মে ১৬, ২০২৩ ১৪:৪৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১৬ মে মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ইস্যুতে বিভ্রান্তি–ইত্তেফাক
  • সুপ্রিম কোর্ট বারে ফের আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পন্থী আইনজীবীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, ভাঙচুর-মানবজমিন
  • মার্কিন ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন-বাংলাদেশে গত বছরও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছিল-প্রথম আলো
  • সাক্ষাৎকারে জাহাঙ্গীর আলম মৃত্যু ও জেল ছাড়া সরে দাঁড়ানোর রাস্তা নেই-প্রথম আলো
  • ১৪ বছর ধরেই দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
  • ফারুক ঋণখেলাপি নন, অভিযোগ ভিত্তিহীন : খসরু-কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • এবার ‘বুলডোজার শাসন’ দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে, ৩০০ ‘বেআইনি’ মাজার গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন-সংবাদ প্রতিদিন
  • কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, চাকরি বাতিলের সঙ্গে ডিএ’র সম্পর্ক কী? মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রশ্ন কর্মচারীদের-গণশক্তি
  • মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার চাকরি পান ববিতা, ববিতার চাকরি পেলেন অনামিকা! তিন কন্যার যুদ্ধ-আনন্দবাজার

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকার ভয়ে নেই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ চাইলে আছি, না চাইলে নাই। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন। কীভাবে দেখছেন এসব বক্তব্যকে?

২. তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রান-অফে গড়ালো। তবে প্রথম রাউন্ডে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। নিশ্চয় বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করেছেন।

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

১৪ বছর ধরেই দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধুমাত্র গত ১৪ বছর ধরেই দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে, সে কারণেই বাংলাদেশ উন্নতি করতে পারছে। সাম্প্রতিক যুক্তরাজ্য সফরের সময় বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি বাংলা। তারা জানিয়েছে, প্রায় আধঘণ্টার সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ, বিচার বর্হিভূত হ্ত্যা, গণতন্ত্র এবং রোহিঙ্গা সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা চায় না এই পরিবারের কেউ ক্ষমতায় আসুক।

বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিম মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির আগে বাংলাদেশে বন্দুকযুদ্ধের একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা জারির আগে ২০১৮ সালে ৪৬৬ মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়। ২০১৯ সালে ৩৮৮ মানুষ এভাবে নিহত হয় আর ২০২০ সালে নিহত হয় ১৮৮ জন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর ওই সংখ্যা ১৫ জনে নেমে এসেছে।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেসব সংখ্যা তারা উল্লেখ করেছে, সেগুলো তারা প্রমাণ করতে পারেনি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব হত্যাকাণ্ড আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করেনি। কারণ আমরা প্রমাণ চেয়েছিলাম, সেগুলো তারা পাঠিয়ে দিক, আমরা তদন্ত করে দেখব।”

জার্মান সংবাদ মাধ্যম ডয়েচেভেলের একটি তথ্যচিত্রে সম্প্রতি দাবি করা হয়, রাবের দুজন ব্যক্তি গোপন তথ্য ফাঁস করে বলেছেন যে, এসব হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে। এ বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছে বিবিসি।

উত্তরে তিনি বলেন, আমি জানি না তারা কীভাবে এটা করেছে, কিন্তু আমেরিকায় কী ঘটছে, আপনি দেখতে পাচ্ছেন। সেখানে প্রায় প্রতিদিন একাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এমনকি স্কুল, শপিং মল, রেস্তোরাঁয় হত্যাকাণ্ড ঘটছে। এমনকি স্কুল শিক্ষার্থীরা, সাধারণ মানুষ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অথবা সশস্ত্র ব্যক্তির হাতে নিহত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাদের নিজেদের ব্যাপারে আরও মনোযোগী হওয়া। তাদের দেশের কী অবস্থা? তাদের উচিত শিশুদের জীবন রক্ষা করা। তারা নিজেদের লোকজনের ব্যাপারে যথেষ্ট ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা যেসব অভিযোগ করেছে, আমরা তাদের কাছে প্রমাণ চেয়েছিলাম। তারা দেয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, তার মনে হচ্ছে, এই নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা একটি ‘খেলার মত’। কেন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটা এখনও তার কাছে স্পষ্ট নয়।

