ২০২২)।

ওপরের প্রতিটি ঘটনা ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং পুলিশের কর্মকাণ্ডের একেকটি খণ্ডচিত্র। সরকার ও দলের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে গত বুধবার থেকেই তাঁরা মাঠে ছিলেন, তবে শুক্র ও শনিবার তাঁদের তৎপরতা ছিল বেশি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে স্পষ্ট, এসব তৎপরতায় সাধারণ মানুষ ও যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হন, তাঁরা হয়রানির অভিযোগও করেন। প্রশ্ন হলো, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল ও পুলিশের এসব কর্মকাণ্ড কি আইনসংগত হয়েছে?

লক্ষণীয় হলো, এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকার বা ক্ষমতাসীন দলের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গেয়েছে। তাদের কথা-বার্তা, আচার-আচরণে মনে হয়েছে, তারা যেন ‘আইনের ঊর্ধ্বে’। যখন কোনো দেশে ক্ষমতাসীনেরা নিজেদের ‘আইনের ঊর্ধ্বে’ মনে করে কিংবা তাদের কর্মকাণ্ডে তেমনটা প্রতীয়মান হয়, সেই দেশের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার না হয়ে উপায় থাকে না।

বাংলাদেশে রাজনীতি বা সংগঠন করার অধিকার একটি সংবিধানসম্মত অধিকার। মৌলিক অধিকার অংশে ‘সংগঠনের স্বাধীনতা’ শিরোনামে সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’ একইভাবে ‘সমাবেশের স্বাধীনতা’ শিরোনামে ৩৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘জনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’

তাহলে বিএনপি বা অন্য কোনো দলের কর্মী হওয়া এবং দলটির সমাবেশে যোগ দেওয়া কোনো ‘বেআইনি’ কাজ নয়; বরং সমাবেশে যেতে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে হলে, সেটা হবে তাদের সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘন। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে তেমনটাই হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি কর্মী সন্দেহে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন কর্তৃক মানুষজনকে মারধরের ঘটনা একই সঙ্গে একটি অপরাধমূলক ও আইন ভঙ্গকারী কর্মকাণ্ড।

ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই: সিইসি-ইত্তেফাক

বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ইভিএমে ভোট কারচুপির কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রংপুর সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ গ্রহণকারী সকল মেয়র, কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় সিইসি বলেন, এই নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সব পক্ষ মিলে আমরা চেষ্টা করব সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে। নির্বাচনে সকল কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করার সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই। তবে অনেক সময় ইভিএম মেশিন স্লো হয়। সেটিও তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের ব্যবস্থা থাকবে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটারদের কাছ থেকে জোর করে ভোট নেওয়া যায় এটা সত্য নয়। যিনি ভোটার, তাকে ভোট প্রয়োগ করতে দিতে হবে। ভোটাধিকার থেকে বিরত রাখা যাবে না। তবে কেউ যদি সুন্দর পরিবেশকে নষ্ট করার পায়তারা করেন, সেক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিইসি বলেন, ভোটাররা কোন দলকে ভোট দেবে কোন প্রার্থীকে ভোট দেবে সেটা আমাদের দেখার বিষয় হবেনা। দেখার বিষয় একটাই ভোটাররা গোপনে তাদের তাদের পছন্দের প্রার্থীকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে নিশ্চয়তা আমাদের সকলে মিলে নিশ্চিত করতে হবে এবং এটা আমরা করবো। রংপুর সিটিকর্পোরেশনে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হবে।

অর্থ-বাণিজ্য আরও ১২৫০ কোটি টাকা ধার নিয়েছে পাঁচ ইসলামী ব্যাংক-মানবজমিন

তারল্য সহায়তা দেয়ার সুযোগ চালু করার দুইদিনেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৫ হাজার ২৫০ কোটি টাকা ধার নিয়েছে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো। পাঁচটি ব্যাংক ৫ হাজার ২৫০ কোটি টাকা নিয়েছে। মঙ্গলবার ৪ হাজার কোটি টাকার আবেদন ছিল, বুধবার নতুন করে ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার আবেদনের পুরোটাই মঞ্জুর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সোমবার শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের জন্য ‘ইসলামিক ব্যাংকস লিকুইডিটি ফ্যাসিলিটি (আইবিএলএফ)’ এর আওতায় সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোর জন্য তারল্য সহায়তা দেয়ার সুযোগ চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা দেয়ার ঘোষণা এমন সময়ে আসল, যখন এ ধারার কয়েকটি ব্যাংকের ঋণ অনিয়ম ও কেলেঙ্কারির কথা সংবাদমাধ্যমে আসছে।

