ফার্সি ভাষায় ' জাঙ্গাল' جنگل মানে জঙ্গল (৭২তম পর্ব)
আপনাদের হয়তো মনে আছে, গত আসরে আমরা বলেছিলাম, মোহাম্মাদ ও রমিন রেস্টুরেন্টে খেতে খেতে কাস্পিয়ান সাগর সম্পর্কে আলাপ শুরু করেছিল।
কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী অঞ্চলের সাথে ইরানের মধ্যাঞ্চলের আবহাওয়ার ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। ইরানের মধ্যাঞ্চলে রয়েছে বিশাল বিশাল পাহাড় ও ধু ধু মরুভূমি। কিন্তু কাস্পিয়ান সাগরের তীরে রয়েছে বিশাল বিশাল বনভূমি ও বিস্তীর্ন ধানের ক্ষেত। এখানকার বাতাসে আদ্রতা অনেক বেশী যেটা ইরানের মধ্যাঞ্চলে দেখা যায় না। ইরানে মধ্যাঞ্চলে যেখানে ঢেউটিনের চালবিশিষ্ট কোন ঘরই দেখা যায় না, সেখানে কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী এলাকায় ঢেউটিনের সারি সারি বাড়ি চোখে পড়ে। টিনের চালের বাড়ি থেকেই বোঝা যায়, এই এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। আমরা এর আগের একটি আসরেও বলেছি, ইরানের গোলেস্তান, মাযান্দারান ও গিলান প্রদেশ কাস্পিয়ান সাগরের তীরে অবস্থিত। এসব প্রদেশের দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে আলবোর্য পর্বতমালা চলে গেছে। উত্তর ইরানের মনোরম আবহাওয়ার কারণে অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ, বিশেষ করে তেহরানের অধিবাসীরা ছুটি পেলেই সেখানে চলে যায়। মোহাম্মাদ ও রমিন খাওয়া শেষ করে হলে ফেরার পথে এসব বিষয়ে কথা বলে। তো রমিন ও মোহাম্মাদের কথোপকথোনে যাওয়ার আগে চলুন ফার্সি শব্দগুলোর অর্থ জেনে নেয়া যাক।
تا حالا - تو رفته ای - هنوز - من نرفته ام ـ فرق دارد ـ جنگل - انبوه - طبیعت - زیبا - چه جالب - شرجی - کشاورزی - کشاورز - چگونه - برنج - چای - پنبه - آنها می کارند - سرسبز - شغل - ماهیگیری - جا - ماهی سفید - خوشمزه - خوش - زیاد ـ ساحل - شهر - ساحلی - شنا - شهرهای ساحلی - تفریح - کنار ساحل - بندر - مهم - کدام - بندر انزلی - بندر نوشهر .
এখন পর্যন্ত। তুমি গিয়েছ। এখনো। আমি যাইনি। পার্থক্য আছে। জঙ্গল বা বন। বিপুল সংখ্যক। প্রকৃতি। সুন্দর। কী চমৎকার। আর্দ্র। কৃষিকাজ। কৃষক। কীভাবে। ধান বা চাল। চা। তুলা। তারা বপন করে। সবুজ শ্যামল। পেশা। মাছ ধরা। জায়গা। সেফিদ মাছ। সুস্বাদু। খুশী বা সুখী। অনেক। উপকূল। শহর। উপকূলীয়। সাতার। উপকূলীয় শহর। বিনোদন। উপকূলের কাছে। বন্দর। গুরুত্বপূর্ণ। কোনটি। আনযালি বন্দর। নওশাহর বন্দর।
পাঠক! এবারে চলুন দেখা যাক মোহাম্মাদ ও রমিন রেস্টুরেন্ট থেকে হলের রুমে ফেরার পথে কী কথা বলছে, তা শোনা যাক।
رامین - تو تا حالا به دریای خزر رفته ای ؟محمد - نه . هنوز به آنجا نرفته ام . رامین - آنجا با همه جای ایران فرق دارد . جنگل های انبوه و طبیعت زیبا . محمد - چه جالب ! جنگل های انبوه ؟ رامین - بله . اما هوای آنجا شرجی است . محمد - کشاورزی در شمال ایران چگونه است ؟رامین - کشاورزان ، برنج ، چای و پنبه می کارند . محمد - پس آنجا خیلی سرسبز است . مردم آنجا چه شغلهای دیگری دارند ؟رامین - ماهیگیری . دریای خزر جای خوبی برای ماهیگیری است . محمد - ماهی سفید که خیلی خوشمزه بود . رامین - به خاطر جنگلهای زیبا و هوای خوش ، مردم ایران ، زیاد به شمال سفر می کنند . محمد - در ساحل دریای خزر جایی هم برای شنا هست ؟رامین - بله . همه ی شهرهای ساحلی جایی برای شنا و تفریح کنار ساحل دارند . محمد - بندرهای مهم دریای خزر کدامند ؟رامین - بندر انزلی و بندر نوشهر ، مهمترین بندرهای ایران در ساحل دریای خزر هستند .