নিজের পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা তুলে ধরে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এই খুনিরা দায়মুক্তি পেয়েছিল। আমি এমনকি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারিনি, আমার বিচার পাওয়ার কোনো অধিকার ছিল না। সেই সময় তারা কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বরং একজন হত্যাকারী আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের বারবার অনুরোধ করেছি, তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য। তারা করেনি। কেন তারা শুনছে না, আমি জানি না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত এপ্রিলে সংসদে এক বক্তব্যে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে কোনো দেশে ক্ষমতা উল্টাতে পারে, পাল্টাতে পারে। সে প্রসঙ্গেও সাক্ষাৎকারে তাকে প্রশ্ন করে বিবিসি।  

জবাবে তিনি বলেন, আমার কাছে একটা বড় প্রশ্ন হল, কেন তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করল? যখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের সন্ত্রাস মোকাবেলার জন্য কাজ করছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তখন তারা লঙ্ঘনকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যারা ভুক্তভোগী, তাদের পক্ষে নয়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, জাতিসংঘ, সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে- বিবিসির সাংবাদিক এই প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, “আমি জানি ১২টি প্রতিষ্ঠান মিলে এসব বক্তব্য দিয়েছে, কিন্তু তারা প্রমাণ করতে পারেনি। আমি জানি না কী আন্তর্জাতিক খেলা চলছে।”

বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ২০ হাজারের মত মামলা, সাত হাজারের বেশি বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের তথ্যের প্রসঙ্গ ধরে বিবিসির প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, হ্যাঁ, কিন্তু তারা কী করেছিল? তারা মানুষ হত্যা করেছে, তারা ককটেল ছুড়েছে, তারা পাবলিক বাসে আগুন দিয়েছে। ৩৮০০ পাবলিক বাসের ভেতরে যাত্রীদের রেখেই আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তারা সাধারণ মানুষ হত্যা করেছে, ট্রেন, লঞ্চ, প্রাইভেট কারে আগুন দিয়েছে। আপনি হলে কি করতেন? আপনারা কি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতেন না?

বাংলাদেশে গত বছরও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছিল-প্রথম আলো

বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ২০২২ সালজুড়ে অব্যাহত ছিল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংগঠনসহ স্থানীয় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এ কথা বলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল সোমবার এই বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর সময়কালের আলোকে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত বছর শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদ্‌যাপন নিশ্চিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল সরকার। সরকারের নেওয়া এই নিরাপত্তাব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ধর্মীয় সংখ্যালঘু নেতারা। গত বছর বড় ধরনের সহিংসতা ছাড়াই এই ধর্মীয় উৎসব উদ্‌যাপিত হয়।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

জামা মসজিদের নিচে কৃষ্ণমূর্তি! হিন্দু ট্রাস্ট্রের মামলা গ্রহণ করে বিশেষ নির্দেশ আদালতের-সংবাদ প্রতিদিন

আগ্রার (Agra) জামা মসজিদের সিঁড়ির নিচে রয়েছে কৃষ্ণমূর্তি। ওই তা খনন করে ফেরানো হোক শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি সংস্কৃত সেবা ট্রাস্টকে। এমন দাবিতে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মামলা হয়েছিল আগ্রার একটি নিম্ন আদালতে। চাঞ্চল্যকর দাবি করেছিলেন এক আইনজীবী। পরে একই দাবিতে মামলা করেছিলেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান। সোমবার আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করেছে। এইসঙ্গে বিষয়টির সঙ্গে সম্পর্কিত উত্তরপ্রদেশ ওয়াকফ বোর্ড-সহ সব পক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে সব পক্ষের মতামত জানতে চেয়েছে নিম্ম আদালত।

 

গত ১১ মে মসজিদ থেকে শ্রীকৃষ্ণমূর্তি খননের আবেদন জানানো হয় নিম্ন আদালতে। আবেদন করেন শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি সংস্কৃত সেবা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মনোজ কুমার পান্ডে। যাবতীয় ঘটনার সূত্রপাত মথুরার এক ধর্মীয় প্রচারক দেবকিনন্দন ঠাকুরের বক্তব্য থেকে। তিনি আগ্রায় অনুষ্ঠিত ‘ভাগবত কথা’-তে দাবি করেছিলেন, জামা মসজিদের সিঁড়ির তলায় রয়েছে ভগবান কেশবের একাধিক মূর্তি। এরপরই দাবি ওঠে, ওই মূর্তিগুলি হিন্দুদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।

