ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২০ ১৬:১৭ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য চাই শক্তিশালী বিরোধী দল: কাদের-দৈনিক ইত্তেফাক
  • খালেদার মুক্তির দাবিতে পল্টনে বিএনপির সমাবেশ-দৈনিক মানবজমিন
  • রাজস্ব আয় : পাঁচ বছরে পার্থক্য ৪০ হাজার কোটি টাকা-দৈনিক প্রথম আলো
  • এই সহিংসতার জন্য ইসরাইল অবশ্যই শাস্তি পাবে: মাহাথির-দৈনিক যুগান্তর
  • আমরা যেটা করি সেটাই বিএনপির কাছে কালো আইন মনে হয়: আইনমন্ত্রী-দৈনিক সমকাল
  • করোনাভাইরাস নিয়ে জনরোষের মুখে চীন সরকার-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:    

  • ‘সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন’, বিজেপিকে জবাব দিতে ভোটারদের লম্বা লাইন শাহিনবাগে-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • করোনাভাইরাসে উহানে মৃত্যু প্রথম বিদেশি নাগরিকের, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২৪, আক্রান্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • দেরিতে জাগল দিল্লি, তবে বেলা বাড়তেই ভোটবুথে লম্বা লাইন-দৈনিক আজকাল

পাঠক/শ্রোতা! এবারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য চাই শক্তিশালী বিরোধী দল- বলেছেন আ. লীগ সাধারণ সম্পাদ ওবায়দুল কাদের। কী বলবেন তার এ বক্তব্য সম্পর্কে?

২. ইমপিচমেন্ট শুনানিতে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়ায় দুই কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

এই সহিংসতার জন্য ইসরাইল অবশ্যই শাস্তি পাবে: মাহাথির-দৈনিক যুগান্তর

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, শতাব্দির চুক্তি দিয়ে জেরুজালেমে ইসরাইলি দখলদারিত্ব বৈধ করতে চাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পেটালিং জায়া শহরে আল-কুদস নিয়ে তৃতীয় পার্লামেন্টারি সম্মেলনের উদ্বোধনীতে তিনি বলেন, এই শান্তি পরিকল্পনায় কেবল ইসরাইলি দখলদারিত্বকেই বৈধতা দেবে এবং নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়টি উপেক্ষিত থাকবে। এই চুক্তি করার সময় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি জানিয়ে মাহাথির বলেন, এতে কেবল ইসরাইলি বাহিনীর দখলদারিত্বেরই সহায়ক হবে।

বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর ইসরাইলি নিপীড়নের নথি রয়েছে ইউনিসেফের কাছে। এই সহিংসতার জন্য ইসরাইল অবশ্যই শাস্তি পাবে। ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের পাশে সবসময় থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন মাহাথির। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি জুলুমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ারও আহ্বান জানান তিনি। মাহাথির বলেন, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, গণহত্যা ও ভীতিপ্রদর্শনকে জয় করতে পারে এরকম কনফারেন্স। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে পাঁচ শতাধিক নেতা জড়ো হয়েছেন। কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন সাইয়েদ ইব্রাহীম সাইয়েদ নুহ।

খালেদার মুক্তির দাবিতে পল্টনে বিএনপির সমাবেশ-দৈনিক মানবজমিন

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ

কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছে বিএনপি। আজ দুপুরে ২টার দিকে এ সমাবেশ শুরু হয়। খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্তিতে তারা এ কর্মসূচি পালন করেছে।

খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে বাংলাদেশ এত নতজানু হত না: আসিফ নজরুল-দৈনিক যুগান্তর

