এপ্রিল ০৩, ২০২৩ ১০:৪৩ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ৩ এপ্রিল সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • বাগেরহাটে লোনাপানিতে ক্ষতি ১১০০ বিঘা জমির ধান, পুড়ছে কৃষকের স্বপ্ন-প্রথম আলো
  • মুক্তিপণে মিলেছে সোহেলের লাশ-মানবজমিন
  • সড়ক দুর্ঘটনা বাসচালকদের এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা থামাবে কে?-ইত্তেফাক
  • এপ্রিলে ঘূর্ণিঝড়, বন্যার শঙ্কা-কালের কণ্ঠ
  • প্রবাসী আয় ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল-যুগান্তর
  • ৯ মাসে রপ্তানি ৪ হাজার কোটি ডলার ছাড়াল-বাংলাদেশ প্রতিদিন 

ভারতের শিরোনাম:

  • লোকসভায় উত্তাপ বাড়াবে কী তৃণমূল?-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ভারত নিয়ে নাক গলানোর বদভ্যাস আছে, রাহুল ইস্যুতে পশ্চিমী দেশগুলিকে তোপ জয়শংকরের -সংবাদ প্রতিদিন
  • কর্ণাটকে গোরক্ষার নামে খুন মুসলিম যুবককে -গণশক্তি

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব তার মতামত কলামের শিরোনাম করেছেন এমন,

আইএমএফের শর্ত কি মানুষকে নতুন দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। প্রথম আলোতে পরিবেশিত এ মতামতে লেখা হয়েছে, বেসরকারি সংস্থা সানেম'র জরিপে করোনার পরে নতুন তৈরি হওয়া দরিদ্রের সংখ্যাকে ন্যূনতম দেড় কোটি থেকে সোয়া দুই কোটি বলা হয়েছে।(সানেম) জরিপমতে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে ধার করে চলছে ৭৪ শতাংশ নিম্ন আয়ের পরিবার।  ছয় মাসের ব্যবধানে ৯৬ শতাংশ পরিবার মাংস, ৮৮ শতাংশ পরিবার মাছ কম খাচ্ছেন। ১ হাজার ৬০০ পরিবারের ওপর করা  জরিপটি বলছে, শুধু মাছ-মাংস নয়, ৭৭ শতাংশ পরিবার ডিম এবং ৮১ শতাংশ পরিবার ভোজ্যতেল খাওয়া কমিয়েছে, প্রায় ৪৬ শতাংশ পরিবার ডাল, ৫৭ শতাংশ পরিবার আটা এবং ৩৭ শতাংশ পরিবার ভাত খাচ্ছে কম। প্রাণিজ আমিষের ঘাটতিতে অনেক পরিবার খাবারের গুণগত মানেও ছাড় দিচ্ছে। সারা দিন উপোস করেছেন, এমন দরিদ্র মানুষের হার ১৮ শতাংশ, ছয় মাস আগে যা ছিল প্রায় ১০ শতাংশ।

এত উন্নয়নের মধ্যে খাদ্য ও পুষ্টির এই উদ্বেগজনক চিত্র কেন—এর ব্যাখ্যা সরকারকে পলিসিগতভাবে খুঁজতে হবে। খরচের চাপে খাদ্যাভ্যাস বদলের মানে হচ্ছে অর্থের অভাবে মানুষ কম ক্যালরি ও কম পুষ্টির নিম্নমান খাবারে ঝুঁকছে। খাদ্য ও পুষ্টির এই ভয়াবহতা দেশে নতুন দারিদ্র্য তৈরি করবে, পুষ্টিহীন, রোগপ্রতিরোধহীন কিংবা খর্বাকৃতি শিশুর সংখ্যাও বাড়াবে। তাদের শারীরিক গঠন ও মেধার বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

আধুনিক সময়ে, ভাত, গমের একমুখী সূচকে দারিদ্র্য মাপা হয় না। খাদ্যপুষ্টি, অসুখ-বিসুখ থেকে শুরু করে শিক্ষা, আবাসন সবকিছুকেই এখন বিবেচনায় নেওয়া হয়। ফলে বাধ্যতামূলক খরচের খাত এখন বিস্তৃত। খাদ্য ব্যয়, স্বাস্থ্য ব্যয়, জ্বালানি ব্যয়, জলবায়ুজনিত ব্যয়ে, শিক্ষা ও আবাসন ব্যয়ে মানুষ গরিব হচ্ছে। দারিদ্র্য এখন বহুমুখী।

সরকার আইএমএফ-কে খুশি করতে আর জ্বালানিতে ভর্তুকি দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ বাংলাদেশে জ্বালানি ভর্তুকিতে বিশ্বের ৪০তম দেশ, এমনকি যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নেদারল্যান্ডসও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরে জ্বালানি ভর্তুকি দিয়েছে।  প্রশ্ন হচ্ছে, যে দেশে ৩২-৩৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে, যেখানে ক্রয়ক্ষমতার বৈষম্য এবং সম্পদ পিরামিডের ধনী-গরিবের ব্যাপক ব্যবধান, সেখানে কীভাবে দরকারি ভর্তুকি উঠিয়ে দিয়ে দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তোলে?  

