আগস্ট ৩০, ২০২৩ ২০:০৪ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। ৩০ আগস্ট (বুধবার) ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো শিরোনাম জানিয়ে দেব।

ঢাকার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:

  • ড. ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছেন ফখরুলরা: কাদের-দৈনিক সমকাল
  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছুই পরিবর্তন হয়নি, দাবি টিআইবির- ইত্তেফাক
  • সোয়া ৩ কোটি টাকায় কার্যালয় কেনা নিয়ে আলোচনায় নুরুলের গণ অধিকার- প্রথম আলো
  • ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, দেড় ঘণ্টা আলোচনা’- দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • প্রধানমন্ত্রী কী মিন করে বলেছেন আমি জানি না: বাণিজ্যমন্ত্রী - যুগান্তর
  • ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করে অর্থনীতি ভুল দিকে চলছে, ৪৮ শতাংশ মানুষ মনে করে রাজনীতি ভুল পথে চলছে- মানবজমিন
  • জনগণ এক দফা দাবির আন্দোলনে বিজয় লাভ করবেই : মির্জা ফখরুল- দৈনিক নয়া দিগন্ত

কোলকাতার পত্রপত্রিকার শিরোনাম

  • চাঁদে দাঁড়িয়ে ‘অভিযানের সেরা ছবি’ তুলে ফেলল প্রজ্ঞান! ইসরো প্রকাশ্যে আনল ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত-দৈনিক আনন্দবাজার প্রত্রিকা
  • পক্ষে দেশের ৮০ শতাংশই! সমীক্ষায় ‘মোদিময়’ ভারত: সংবাদ প্রতিদিন
  • চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারের নকশা তৈরির দাবি, সুরাটে গ্রেপ্তার ভুয়ো ইসরোর বিজ্ঞানী– দৈনিক আজকাল
  • যাঁরা অন্যের ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করেন, তারা আসলে নিজের ধর্মকে অপমান করেন…… স্বামী চন্দ্রদেবজী মহারাজ: পূবের কলম 

শ্রোতাবন্ধুরা এবার বাংলাদেশের কয়েকটি খবরের বিস্তুারিত

ড. ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছেন ফখরুলরা: কাদের-দৈনিক সমকাল

আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি নতুন খেলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা আন্দোলন করে গোলাপবাগের গরুর হাটে হোঁচট খেয়েছেন। আন্দোলন এখন আর জমে না। বাজারে ভাটা পড়ে গেছে, এমতাবস্থায় আবার নতুন খেলা ড. ইউনূসকে নিয়ে শুরু করেছেন।'

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুলের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনে পরাজিত হয়ে আবারও ওয়ান-ইলেভেনের দুঃস্বপ্ন দেখছেন। আন্দোলনে পারলেন না, শেখ হাসিনাকে হটাতে হবে!কীভাবে হটাতে হবে? ওয়ান-ইলেভেনের মতো ড. ইউনূসের নেতৃত্বে একটা নতুন সরকার এমন কথা-বার্তা বাজারে শোনা যাচ্ছে। সেই দুঃস্বপ্ন দেখছেন কিনা জানি না। ওয়ান-ইলেভেনের সময় ইউনূস সাহেব কম চেষ্টা তো করেননি। তখনও ওনার ক্ষমতার খায়েশ হয়েছিল। সে খায়েশ পূর্ণ হয়নি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আক্ষেপ করে বলেন, আমরা এমন দেশে আছি, যে দেশে আমরা রাজনীতিতে সহাবস্থান করতে হচ্ছে পঁচাত্তরের খুনিদের সঙ্গে। সহাবস্থান করছি জাতীয় ৪ নেতার যারা হন্তারক, তাদের সঙ্গে আমাদের রাজনীতি করতে হচ্ছে।

সোয়া ৩ কোটি টাকায় কার্যালয় কেনা নিয়ে আলোচনায় নুরুলের গণ অধিকার- প্রথম আলো

দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হাতছাড়া হয়ে গেছে নুরুল হকের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের। এর পর থেকেই নতুন স্থায়ী কার্যালয় কেনার চেষ্টা করছে তারা। জায়গা খোঁজার পাশাপাশি চাঁদাও তোলা হচ্ছে। এর মধ্যেই সোয়া তিন কোটি টাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় কেনার ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় এসেছে দলটি।  