খালেদা জিয়া ও অধ্যাপক আসিফ নজরুল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবন্দির দুই বছর পূরণ হলো আজ। এ নিয়ে সামাজিকমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। শনিবার দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেয়া ওই স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বন্দিত্বের দু’বছর পূরণ হলো। এক অর্থে বাংলাদেশও বন্দি আজ বহু বছর ধরে। ‘তিনি যদি মুক্ত থাকতেন বাংলাদেশ বন্দি থাকত না, থাকত না এতটা দুর্বল আর নতজানু হয়ে।’ ঢাবির এ অধ্যাপক আরও বলেন, এ দেশে লক্ষ কোটি টাকা লোপাট আর পাচার হয়। বহু চোর থাকে মহাদাপটে। জিয়ার নামে ট্রাস্টে দু’কোটি টাকা বেড়ে চার-পাঁচ কোটি টাকা হয়েছে। তবু খালেদা জিয়া শাস্তি পেয়েছেন। সেটিও মূলত তার কর্মকর্তাদের গাফিলতি আর ভুলের কারণে।

তিনি বলেন, এক টাকাও আত্নসাৎ করেননি খালেদা জিয়া। তবু তার নামে অপপ্রচার হয় এতিমের টাকা মেরে দেয়ার। কিন্তু কোনো অপপ্রচার মুছতে পারবে না তার অতুলনীয় জনপ্রিয়তা, মুছে দিতে পারবে না তার আত্মত্যাগ। ‘বেগম খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের মানুষ ভুল বুঝবে না আপনাকে।’

শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য চাই শক্তিশালী বিরোধী দল: কাদের-দৈনিক ইত্তেফাক

বাংলাদেশের সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য আমরাও শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। নেতিবাচক রাজনীতি ও সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণে নির্বাচনগুলোতে বিএনপির পরাজয় হচ্ছে। অর পরাজিত হয়ে বিএনপি হতাশায় ভুগছে এবং আবোলতাবোল কথা বলছে। তারা নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ না, জনগণকে কীভাবে ঐক্যবদ্ধ করবে?

আমরা যেটা করি সেটাই বিএনপির কাছে কালো আইন মনে হয়: আইনমন্ত্রী-দৈনিক সমকাল

বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক

বিভিন্ন স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থার উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা রাখার জন্য সংসদে যে আইন পাস হয়েছে তাকে কালো আইন বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, উনারা (বিএনপি নেতারা) আইন বুঝুক আর না বুঝুক, যেটা আমরা করি সেটা তাদের কাছে কালো আইন বলে মনে হয়। শনিবার দুপুরে আখাউড়া রেলস্টেশন চত্ত্বরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন।

সংগ্রহ ও সংরক্ষণে প্রযুক্তির অভাবে ২৫ ভাগ ফল নষ্ট-দৈনিক ইত্তেফাক

ফল সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহনে আধুনিক প্রযুক্তির অভাব, কৃষকের অদক্ষতা ও পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবসহ বিভিন্ন কারণে দেশে প্রতি বছর উৎপাদিত ফলের ২৫ শতাংশই নষ্ট হয়ে যায়। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক ও বাগানিরা।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে ফলের উৎপাদন প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বাড়ছে ফল চাষের জমির পরিমাণও। অনেকেই বেশি লাভের আশায় প্রচলিত শস্য বাদ দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ফল চাষ করছেন। এছাড়া বাড়ির আঙিনা ও সড়কের পাশে ফলগাছ রোপণ দিন দিন বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে ৭০ প্রজাতির বেশি ফল চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে ৪৫ প্রজাতির ফল। মোট উৎপাদিত ফলের ৫৩ শতাংশ বাণিজ্যিক বাগান থেকে আসে। আর বসতভিটা ও তত্সংলগ্ন এলাকা থেকে আসে বাকি ৪৭ শতাংশ ফলের জোগান। দেশে বর্তমানে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, কলা, কুল, পেঁপে, আনারস ছাড়াও ড্রাগন, রাম্বুটান, স্ট্রবেরি, মালটাসহ বিভিন্ন বিদেশি ফল চাষ হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশে ফল উৎপাদিত হয় ৯৯ লাখ ৭২ হাজার টন। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১ কোটি ৬ হাজার টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ কোটি ১০ লাখ টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ কোটি ২০ লাখ ৯৬ হাজার টন ও ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ১ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার টন ফল উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত উল্লেখযোগ্য ফলের মধ্যে আম ২৩ লাখ ৭২ হাজার ২১৬ টন, কাঁঠাল ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৬০৪ টন, লিচু ২ লাখ ২৪ হাজার ২১১ টন, কলা ১৮ লাখ ৮৮ হাজার টন, পেঁপে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৫ টন, পেয়ারা ৫ লাখ ৬ হাজার ৪৭৮ টন, কুল ১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৬১ টন, নারিকেল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৮৫১ টন, জাম ৯৯ হাজার ৬২৯ টন ও আনারস ৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫৮৩ টন উৎপাদিত হয়।