সড়ক দুর্ঘটনা

বাসচালকদের এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা থামাবে কে?-ইত্তেফাক

দুই বাসের প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর খবর প্রায়ই পত্রিকায় পাতায় ছাপা হচ্ছে। এ নিয়ে আলোচনা হলেও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না। বাস চালকদের এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা থামাবে কে? কোনোভাবেই তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সর্বশেষ গতকাল রবিবার ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় এমনই দুই বাসের প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে প্রাণ গেছে এক জন মোটরসাইকেল চালকের। ক্ষুব্ধ জনতা বাস দুটি পুড়িয়ে দিয়েছে। এর আগেও দেশের বিভিন্ন জায়গায় দুই বাসের প্রতিযোগিতায় মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।২০১৮ সালে রাজধানীর কাওরান বাজারে সার্ক ফোয়ারার কাছে দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারান রাজীব। বহুল আলোচিত সেই ঘটনার কথা এখনো মনে আছে অনেকের।২০২১ সালের জুনে দুই বাসের প্রতিযোগিতায় মাথা থেঁতলে যায় মেহেদী নামের একজন শিক্ষার্থীর। মেহেদী বসে ছিলেন একটি বাসের জানালার পাশে, তারা মাথা ছিল বাইরের দিকে। সে সময় আরেক বাস পাশ কাটানোর চেষ্টা করলে তার মাথা থেঁতলে যায়।শুধু এই ঘটনাগুলো নয়, প্রতিনিয়তই এমন ঘটনা ঘটে চলেছে। কিন্তু বাস চালকদের থামানো যাচ্ছে না।

বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে-নির্যাতন, টর্চার সেল, চাঁদা দাবি, সিট বাণিজ্যসহ নানা খবর প্রায়শ জাতীয় দৈনিকের পাতায় দেখা যায়। আজকের মানবজমিন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে লেখা হয়েছে, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে হলে আটকে রেখে মারধর ও ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হলের ৫২৮ নং রুমে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে ইসমাইল হোসেন নামের ওই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে রড, জিআই পাইপ ও বেল্ট দিয়ে মারধর করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। বর্তমানে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এসব ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট মহলের এসব বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান গ্রেপ্তার এবং কারাবন্দি, সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার পর ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। বিষয় দুটি নিয়ে দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সমালোচনা হয়েছে এবং আইনটি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। এ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল নয়, সংশোধন হতে পারে। আর সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অন্য দেশে এমন হলে পত্রিকার লাইসেন্স বাতিল হতো।

প্রবাসীদের জীবনের দুঃখ-কষ্ট, ব্যথা বেদনা নিয়ে মিডিয়াতে নানা খবর আসে প্রায় প্রতিদিন। তারমধ্যে এমন কিছু খবর থাকে যা দুঃখকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। কেবলই মর্মান্তিক বলা যায়। আজকের মানবজমিন অনলাইন ভার্সনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছেলে সোহেল রানা (৩৫)কে হত্যা করা হয়েছে। তাও আবার প্রবাসে। ছয় মাস আগেই এ খবর পান মা আমিনা বেগম। সেই থেকে ছেলের কথা মনে হলেই কখনো হাউমাউ করে, আবার কখনো নীরবে চোখ ভেজান তিনি। দীর্ঘ ৬ মাস পর সব প্রক্রিয়া শেষে শনিবার কফিনবন্দি হয়ে সোহেল বাড়ি ফেরেন। সোহেলের মায়ের আহাজারিতে উপস্থিত কেউই চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। ছেলের শোকে বারবার সংজ্ঞা হারাচ্ছেন তিনি। সোহেলের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দক্ষিণ ধলাপাড়া গ্রামে। পিতা আহমদ মিয়া মারা গেছেন বহুদিন আগে। স্বামী হারানোর পর একমাত্র সন্তান সোহেলকে নিয়ে কোনোভাবে বেঁচে আছেন মা আমিনা বেগম।