রমিন : তুমি কি এখন পর্যন্ত কাস্পিয়ান সাগরে গিয়েছো?মোহাম্মাদ : না। এখন পর্যন্ত ওখানে যাই নি।রমিন : ওখানকার সাথে ইরানের অন্য সব জায়গার পার্থক্য রয়েছে। ওখানে রয়েছে প্রচুর বনভূমি এবং সুন্দর প্রকৃতি।মোহাম্মাদ : কী মজা! প্রচুর বনভূমি?রমিন : হ্যাঁ। তবে ওখানকার আবহাওয়া কিন্তু বেশ আর্দ্র।মোহাম্মাদ : উত্তর ইরানের কৃষিকাজ কেমন হয়?রমিন : কৃষকরা ধান, চা ও তুলার চাষ করেন। মোহাম্মাদ : তাহলেতো জায়গাটি বেশ সবুজ শ্যামল হবে। ওখানকার মানুষ আর কী পেশায় নিয়োজিত?রমিন : আর আছে মৎস্যজীবী। কাস্পিয়ান সাগর মাছ ধরার জন্য বেশ ভালো জায়গা।মোহাম্মাদ : এইমাত্র যে সেফিদ মাছ খেলাম, তা তো বেশ সুস্বাদু ছিল।রমিন : প্রচুর জঙ্গল ও সুন্দর আবহাওয়ার জন্য ইরানীরা ঘন ঘন উত্তর ইরান সফরে যায়। মোহাম্মাদ : কাস্পিয়ান সাগর তীরে কি সাতার কাটার জায়গা আছে?রমিন : হ্যাঁ। উপকূলীয় প্রতিটি শহরে সাতার কাটা ও বিনোদনের ব্যবস্থা আছে।মোহাম্মাদ : কাস্পিয়ান সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলো কী কী?রমিন : কাস্পিয়ান সাগরের তীরে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ দুটি বন্দর হচ্ছে আনযালি ও নওশাহর।
মোহাম্মাদ ও রমিনের মধ্যে কাস্পিয়ান সাগর উপকূল সম্পর্কে আলোচনা শুনলেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
কথার এক ফাঁকে রমিন মোহাম্মাদকে জানায়, তার এক বন্ধুর বাড়ি নওশাহর বন্দরের কাছে। সে একটি মালবাহী জাহাজে কাজ করে। তাদের জাহাজ বিভিন্ন দ্রব্য ইরান থেকে রাশিয়ায় নিয়ে যায় আবার রাশিয়া থেকে মালামাল ইরানে নিয়ে আসে। রমিন প্রতি বছর অন্তত একবার নওশাহর সফরে যায় এবং সেখানকার সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করে। সাগরে জেলেদের মাছ ধরা এবং কৃষিজমিতে কৃষকদের ধান চাষের দৃশ্য দেখতে রমিনের খুব ভালো লাগে। কাস্পিয়ান সাগর তীরবর্তী শহরগুলোতে পর্যটকদের জন্য প্রচুর হোটেল ও বাংলো বাড়ি রয়েছে। তো পাঠক! আপনারা ইরান সফরে এলে উত্তর ইরান, বিশেষ করে কাস্পিয়ান সাগর দেখতে ভুলবেন না, এই কামনা করে আজকের আসর থেকে এখানেই বিদায় চাইছি।#
পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/আবু সাঈদ/২০