সংগ্রহ ও সংরক্ষণে প্রযুক্তির অভাবে ২৫ ভাগ ফল নষ্ট

গত ছয় বছরের ব্যবধানে ফল উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ২২ লাখ টন। এদিকে উৎপাদনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অপচয়ের পরিমাণও। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে যেখানে ফল অপচয় হয় ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টন। সেখানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে অপচয় হয় ৩০ লাখ ২৮ হাজার টন। বর্তমান বাজারদর অনুযায়ী, এর আর্থিক মূল্য প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ব্যাপক পরিমাণ ফলের এই অপচয় রোধ করতে পারলে একদিকে যেমন কৃষক ও বাগানিরা উপকৃত হবে তেমনি ভোক্তারা কম দামে ফল খেতে পারবে। শুধু তাই নয়, বিদেশ থেকে ফল আমদানির পরিমাণও কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকার ফল আমদানি করা হয়। গত পাঁচ অর্থবছরে শুধু আপেল, কমলা, মালটা ও আঙুর আমদানিতেই ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ফলের উৎপাদনের হার বাড়ছে। তবে সঠিক নিয়ম না জানায় ফল সংগ্রহের সময়ই উৎপাদনের একটি বড়ো অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, নিয়ম মেনে ফল সংগ্রহ করলে ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমানো সম্ভব। এছাড়া ফল পাকানোর ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবান্ধব পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষিবিদরা। এজন্য বাগানিদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে ফল নষ্টের পরিমাণ কমবে।

এ প্রসঙ্গে সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক গতকাল ইত্তেফাককে বলেন, আমাদের ফল সংগ্রহ প্রযুক্তি খুবই দুর্বল। এছাড়া পরিবহন, স্টোরেজেও প্রচুর ফল নষ্ট হয়। তিনি বলেন, সরকার আমাদের সবসময় বলেছে, উৎপাদন বাড়াও। আমরা এখন উৎপাদন বাড়াচ্ছি। প্রতি বছরই দেশে সব ধরনের ফসলেরই উৎপাদন বাড়ছে। কিন্তু এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের ব্যবস্থাপনা কি বেড়েছে? আমাদের এখন সারপ্লাস ম্যানেজমেন্টে বিনিয়োগ করতে হবে। কৃষকদের ফল সংগ্রহ, সংরক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ফলের জন্য আলাদা পরিবহন ব্যবস্থা, স্টোরেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উৎপাদিত ফলের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ নষ্ট হতে পারে। এর বেশি কোনভাবেই হতে পারে না। এখন সময় হয়েছে, এ বিষয়ে নজর দেওয়ার।

রাজস্ব আয় : পাঁচ বছরে পার্থক্য ৪০ হাজার কোটি টাকা-প্রথম আলো

বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের  পাঁচ বছরে পার্থক্য ৪০ হাজার কোটি টাকা

প্রতি অর্থবছর শেষে জুলাই মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ঘটা করে রাজস্ব আদায়ের চিত্র তুলে ধরে। সংশোধিত লক্ষ্য কখনো কখনো আদায় হলেও বেশির ভাগ বছরেই ঘাটতি থাকে। তবে সংশোধিত লক্ষ্যের কাছাকাছি যাওয়ায় এনবিআরের কর্মকর্তারা সব সময় তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। 

কিন্তু অর্থবছর শেষ হওয়ার কয়েক মাস পর সেই তৃপ্তির ঢেকুর মিলিয়ে যায়। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত চূড়ান্ত হিসাবে দেখা যায়, এনবিআরের দেখানো রাজস্ব আদায়ের চেয়ে আরও কম টাকা আদায় হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এনবিআরের আয় আসলে কত? এনবিআরের হিসাবে এক রকম তথ্য, আবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে ভিন্ন রকম। এনবিআরের রাজস্ব আদায় নিয়ে প্রতিবছরই শত শত কোটি টাকার পার্থক্য থাকে।

এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব ঘেঁটে দেখা গেছে, গত পাঁচ অর্থবছরে এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবের মধ্যে পার্থক্য সাড়ে ৪০ হাজার কোটি টাকা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে বলেন, যতক্ষণ বাংলাদেশ ব্যাংকের ট্রেজারিতে রাজস্ব আদায়ের টাকা জমা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই টাকা সরকারের হিসাবে আসবে না। শুল্ক-কর কর্মকর্তারা রাজস্ব আদায় বাবদ যে চেক, পে–অর্ডার, চালানপত্র পান, সেটা ধরেই হিসাব করে থাকেন। এ ছাড়া করদাতার অগ্রিম করের টাকাও যোগ করেন তাঁরা। ফলে রাজস্ব আদায়ের প্রকৃত চিত্র উঠে আসে না। তাঁর মতে, এনবিআর বাহবা পাওয়ার জন্য অনেক সময় রাজস্ব আদায়ের হিসাব বাড়িয়ে দেখায়। তাই এনবিআরের উচিত, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় যে হিসাব দেবে, সেটা ধরেই চূড়ান্ত রাজস্ব আদায়ের হিসাব করা।

এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি

‘সংবিধান বাঁচানোর নির্বাচন’, বিজেপিকে জবাব দিতে ভোটারদের লম্বা লাইন শাহিনবাগে-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

দিল্লির শাহীনবাগে বিধানসভা ভোটের লাইন

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (Citizenship Amendment Act, 2019) বিরোধী আন্দোলনকারীদের পথ দেখিয়েছে শাহিনবাগ। এবার দিল্লির নির্বাচনেও ভোটারদের পথ দেখাতে উদ্যোগী সেখানকার বাসিন্দারা। শনিবার সকাল থেকে গোটা দিল্লিবাসী যেখানে ভোটদানে সেভাবে উৎসাহ দেখায়নি, সেখানে একেবারেই উলটো ছবি দেখা গিয়েছে শাহিনবাগ এবং জামিয়া সংলগ্ন এলাকাগুলিতে। শাহিনবাগে সকাল থেকেই ভোটারদের লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভোটারদের উৎসাহ। একই ছবি জামিয়াতেও।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে শাহিনবাগ। আবার এই এলাকাকে কেন্দ্র করে দানা বেঁধেছে একাধিক বিতর্ক। সেসব উপেক্ষা করে গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল এই এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু, গোটা দিল্লিতে যেখানে ভোটদানে মানুষের উৎসাহ কম, সেখানে শাহিনবাগে এত লম্বা লাইন কেন? উত্তরটা খুব সহজ। এখানকার বাসিন্দারা বলছেন, “এবারের ভোট সংবিধান বাঁচানোর। স্থানীয় কোনও ইস্যু নেই। বিদ্যুৎ, নিকাশি বা রাস্তাঘাটের কোনও সমস্যা নেই। এবারে আমরা ভোট দিচ্ছি জাতীয় ইস্যুতে।” ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে এক মহিলা বললেন, “আমি এবার ভোট দিচ্ছি ভারতবর্ষের জন্য। এদেশের সংবিধানের জন্য।” স্পষ্টতই তাঁদের ইঙ্গিত, কেন্দ্র সরকারের আনা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করতেই ইভিএমে ঝড় তুলতে চাইছে শাহিনবাগ।

এদিকে দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তেওয়ারি বলেছেন, ‘আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। ক্ষমতায় এলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন? সেই প্রশ্নে ভোটগ্রহণের দিনও জল্পনা জিইয়ে রাখলেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি। সেইসঙ্গে শনিবার সংবাদমাধ্যমকে জানালেন, তিনি নাকি এক অচেনা কম্পন অনুভব করেছেন, যার জন্য তিনি মনে করছেন বিজেপিই দিল্লিতে ক্ষমতায় আসতে চলেছে।