অল্প বয়সে বিধবা হলেও সন্তানের কথা চিন্তা করে তিনি আর বিয়ে করেননি। প্রিয় সন্তানকে ঘিরেই তার ছিল সকল সুখ, দুঃখ, আশা, ভরসা। 

সোহেলের স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, মালয়েশিয়ায় অপহরণের শিকার হয়েছিলেন সোহেল। যারা তাকে অপহরণ করেছিল, তারা ভিনদেশি কেউ নন, তার নিজের দেশেরই। অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছিল পাঁচ লাখ টাকা। না দিলে একমাত্র ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। বাবাহারা ছেলের জীবন বাঁচাতে টাকা পাঠান মা। তবুও হত্যা করা হয় সোহেলকে। এদিকে, একমাত্র ভাইকে হারানোর কষ্ট কিছুতেই সইতে পারছেন না বোন পারভীন খাতুন। ভাইয়ের কফিনের পাশে বসে বিলাপ করে কান্না করছিলেন তিনি। পারভীন খাতুনের স্বামী বিল্লাল হোসেন জানান, অল্প বয়সে বাবাকে হারান সোহেল। পরিবারের একমাত্র ছেলে হিসেবে বড়বোন পারভীন খাতুন আর মাকে নিয়ে সংসারের হাল ধরতে ১৫ বছর আগে পারি জমান মালয়েশিয়ায়। সংসারের হাল ধরতে গিয়ে লেখাপড়া খুব একটা করা হয়নি। সোহেল মালয়েশিয়ায় একটি কারখানায় কাজ করতেন। গত বছরের ২৭শে সেপ্টেম্বর রাতে তামিলজায়া এলাকায় তার বাসার সামনে থেকে সোহেলকে অপহরণ করা হয়। মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা তার মোবাইলে ফোন করেন। ওইদিনই অপহরণকারীদের দেয়া ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপরও মিললো না মুক্তি। মিজানুর রহমান নামে সোহেলের এক মামা থাকেন মালয়েশিয়ায়। মিজানুরের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বিল্লাল হোসেন জানান, টাকা দেয়ার পর মুক্তি না দেয়ায় মালয়েশিয়ার কাজং থানায় একটি মামলা করেন মিজানুর। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ওই চার প্রবাসী বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের দেয়া তথ্য ও স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গত ৬ই অক্টোবর রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে জায়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এলাকার একটি জঙ্গল থেকে সোহেলের হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কচটেপ আটকানো অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে অজ্ঞাত আসামি করে বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় মামলা করেন।

পুলিশের দেয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বিল্লাল হোসেন জানান, মুক্তিপণের টাকা দিতে অপহরণকারীরা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের যে অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়েছিল সেই অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের নাম নাছির উদ্দিন। বাড়ি বরিশাল জেলায়। সেই নাছির উদ্দিন জানান, মালয়েশিয়া প্রবাসী তার বন্ধু মামুন নাকি তার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে বলেছিলেন। বাংলাদেশে বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। সোহেলের চাচি ছাহেরা বেগম  বলেন, চলতি বছর ছুটি নিয়ে দেশে আসার কথা ছিল সোহেলের। এসে বিয়ে করবে এমন কথা ছিল। ভাতিজা বাড়ি ফিরলেন লাশ হয়ে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনিসহ এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি সদস্য শামীম আল মামুন মানিক বলেন, টাঙ্গাইল থেকে সিআইডি পুলিশের একটি টিম এসে জানালেন মরদেহের ময়নাতদন্ত করতে হবে। তাই লাশ তারা নিয়ে গেছেন। টাঙ্গাইল সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক শাখাওয়াত হোসেন মানবজমিনকে বলেন, ঘাটাইল থানায় করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত করার জন্য মরদেহ আনা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অর্থনীতির খবরে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা লিখেছে, দীর্ঘ সাত মাস পর প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে প্রবাসীরা দেশে ২০১ কোটি (২.০১ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সবশেষ গত বছরের আগস্টে ২০৩ কোটি (২.০৩ বিলিয়ন) ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল দেশে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।বৈশ্বিক উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ডলার সংকটের মধ্যে প্রবাসীদের আয়ও কমে যাওয়ায় গত অর্থবছর থেকেই বৈদেশিক লেনদেনে চাপে রয়েছে বাংলাদেশ।২০২১-২২ অর্থবছর নেতিবাচক প্রবণতায় শেষ হয়।প্রাবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্সে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের জন্য এটি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আর বাংলাদেম প্রতিদিনের একটি খবরে লেখা হয়েছে, ৯ মাসে রপ্তানি ৪ হাজার কোটি ডলার ছাড়াল। তবে যুগান্তরের অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, বৈশ্বিক ডলার সংকট ও দাম বৃদ্ধির প্রভাবেআমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। বহুমুখী নেতিবাচক প্রভাব  পড়েছে অর্থনীতিতে।

 এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

ভারত নিয়ে নাক গলানোর বদভ্যাস আছে, রাহুল ইস্যুতে পশ্চিমী দেশগুলিকে তোপ জয়শংকরের-সংবাদ প্রতিদিন

পশ্চিমী দেশগুলি মনে করে ভারতের বিষয়ে মন্তব্য করার ঐশ্বরিক অধিকার রয়েছে তাদের। এমনটাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর (S Jaishankar)। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর থেকেই একাধিকবার পশ্চিমী দুনিয়ার আক্রমণের মুখে পড়েছে কেন্দ্র সরকার। আমেরিকা (USA), জার্মানির (Germany) পর পুরো ইস্যুর দিকে নজর রাখার বার্তা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও। সেই বিষয় নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী। রবিবার একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়েছিলেন জয়শংকর। বিজেপি আয়োজিত এই সভায় তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, রাহুল ইস্যুতে পশ্চিমী দুনিয়ার মতামত নিয়ে জয়শংকর কী মনে করেন? প্রশ্নের জবাবে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমী দেশগুলি অন্যদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মতামত দিতে অভ্যস্ত। তারা মনে করে অন্যদের বিষয়ে কথা বলার ঐশ্বরিক অধিকার রয়েছে তাদের। কিন্তু সেই দেশগুলির মনে রাখা দরকার, এই অভ্যেস চালিয়ে গেলে তারা সমস্যায় পড়বে। তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও অন্যরা মতামত দেবে, সেটা মোটেও ভাল লাগবে না তাদের।”

প্রসঙ্গত, আমেরিকা, জার্মানি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের হস্তক্ষেপ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দেবে। যদিও বিজেপি পরপর রাহুল ইস্যুতে বিদেশি হস্তক্ষেপকে কংগ্রেসেরই ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ আগেই বলে দিয়েছেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপ চাইছে কংগ্রেস।” 

‘কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই’ রিষড়ায় অশান্তি নিয়ে চিঠি শাহ ও আনন্দকে আক্রান্ত বিধায়কের –আনন্দবাজার পত্রিকা

প্রথমে হাওড়া, তারপর রিষড়া। রামনবমীর (Ram Navami) মিছিল ঘিরে এই দুই জায়গাতেই বড় অশান্তি। রবিবার হুগলির রিষড়ায় (Rishra) বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মিছিলে আচমকা হামলার ঘটনা ঘটে। ইটবৃষ্টি, কাচের বোতল ছোঁড়ায় আক্রান্ত হন পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হামলাকারী কারা, তা এখনও অজানা। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে বসেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে (CV Anand Bose)চিঠি লিখলেন আক্রান্ত বিধায়ক বিমান ঘোষ। দাবি করলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হোক। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, রামনবমীর মিছিল ঘিরে রিষড়ায় অশান্তির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কড়া বার্তা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দুর্বৃত্তদের কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলল তৃণমূল।

কর্ণাটকে গোরক্ষার নামে খুন মুসলিম যুবককে-গণশক্তি পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, গোরু রক্ষার নামে ফের মানুষ খুন করা হলো। এবারের হত্যাকাণ্ড কর্ণাটকের রামনগর জেলায়। 

জানা গিয়েছে, নিহত ইদ্রিশ পাসা স্থানীয় পশু বাজার থেকে গবাদি পশু কিনে ফিরছিলেন। পথ আটকায় তথাকথিত গোরক্ষকরা।  তবে গোরু রক্ষা নয়, উদ্দেশ্য ছিল তোলাবাজী। পাশার থেকে ২ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। তিনি কাগজপত্র দেখিয়ে টাকা দিতে অস্বীকার করেন এরপর শুরু হয় মারধর। তাঁর দেহ মেলে সন্তুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত পুনীত কেরেহাল্লি পলাতক।  এর আগে রাজস্থানের ভরতপুরের দুই মুসলিম যুবককে গোরু পাচারেক নামে হত্যা করা হয় হরিয়ানায়।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩

ট্যাগ