কেন্দ্রীয় কার্যালয় কেনা নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে ৯ আগস্ট একটি পোস্ট দিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক (নুর)। তাতে বলা হয়, কার্যালয়ের বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা মোটামুটি চূড়ান্ত। ১৮ হাজার ৯০০ টাকা প্রতি বর্গফুট মূল্যে ৩ কোটি ২৩ লাখ টাকায় পল্টন এলাকায় কার্যালয় কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১ কোটি টাকা বুকিং মানি দেওয়া হবে। বাকিটাও দ্রুত পরিশোধ করা হবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কার্যালয়ের জন্য একটি জায়গা দেখা হয়েছিল। নেতা–কর্মীদের উৎসাহিত করতে এবং অর্থদাতাদের আগ্রহ বাড়াতে বিষয়টি ফেসবুকে দিয়েছিলাম। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আর্থিক কোনো লেনদেন হয়নি। বিষয়টি গণমাধ্যমে ভিন্নভাবে আসায় প্রতিষ্ঠানটি এখন জায়গাটি গণ অধিকার পরিষদকে দিতে চাইছে না।

ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, দেড় ঘণ্টা আলোচনা- দৈনিক কালেরকণ্ঠ

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এ সময় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করেন।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষাৎকালে সাম্প্রতিক জঙ্গি অভিযান ও গ্রেপ্তার এবং রাজধানীর আইনশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী কী মিন করে বলেছেন আমি জানি না: বাণিজ্যমন্ত্রী - যুগান্তর

নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না-বাণিজ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি এমনটা বলে থাকলে তাকে ধরা হবে। এ প্রসঙ্গে আজ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমি তো এ বিষয়ে কিছু জানি না। উনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কী মিন করে বলেছেন, কোন পরিস্থিতিতে বলেছেন, আমি জানি না।  

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার্সের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর তাকে ধরার প্রসঙ্গে নিজেকে ডিফেন্ড করবেন কিনা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী কি বলেছেন,‌ কি মিন‌ (বোঝাতে) করেছেন সেটা তিনি ভালো জানেন। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে পারব না। বাজারে সিন্ডিকেট আছে, সিন্ডিকেট ভাঙব এ ধরনের কোনো কথা তো আমি বলিনি। বলেছি যে, আমাদের যখন জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, আমরা চেষ্টা করি, কখনো কখনো আমাদের লোকবল কম থাকার কারণে এমন হয়। আমি জানি না কালকের প্রশ্ন কী ছিল। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী মিন করে বলেছেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গতকালের মিটিংয়ের পরে তো আমি উনার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টা ছিলাম। এ বিষয়ে উনার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। 

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছুই পরিবর্তন হয়নি, দাবি টিআইবির- ইত্তেফাক

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম ও কিছু ধারা পরিবর্তন করে নতুন যে সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া করা হয়েছে, সেখানে প্রকৃতপক্ষে কিছুই পরিবর্তন হয়নি।

বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনের নতুন ধারা ও পরিবর্তন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সাইবার নিরাপত্তা আইনকে ‘কালো আইন’ হিসেবে উল্লেখ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘ডিজিটাল আইন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে যে, এটি একটি ‘কালো আইন’। সাইবার নিরাপত্তা না দিয়ে এই আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল আইন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সরকার প্রমাণ করেছে যে, এটি একটি ‘কালো আইন’। সাইবার নিরাপত্তা না দিয়ে এই আইন মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে। যখন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কার্যকর হয়, তখন আমরা এটা বাতিল করতে বলছিলাম। এবার যখন সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া বানানো হলো, সেটিও একই রকম রয়েছে। শুধু কিছু অংশে পরিবর্তন আছে, যা পরিষ্কার নয়। অনেক ক্ষেত্রে হুবহু কপি পেস্ট করা হয়েছে। এই আইন যদি এভাবে পাস হয়, তাহলে আবার এটাকে বাতিল করার আহ্বান করবো।

জনগণ এক দফা দাবির আন্দোলনে বিজয় লাভ করবেই : মির্জা ফখরুল- দৈনিক নয়া দিগন্ত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সকল দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবেলা করেই জনগণ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবির আন্দোলন বিজয় লাভ করবেই।

বুধবার (৩০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, 'গতকাল আদালত বের হওয়ার পর রাস্তা থেকে বিএনপি’র সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছকে সাদা পোশাকধারি গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে অস্বীকার করার পর আজ তাকে আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাদের এভাবে উঠিয়ে নিয়ে প্রথমে অস্বীকার এবং পরবর্তীতে আদালতে সোপর্দের ঘটনা এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করাটা অবৈধ আওয়ামী সরকারি নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি বলেন, মধ্যরাতের নির্বাচনের পরও অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে সবসময় অজানা আশংকায় উদ্বিগ্ন থাকে। তাই বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ভয় পাইয়ে রাখার জন্য গুম, ক্রসফায়ারের ধারাবাহিকতা চালু রাখা হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী ও সরকারের সমালোচকরাই আজ সবচেয়ে বেশি গুম ও গায়েবি মামলায় গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন।