৭ দিনের রিমান্ডে জামায়াতের আমির শফিকুর-কালের কণ্ঠ

জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমানের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জামায়াতের আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাস দমন আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

সীমান্তের ফের ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ- ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই

ভারত ও চীনের সেনাবাহিনীর মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার রাতে অরুণাচল প্রদেশে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দেশ দুইটির বাহিনী। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন সেনা আহত হয়েছেন। তবে ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের মতোই অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরে দ্বিপাক্ষিক সেনাস্তরের ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’ মেনে কোনো পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা ‘দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিরোধ’ করে। সেই সময় সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন আহত হন।

দেশটির সেনাসূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, হাতাহাতি এবং লাঠি-পাথর নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ৬ জন জওয়ান ‘সামান্য আহত’ হন। তবে ঠিক কতজন চীনা সেনা হতাহত হয়েছে সেই সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। 

রিপোর্ট, অন্তত ৩০০ চীনা সেনা তাওয়াংয়ের ওই সেক্টরে অনুপ্রবেশ করে। তবে ভারতীয় সেনা প্রস্তুত থাকায় চীনা সেনারা সুবিধা করতে পারেনি। পরবর্তীতে দ্বিপাক্ষিক ঊর্ধ্বতন সেনা স্তরের আলোচনায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে ‘সেনা পেছানো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র বিষয়ে ঐকমত্য হয়। ইতোমধ্যে তা কার্যকরও হয়েছে।

এর আগে গালওয়ান ভ্যালিতে ২০২০ সালে জুনে দেশ দুইটির বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেই সময় সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ৪০ জনের বেশি চীনা সেনা হতাহত হয় বলে দাবি করে ভারত।

সীমা সমৃদ্ধি কুশওয়াহাই

শ্রদ্ধার-মামলা লড়ছেন নির্ভয়া-মামলার লড়াকু আইনজীবী সীমা সমৃদ্ধি কুশওয়াহাই-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, তিনি ‘বিদ্রোহিণী নারী’। সমাজে নারীদের উপর নির্মম অত্যাচার হলে ডুকরে ডুকরে কাঁদে তাঁর হৃদয়। চোখের জল ফেলার পাশাপাশি দোষীদের ‘সবক শেখাতে’ গর্জে ওঠেন তিনি। ‘ম্যঁয় ছোড়ুঙ্গি নহি তুঝে’— মনেপ্রাণে এই কথাই আউরে আদালত চত্বরে পা রাখেন এই সাহসিনী। দিল্লিতে নির্ভয়ার হয়ে মামলা লড়ে বিচার আদায় করেছিলেন তিনি। সেই আইনজীবী সীমা সমৃদ্ধি কুশওয়াহাই এ বার মামলা লড়ছেন মহারাষ্ট্রের পালঘরের তরুণী শ্রদ্ধা ওয়ালকরের পরিবারের হয়ে। শ্রদ্ধাকে খুনের পর তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে বিভিন্ন এলাকায় ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয়েছে আফতাবকে। দিল্লির এই ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। ঠিক ১০ বছর আগে দিল্লিতেই নির্ভয়াকাণ্ড ঘটেছিল। যে ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। আফতাবের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ ওয়ালকর। নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীর ফাঁসি হয়েছে। আর এই মামলায় নির্ভয়ার হয়ে যিনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন আদালতে, তিনি সেই সীমা। নির্ভয়ার সেই ‘নির্ভীক’ আইনজীবীই এ বার শ্রদ্ধার পরিবারের হয়ে মামলা লড়ছেন।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১২

ট্যাগ