জুন ১১, ২০২৩ ২১:৪৯ Asia/Dhaka

পবিত্রতা আর আলোকিত মানুষ গড়া নারীর শ্রেষ্ঠ কারিশমা! মায়ের দোয়ায় সন্তানের জগত হয় আলোকিত পুষ্পিত! মা, বোন, কন্যা, জায়া ও জননীর অভিশাপে পুরুষ হারায় সব কুল!

ধরণীর শোভা বর্ণিল, বিচিত্র-সুরভিত কত ফুল

বিচিত্র মানবী নিয়ে বিধাতা গড়েছেন মানব-ফুল!

তারা নারী! তোমার আমার বোন, কন্যা, জায়া, জননী

কখনও অনন্য দর্পণ, শুধরে দেয়া পোশাক, ঘরের রাণী! 

ওরা কোমলতা, সেবা ও দয়ার প্রশান্ত উপকূল!

তারা তো মায়ের জাতি! সর্বোচ্চ ভূষণ স্নেহ-যত্নের!

এগিয়ে যায় সভ্যতা ছায়া পেয়ে তাদের স্নিগ্ধ ও পবিত্র মনের

কঠোরতা ও শোষণের নিগড়ে যখন হয় তারা বন্দিনী

থেমে যায়- ম্লান নিষ্প্রভ  হয় গ্রহতারা উজ্জ্বল তারাকালোকের

নারী যখন হয় বিপ্লবী আসিয়া মরিয়ম খাদিজা অথবা ফাতিমা

বেহেশত গড়ে ওঠে তাদের পদতলে

নারী যদি হয় নুহের বা লুতের স্ত্রীর উপমা

ধ্বংস অথবা নরকের দ্বার যায় খুলে!

নারী যখন ধৈর্যের পাহাড় যাইনাব অথবা পতি-প্রাণ রহিমা

মানবতা পায় অনন্য শক্তি বিপ্লব হয় সুরক্ষিত

ত্যাগের বাণী হয় উচ্চকিত!

উম্মুল বানীনেরা শহীদের মাতা হয়ে মানবতাকে দেয় স্বর্গীয় মহিমা!

নারীকে নিয়ে তাই কেউ করো না ভুল

কন্যার জন্মে হয়ো না কুণ্ঠিত লজ্জিত!

পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে পরিবার গঠন বিশ্রাম, বিনোদন ও প্রশান্তি লাভের জন্য জরুরি। আর প্রত্যেক মানব ও মানবী পরিবার গঠনের মাধ্যমে মানবীয় পূর্ণতা অর্জন করে। পরিবারের মূল বন্ধন বা ভিত্তি হচ্ছে দয়া ও ভালবাসা। কেবল আইন বা নিয়মের বাঁধন দিয়ে পরিবারকে টিকিয়ে রাখা যায় না। কেবল আইনের ছায়ায় হয়তো বস্তুগত অধিকার বা নিজ নিজ স্বার্থ আদায় করা যায় কিন্তু পরস্পরের আস্থা, আধ্যাত্মিকতা ও ভালবাসা অর্জন করা যায় না।দাম্পত্য জীবনের বন্ধনকে মজবুত করতে চাইলে ও সমাজকে যোগ্য আর সৎ নাগরিক উপহার দিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট জরুরি ইসলামী শিক্ষা অর্জন করা ছাড়া এ দুই মহান লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব নয়। মহানবী (সা) ও তাঁর আহলে বাইতের পারিবারিক জীবন এক্ষেত্রে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য একমাত্র অনুকরণীয় আদর্শ। পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের পরিপূরক। তারা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নন।

প্রকৃত মানুষ হতে চাইলে তথা মহান আল্লাহর নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে পারিবারিক মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতাগুলো মেনে চলতে হবে ইসলামের এইসব সূত্র বা বিধি-বিধানের আলোকে। এইসব সূত্র বা বিধানের কয়েকটি হল: আদর্শ পরিবার গঠনের লক্ষ্যে পরিবারের সদস্যরা পরস্পরের প্রতি আস্থাশীল হোন বা পরস্পরের আস্থা অর্জন করার মত কাজ করুন। আস্থা অর্জনের পর এর অপব্যবহার করবেন না। পরস্পরের মানসিক ও দৈহিক সুস্থতার প্রতি যত্নশীল হোন। সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করুন, নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন। গায়ের জোরে কিছু চাপিয়ে না দিয়ে বিবেক, বুদ্ধি ও যুক্তির মাধ্যমে সেসব প্রয়োগ করুন। পরস্পরের ভুল-ত্রুটির প্রতি ক্ষমাশীল হোন এবং তিরস্কার না করে দোষ-ত্রুটি এড়িয়ে চলুন বা ছোটখাটো দোষ-ত্রুটি দেখেও না দেখার ভান করুন। প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের সমাদর করুন । নিজের স্বামী বা নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্যের স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করবেন না এবং অন্যের স্বামী বা স্ত্রীদের যোগ্যতা ও সামর্থ্যের সঙ্গে নিজের স্বামী বা স্ত্রীর যোগ্যতার তুলনা করবেন না।