শ্রীকৃষ্ণ সেবা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মনোজের বক্তব্য, “প্রতিদিন মসজিদের সিঁড়ি বেয়ে নমাজ পড়তে যান মুসলিমরা। ওই সিঁড়ির নিচেই রয়েছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। এই ঘটনা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি চরম অশ্রদ্ধার প্রকাশ। যেহেতু মুসলমানরা ঠাকুর দেবকিনন্দনের আবেদনে কর্ণপাত করেনি, সিঁড়ি খুঁড়ে দেবতার মূর্তি উদ্ধার অনুমতি দেয়নি, তাই আদালতে যাওয়াই ছিল একমাত্র পথ।” মনোজ দাবি করেছেন, মসজিদের সিঁড়ির নিচে যে মূর্তি পুঁতে রাখা আছে, এই বিষয়ে তাঁর কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। মঘুল আমলে লেখা একটি বই আদালতে উপস্থাপন করবেন তিনি। মনোজ আরও জানিয়েছেন, খননের যাবতীয় খরচ দিতেও রাজি আছে ট্রাস্ট।

এই মামলাতেই ইন্তাজামিয়া কমিটি, শাহি মসজিদ আগ্রা ফোর্ট, ছোটি মসজিদ দিওয়ান-ই-খাস, আগ্রা ফোর্টের মসজিদের সম্পাদক জাহানারা বেগম, উত্তরপ্রদেশ ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি সংস্কৃত সেবা ট্রাস্টের সম্পাদককে নোটিস পাঠিয়েছে আদালত। এই বিষয়ে সব পক্ষের মতামত চাওয়া হয়েছে।

এবার ‘বুলডোজার শাসন’ দেবভূমি উত্তরাখণ্ডে, ৩০০ ‘বেআইনি’ মাজার গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন-সংবাদ প্রতিদিন

 

যোগীরাজ্যে নয়, এবার বিজেপি (BJP) শাসিত উত্তরাখণ্ডেও (Uttarakhand) বুলডোজার শাসন! গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৩৩০টি ‘বেআইনি’ মাজার। প্রাশাসনের দাবি, ওই মাজারগুলির অধিকাংশই সরকারি জমিতে অবৈধভাবে গজিয়ে উঠেছিল। সেই কারণেই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পু্ষ্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami) জানিয়েছেন, দেবভূমিতে জমি-জেহাদের ষড়যন্ত্র রেয়াত করা হবে না।

মুখ্যমন্ত্রী ধামির অনুমতিতে গত ৯০ দিন ধরে চালানো হচ্ছে ‘বৃহত্তম সাফাই অভিযান’। তাতেই বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৩৩০টি মাজার এবং একই ধরনের ধর্মস্থান। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের কার্যাকলাপে বাড়বাড়ি নিয়ে সতর্ক করেছিল গোয়েন্দারা। এরপরই বেআইনি মাজারগুলিকে গুঁড়িয়ে দেওযার সিদ্ধান্ত হয়। পুষ্কর সিং ধামির সাফ কথা, “দেবভূমিতে অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা উত্তরাখণ্ডে জমি-জেহাদ সহ্য করব না।”

এদিকে গেরুয়া সরকারের বুলডোজার শাসনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে বিরোধী দল কংগ্রেস (Congress)। তাদের বক্তব্য, ১৯৮০ সাল বা তার আগে তৈরি মাজারগুলিকে বৈধতা দেওয়া উচিত ছিল। যদিও বিরোধীদের যুক্তি মানতে নারাজ বিজেপি সরকার। জানা গিয়েছে দেবভূমির পাহাড়-জঙ্গলে থাকা দুর্গম অঞ্চলের মাজারগুলিকে রেয়াত করা হয়নি। বুলডোজার চালিয়ে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলিকেও।