পক্ষে দেশের ৮০ শতাংশই! সমীক্ষায় মোদিময় ভারত: সংবাদ প্রতিদিন

প্রতি ১০ ভারতীয়র মধ্যে ৮ জনই পছন্দ করেন মোদিকে। পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই এক সমীক্ষার কথা। সামনের বছরই লোকসভা নির্বাচন। তার ঠিক আগেই প্রকাশ্যে এল এমন এক সমীক্ষার ফলাফল।

ঠিক কী জানা যাচ্ছে এই সমীক্ষা থেকে? দেখা গিয়েছে, দেশের ৫৫ শতাংশ মানুষ মোদিকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। সব মিলিয়ে মোদিকে (PM Modi) পছন্দ করেন ৮০ শতাংশ। সেখানে তাঁর প্রতি নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে ২০ শতাংশের। পাশাপাশি রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, যাঁরা এনডিএ সমর্থক, তাঁদের মতে বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থান ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। দেখা গিয়েছে প্রতি দশ জনে ৭ জন তা মনে করেন। অন্যদিকে বাকিরা মনে করেন উলটোটা। অর্থাৎ আগের থেকে দুর্বল হয়ে গিয়েছে দেশ।

এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও অধিকাংশ ভারতীয়ই কিন্তু পুতিনকে সমর্থন করছেন। সব মিলিয়ে এবছর যে ২৪টি দেশের নাগরিকদের উপর এই সংক্রান্ত সমীক্ষা চালানো হয়েছে,তাদের মধ্যে একমাত্র ভারতীয়রাই রাশিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ৫৭ শতাংশ ভারতীয়রাই রয়েছেন মস্কোর পাশে। প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ থেকে ১১ মে সময়কালের মধ্যে ২ হাজার ৬১১ জনের মধ্যে সমীক্ষা করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।

চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারের নকশা তৈরির দাবি, সুরাটে গ্রেপ্তার ভুয়ো ইসরোর বিজ্ঞানী দৈনিক আজকাল

চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের নকশা তাঁর তৈরি! নিজেকে ইসরোর বিজ্ঞানী বলে ছবিও পোস্ট! পুলিশের নজরে আসতেই গুজরাটের সুরাট থেকে গ্রেপ্তার ভুয়ো ইসরোর বিজ্ঞানী।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম মিতুল ত্রিদেবী। তিনি আসলে প্রাইভেট শিক্ষক। ছোট একটি কোচিং সেন্টারে পড়ান। গত বুধবার চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের সফল অবতরণের পরেই নিজেকে ইসরোর বিজ্ঞানী বলে পরিচয় দেন তিনি। এরপর স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারও দেন। 

মিতুলের দাবি, ল্যান্ডারের নকশা তিনি তৈরি করেছেন। ২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি সহকারী চেয়ারম্যান হিসেবে ইসরোয় যোগ দিয়েছেন। অর্থাৎ ভুয়ো বিজ্ঞানী পরিচয়ের পাশাপাশি ভুয়ো নিয়োগপত্রও তৈরি করেন তিনি। এরপরই মিতুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মিতুল জানিয়েছেন, কোচিং আরও পড়ুয়া যাতে ভর্তি হয়, সেকারণেই ভুয়ো বিজ্ঞানী পরিচয় দেন তিনি। 

চাঁদে দাঁড়িয়ে অভিযানের সেরা ছবি তুলে ফেলল প্রজ্ঞান! ইসরো প্রকাশ্যে আনল ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত-দৈনিক আনন্দবাজার প্রত্রিকা

চাঁদে এক সপ্তাহ কাটিয়ে ফেলল চন্দ্রযান-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান। তার হাতে বাকি আরও এক সপ্তাহ। এর মাঝে ‘অভিযানের সেরা ছবি’ উঠেছে প্রজ্ঞানের ক্যামেরায়। বুধবার টুইটে সেই ছবি প্রকাশ করেছে ইসরো। সেই ছবিতে আসলে ক্যামেরাবন্দি হয়েছে ইসরোর ল্যান্ডার বিক্রম।

