ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩ ১৭:৫৩ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • পিটার হাসের বিরুদ্ধে রাশিয়ার করা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা: যুক্তরাষ্ট্র -প্রথম আলো
  • বাংলাদেশে গার্মেন্টসের স্থায়িত্বে শ্রম অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পিটার হাস -মানবজমিন
  • গাজা পরিস্থিতি মানবেতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থার কাছাকাছি: ডব্লিউএইচও ‘-ইত্তেফাক
  • ‘সুষ্ঠু নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে: ডিবির হারুন’ -যুগান্তর
  • জাতীয় পার্টির সঙ্গে সুষ্ঠু নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে : কাদের- দৈনিক যায়যায় দিনি

কোলকাতার শিরোনাম:

  • মোদিজি বলে মানুষের থেকে দূরে সরিয়ে দেবেন না, আমি শুধুই মোদি’, বলছেন প্রধানমন্ত্রী-সংবাদ প্রতিদিন
  • "ওরা সবচেয়ে বড় পকেটমার", বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মমতার-দৈনিক আজকাল
  • চিনের ‘বন্ধু’ শাসকের চাপ, পড়শি দেশ থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হচ্ছে ভারতকে? -আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার প্রশ্ন (৭ ডিসেম্বর)

১. বাংলাদেশের নির্বাচনে বহুমুখী সঙ্কট। ভারতের অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনে প্রকাশিত রিপোর্টে একথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- কেন বলা হচ্ছে বহুমুখী সংকটে এই নির্বাচন?

২. জাতিসংঘ সনদের ৯৯ নং ধারা অনুসরণ করে সংকট সমাধানের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানানোর পর মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের পদত্যাগ দাবি করেছে ইসরাইল। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?

মোদিজি বলে মানুষের থেকে দূরে সরিয়ে দেবেন না, আমি শুধুই মোদি, বলছেন প্রধানমন্ত্রী-সংবাদ প্রতিদিন

নামের পাশে ‘জি’ বসিয়ে মানুষের থেকে দূরে সরিয়ে দেবেন না। ৩ রাজ্যের ভোটে বিপুল জয়ের পর দলের নেতাদের কাছে আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তাঁর বক্তব্য, “আমি শুধুই মোদি। আমাকে মোদিজি বলে মানুষের থেকে দূরে সরিয়ে দেবেন না।”

৩ রাজ্যের বিপুল জয়ের পরও মুখ্যমন্ত্রী বেছে উঠতে পারেনি বিজেপি। বৃহস্পতিবার সংসদের সেন্ট্রাল হলে বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন মোদি। দলীয় সাংসদদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, তিন রাজ্যে জয়ের কৃতিত্ব সার্বিকভাবে গোটা দলের। এবার বিজেপি সাংসদ এবং মন্ত্রীদের বিকাশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় যোগ দিতে হবে।

উল্লেখ্য, তিন রাজ্যে বিজেপির বিপুল জয়ের কৃতিত্ব অনেকেই দিচ্ছেন ‘ব্র্যান্ড মোদি’কে। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে তিন রাজ্যেই নিজেকে মুখ হিসাবে তুলে ধরেছেন, তাতেই স্থানীয় নেতাদের ব্যর্থতা, স্থানীয় সব ইস্যু ছুড়ে ফেলা গিয়েছে, মনে করছে বিজেপিও (BJP)। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই জয়ে নিজের কৃতিত্ব দেখছেন না। তাঁর বক্তব্য, এটা সার্বিক প্রচেষ্টার জয়। সকলেই পরিশ্রম করেছেন। মোদি বলছেন, তিনি মানুষের মধ্যেই থাকতে চান। তাঁর বক্তব্য, “আমাকে মোদিজি বলে মানুষের থেকে দূরে সরিয়ে দেবেন না। আমি শুধু মোদি।”

"ওরা সবচেয়ে বড় পকেটমার", বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মমতার-দৈনিক আজকাল

যারা পকেটমার তারাই পকেটমার পকেটমার বলে চিৎকার করে। ওরাই সবথেকে বড় পকেটমার। দেশের মানুষের পকেট সবথেকে বেশি ওরাই কেটেছে।" উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। রেড রোড থেকে বিধানসভা, একাধিকবার শাসক দলের বিরুদ্ধে চোর স্লোগান তুলেছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "ভোটের সময় ওরা কিছু কথা বলে, ভোট ফুরোলে অন্য কথা বলে। ওদের মতো আমরা পারি না।" উত্তরবঙ্গ সফরের জন্য ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যেতে পারেননি মমতা।
পিছিয়ে গিয়েছে বৈঠকের তারিখ। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাহুলজির সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে মিটিং নিয়ে। তামিলনাড়ুতে খুব বৃষ্টি হয়েছে। কারোর পক্ষেই এখন রাজ্য ছাড়া সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে বুধবার উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বৃহস্পতিবার আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দেবেন তিনি। সেখানে যাওয়ার কথা রয়েছে অভিষেকেরও। বরকর্তা হিসেবে যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। 

চিনের ‘বন্ধু’ শাসকের চাপ, পড়শি দেশ থেকে সেনা সরিয়ে নিতে হচ্ছে ভারতকে? -আনন্দবাজার পত্রিকা

ক্ষমতায় আসার পরেই পূর্বপ্রতিশ্রুতি মতো কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট। ভারতের পড়শি দেশে ক্ষমতার এই পালাবদল ভারতের জন্য খুব একটা স্বস্তির হয়নি। পালাবদলের পরেই তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দুই দেশের সম্পর্কে। দেশের মাটি থেকে সেনা সরিয়ে দিতে ভারতকে অনুরোধ করেছেন নতুন প্রেসিডেন্ট। কথা হচ্ছে মলদ্বীপকে নিয়ে। সেখানে সদ্য ক্ষমতায় এসেছেন মহম্মদ মুইজ়ু। ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই দ্বীপরাষ্ট্র তার পরেই ভারতকে সেনা সরানোর কথা বলেছে।

রবিবার মুইজ়ু জানিয়েছেন, তাঁর অনুরোধে ভারত সাড়া দিয়েছে। মলদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে ভারতের সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটার বার্তাও দিয়েছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুইজ়ু জানিয়েছেন, মলদ্বীপে ভারতের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা সমাধানের জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে।

মুইজ়ুর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মলদ্বীপে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। নিজের দফতরে বসে তাঁকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন মলদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট।

মলদ্বীপে ভারতের ৭৫ জন সেনা জওয়ান রয়েছেন। ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে নজরদারির কাজে সে দেশের স্থলসেনা এবং বায়ুসেনাকে সহায়তা করে থাকেন ওই জওয়ানেরা। দেশটির অর্থনৈতিক অঞ্চলের চারপাশে টহল দেয় ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ।

     

পার্সটুডে/এমবিএ/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