‘আমার দাদাই মুখ্যমন্ত্রী হবে’, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর দাবি শিবকুমারের ভাইয়ের-সংবাদ প্রতিদিন

শিবকুমারকেই (D K Shivkumar) কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চাই- দিল্লিতে গিয়ে কংগ্রেস (Congress) হাই কম্যান্ডকে সাফ জানিয়ে দিলেন কর্ণাটকের প্রদেশ সভাপতির ভাই সুরেশ। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নিতে একাধিক বৈঠক করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) ও শিবকুমারের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে বেশ বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস, এমনটাই সূত্রের খবর। এহেন পরিস্থিতিতে শিবকুমার বলেন, দল হল মায়ের মতো। মা তাঁর সন্তানকে সবকিছু দেন।

কেন্দ্রীয় বঞ্চনা, চাকরি বাতিলের সঙ্গে ডিএ’র সম্পর্ক কী?  বক্তব্যে প্রশ্ন কর্মচারীদের-গণশক্তি

‘ডিএ’র দাবিতে আন্দোলনের জন্য ৩৬ হাজারের চাকরি গিয়েছে’। ‘ডিএ ঐচ্ছিক’। ‘সব জায়গায় কোঅর্ডিনেশন কমিটি ঢুকে রয়েছে’। ‘কেন্দ্রের মতো ডিএ চাইলে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি করুন’। ‘৫-৬ লক্ষ পদে নিয়োগ করা যাচ্ছে না, বেকাররা কাজ পাচ্ছে না’। ‘ডিএ চাইলে কেন্দ্রের থেকে টাকা এনে দিন’। 

হুমকি দিলেন আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের। জুড়ে দিলেন শিক্ষায় বেনিয়মের নিয়োগের দায়ে চাকরি বাতিলের নির্দেশকেও। সোমবার এমনই বিভিন্ন মন্তব্য করে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এক প্রশ্নে মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন যে এ মাসের শেষে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি যাচ্ছেন।

রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কোঅর্ডিনেশন কমিটি একাধিক প্রশ্ন তুলেছে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেছেন, ‘‘মহার্ঘভাতা ঐচ্ছিক নয়। এটা কর্মচারীদের অধিকার। দেশের সব রাজ্যে সর্বভারতীয় ক্রেতা মূল্য সূচকের নিরিখে তা ঠিক হয়। সব রাজ্যেই এই নিরিখে ডিএ দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গে তা দেওয়া হচ্ছে না।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে অন্য অংশের বিচ্ছিন্নতা তৈরি করতে চাইছে রাজ্য সরকার।’’

কেন্দ্রের বকেয়ার যুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি কর্মচারীরা। গুপ্ত চৌধুরী বলছেন, ‘‘কেন্দ্রীয় প্রকল্প এবং নির্দিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে অনুদান পাঠায়। ডিএ বা মহার্ঘভাতা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যের, তার নিজস্ব আয় থেকে। ডিএ বকেয়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার যুক্তি দেওয়া যায় না।’’ 

মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতার চাকরি পান ববিতা, ববিতার চাকরি পেলেন অনামিকা! তিন কন্যার যুদ্ধ-আনন্দাবাজার পত্রিকা

মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছে, শুধু ববিতার চাকরিই নয়, প্রাথমিক শিক্ষিকার বেতন বাবদ ববিতা যে টাকা পেয়েছিলেন, সেই ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৪৩ টাকার পুরোটাই দিয়ে দিতে হবে অনামিকাকে।

এদিকে, চাকরি খুইয়ে আদালতেই কেঁদে ফেললেন ববিতা!  বললেন ‘গাড়ি কিনে ফেলেছি, কী করে এখন সব টাকা দেব?’ আদালতের নির্দেশ, আগামী ৬ জুনের মধ্যে ববিতাকে ১৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৪৩ টাকা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে। সেই টাকা তুলে দেওয়া হবে নতুন চাকরি প্রাপক অনামিকার হাতে।

আশঙ্কা তো ছিলই। তবে আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে শুনে নিজেকে আর আটকাতে পারলেন না। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন ববিতা সরকার। কাঁদতে কাঁদতেই জানালেন, তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে কোনও ভুল করেননি, করেছেন না বুঝে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৬