ইসরো টুইটে জানিয়েছে, বুধবার সকালেই বিক্রমের একটি ছবি তুলেছে প্রজ্ঞান। একে ‘অভিযানের সেরা ছবি’ (ইমেজ অফ দ্য মিশন) তকমা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ছবিটি উঠেছে রোভারের নেভিগেশন ক্যামেরাতে।

ইসরো জানিয়েছে, এই নেভিগেশন ক্যামেরাটি বিশেষ ভাবে চন্দ্রযান-৩-এর জন্যই তৈরি করা হয়েছে। এই ক্যামেরা তৈরি হয়েছে ইলেকট্রো-অপটিক্স সিস্টেমের গবেষণাগারে।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরো টুইট করে জানিয়েছিল, চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে সালফারের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। এ ছাড়াও মিলেছে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্রোমিয়াম, টাইটেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন, অক্সিজেনের অস্তিত্ব। ইসরো জানিয়েছিল, হাইড্রোজেনের খোঁজ চলছে চাঁদের ওই অঞ্চলে। প্রজ্ঞানে রয়েছে লেজ়ার-ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেক্ট্রোস্কোপ (এলআইবিএস)। নমুনা সংগ্রহ করে তা লেজ়ার প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা করে এই প্রযুক্তি। এটিও ইলেকট্রো-অপটিক্স সিস্টেমের গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে।

গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে নেমেছিল চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার। পরের দিন ভোরে ইসরো জানায়, ল্যান্ডারের পেট থেকে সফল ভাবে বেরিয়েছে রোভার প্রজ্ঞান। সেটি ঘুরে ঘুরে চাঁদের মাটিতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ছ’চাকা বিশিষ্ট এই রোভারের গতি সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার মাত্র। ১৪ দিন অর্থাৎ এক চন্দ্রদিবস পর্যন্তই তার আয়ু। চাঁদে সূর্য ডুবে গেলে আর এই যন্ত্র কাজ করবে না।

যাঁরা অন্যের ধর্মগ্রন্থের অবমাননা করেন, তারা আসলে নিজের ধর্মকে অপমান করেন…… স্বামী চন্দ্রদেবজী মহারাজ: পূবের কলম 

যাঁরা অন্যের ধর্মগ্রন্থের  অবমাননা করেন, তাঁরা পরোক্ষে নিজেদের ধর্মকে অপমান করেন। এই ধরনের কাজ যাঁরা করেন তাঁরা ধর্মের পথে চলেন না। তাঁদের একমাত্র কাজ সমাজে সর্বদা ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো। প্রত্যেকের উচিত একে অপরের ধর্মগ্রন্থকে সম্মান করা।’ সোমবার সন্ধ্যায় ইন্ডিয়া ইসলামিক কালচারাল হাউস (দিল্লি)-এর ‘পবিত্র কুরআন, সমস্ত পবিত্র ধর্মগ্রন্থকে সম্মানের পতাকাবাহী’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন স্বামী চন্দ্রদেবজী মহারাজ।

ইরান কালচার হাউস নয়াদিল্লির কাউন্সেলর ড. ফরিদুদ্দিন ফরিদ উল আসর বলেন, ‘একজন ব্যক্তি সে যে ধর্মের অনুসারীই হোন কেন, তাঁর উচিত সব ধর্মের ধর্মগ্রন্থকে সম্মান করা, পৃথিবীর সব ধর্মই এই শিক্ষা দেয়।’ উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজের ধর্মীয় গ্রন্থকে যতখুশি শ্রদ্ধা করুন, ভালোবাসুন, সম্মান করুন। কিন্তু অন্যের ধর্মগ্রন্থ সম্পর্কে কিছু বলবেন না। ইসলাম সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি ধর্ম। সমগ্র বিশ্ববাসীর হেদায়েতের জন্য আল্লাহ্তায়ালা নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) -এর মাধ্যমে নাজিল করেছেন। সাম্প্রতিককালে যে দেশে কুরআনকে অপমান করা হয়েছে, তা অসহনীয়। স্বাধীনতার মানে এই নয় যে, অন্য ধর্মীয় গ্রন্থের অসম্মান করতে হবে। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র মুসলিম ধর্মীয় নেতারই নন, বিশ্বের সবক’টি মুসলিম দেশ গর্জে উঠেছে। এরপর ডা. ফরিদউদ্দিন বলেন, সুইডেনে যেভাবে কুরআনের অপমান করা হচ্ছে, তা অবিলম্বে রোখা খুবই জরুরি।#

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৩০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।