দাদা-দাদী বা নানা নানী কাছে থাকলে শিশুদের খুব ভালো ঘুম হয় এবং তারা একাকিত্ব বোধ করে না।

 

দাদা-দাদি কিংবা নানা-নানী পরিবারের সঙ্গে থাকলে তা অনেক বরকত বয়ে আনে। শিশুরা দাদা-দাদী বা নানা-নানীর কাছে থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। শিশুদের ব্যক্তিত্ব এতে হয় বিকশিত । শিশুদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞ এই মুরব্বি শ্রেণীর মানুষের উপস্থিতিকে বিপদ নয় বরং সম্পদ মনে করা উচিত। যেসব বাবা মা চাকুরীজীবী তাদের ঘরে সন্তানের দাদা-দাদীর বা নানা-নানীর উপস্থিতি অত্যন্ত বড় ধরনের খোদায়ি নেয়ামত। বিশেষ করে সন্তানদের লালন-পালন, নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি অত্যন্ত ফলদায়ক।অবশ্য অনেক অনভিজ্ঞ দাদা-দাদী বা নানা নানী তাদের নাতি নাতনিকে বেশ আদর স্নেহ যোগাতে গিয়ে তাদের ক্ষতি করতে পারেন। যেমন, শিশুদের অতিরিক্ত মাত্রায় চকলেট বা কোনো খাবার দেয়া। তাই এ বিষয়ে ভদ্রভাবে তাদেরকে সচেতন করে রাখা উচিত। তাদেরকে বোঝাতে হবে যে বেশি খাবার দিলে আপনার নাতি বা নাতনিরা মোটা ও অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী হবে।

দাদা-দাদী বা নানা নানী কাছে থাকলে শিশুদের খুব ভালো ঘুম হয় এবং তারা একাকিত্ব বোধ করে না। দাদা-দাদীর কাছে গল্প শুনতে শুনতে শিশুরা ঘুমিয়ে পড়লে ও তাদের আদরের স্পর্শে ঘুম থেকে জেগে উঠলে তারা ভয় ও উদ্বেগের শিকার খুব কমই হয়। যেমন, ভুতের ভয়, চোরের ভয় ও বৈদ্যুতিক কোনো কিছুর মত বিপজ্জনক বস্তু থেকে অনিরাপদ থাকার ভয় ইত্যাদি থাকে না।শিশুরা দাদা-দাদি ও নানা নানীর কাছে থাকলে সমাজের অন্য অনেক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বা পরিচিতি গড়ে ওঠা সহজ হয়। ফলে শিশুরা হয়ে ওঠে অনেক বেশি সামাজিক।

অনেক সময় বাবা-মায়ের জীবন-যাপনের পদ্ধতি বা লাইফস্টাইলের সঙ্গে আধুনিক বাবা-মায়ের লাইফস্টাইলের ব্যাপক অমিল থাকলে শিশুরা কোন্ পদ্ধতি অবলম্বন করবে তা বুঝে উঠতে পারে না। ফলে এসব বিষয়ে কখনও কখনও বাবা-মায়ের সঙ্গে দাদা-দাদী বা নানা নানীর মনোমালিন্য দেখা দিতে পারে। তবে এসব বিষয় কখনও শিশুদের সামনে প্রকাশ হতে দেয়া উচিত নয়। আপনার শিশুদের দেখাশুনা করা ও তাদের কিছু শেখাতে যাওয়া দাদা-দাদী বা নানা নানীর করণীয় কর্তব্য না হওয়া সত্ত্বেও তারা যখন এসব কাজ করে দেন তখন আপনার উচিত তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া।

জাতি হয় সমৃদ্ধ যেখানে বিপুল রত্নগর্ভা পবিত্র জ্ঞানী-গুণী মাতা

তাঁদের মহতী হাত গড়ে জাতীয় ইতিহাসের সোনালী সব পাতা

জগতের সেরা ফুল বিশ্বদুলালী মা ফাতিমা

খাদিজা, আসিয়া, মারিয়াম ধরার বুকে দিয়েছেন স্বর্গের শ্যামলিমা

স্মরণীয় ফুল আমিনা, সুমাইয়া মানব মানবীর গৌরব গরিমা!

কুরআনের নারী হাজেরা, সারা, মুসার মাতা ইয়োকাবাদ

মুসার ভগ্নি উম্মে কুলসুম, সফুরা, হান্না, ও ইয়াসাবাত।

স্মরণীয় বিজ্ঞ বিলকিস ও শেষ ত্রাণকর্তার মাতা নারগিস

ধরণী ধন্য তাদের নিয়ে! জগতে তারা খোদায়ি করুণার ধারা

বিধাতার দারুণ সৃষ্টি অনন্য আশীষ!! #

পার্সটুডে/এমএএইচ/১১

 

ট্যাগ