শনিবার সকাল থেকেই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে দিল্লির ৭০টি বিধানসভা আসনের জন্য। ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন হেভিওয়েট রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সেলিব্রিটিরা। আম আদমি পার্টি, বিজেপি না কংগ্রেস- দিল্লিতে ক্ষমতায় কারা তা জানা যাবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি। তার আগে ভোটগ্রহণের দিন মনোজ তিওয়ারি আশাবাদী, ক্ষমতায় তাঁর দলই আসছে। তাঁর ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছে, দিল্লিতে পদ্মই ফুটবে ১১ তারিখ। এর স্বপক্ষে তাঁর দাবি, এক কম্পন অনুভব করছেন তিনি। যার জন্য তিনি মনে করছেন, দিল্লিতে বিজেপিই ক্ষমতায় আসবে।

দিল্লি নির্বাচন নিয়ে দৈনিক আজকালের ভিন্ন ভিন্ন খবরে লেখা হয়েছে, দেরিতে জাগল দিল্লি, তবে বেলা বাড়তেই ভোটবুথে লম্বা হয়েছিল ভোটারদের লাইন।এবারই প্রথমবারের ভোটার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ছেলে। বাবা, মা, স্ত্রী এবং ছেলের সঙ্গে ভোট দিয়ে দিল্লির তরুণ প্রজন্মকে ভোট দিতে উৎসাহ দিলেন তিনি। 

আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল

কেজরিওয়ালের ছেলের মতোই এবার প্রথম ভোটার প্রিয়াঙ্কা–রবার্টের ছেলে রাইহান রাজীব ভদ্রও। বাবা, মায়ের সঙ্গে ভোট দেওয়ার পর রাইহান রাজীব সবাইকে ভোট দিতে আবেদন জানিয়ে নতুন যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তাদের কাছে দাবি করলেন সরকারি পরিবহনের সুবিধা যেন সবাই পায় এবং ছাত্রছাত্রীদের পরিবহন খরচে ভর্তুকি মেলে।

কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

প্রিয়াঙ্কার সঙ্গেই ভোট দেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী অসুস্থ সোনিয়া গান্ধী।  রাহুল অবশ্য পৃথকভাবে একা ভোট দিয়ে যান।১১০ বছরের বাঙালি বৃদ্ধা কালীতারা মন্ডল ভোট দেন গ্রেটার কৈলাস বিধানসভা কেন্দ্রের চিত্তরঞ্জন পার্কের এসডিএমসি প্রাথমিক স্কুলে। তাঁকে হুইলচেয়ারে বসিয়ে বুথে নিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মীরা। আজকালের আরও খবরে বলা হয়েছে, ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিজেপি মদ ও টাকা বিতরণ করেছে বলে মারাত্মক অভিযোগ করেছে আম আদমি পার্টি। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিল্লির ভোট হয়েছে তবে কয়েকটি জায়গায় ইভিএম বিকলের  ঘটনা ঘটেছে। এদিকে নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা ‘দিল্লি ভোটই দেশকে নতুন দশকে দিশা দেখাবে’ জিতবে তার দল। তবে কেজরিয়াল বলেছেন, হিন্দু–মুসলিম বিতর্ক নয়, ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে শিক্ষা–বিজ্ঞান–মহাকাশ গবেষণা। আর রাহুল গান্ধী ভোট প্রচারে বলেছিলেন, চাকুরি কোথায়?

করোনাভাইরাসে উহানে মৃত্যু প্রথম বিদেশি নাগরিকের, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২৪, আক্রান্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হল চিনের উহানে। বেজিংয়ে মার্কিন দূতাবাস শনিবার এই খবর দিয়েছে। উহানে মারাত্মক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই প্রথম মৃত্যু হল কোনও বিদেশি নাগরিকের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (‘হু’) খবর, এ দিন বেলা ১২টা পর্যন্ত গোটা বিশ্বে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২৪-এ। আক্রান্তের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮৮৮। কী ভাবে গোটা বিশ্বে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস আর প্রায় প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে তার শিকারের সংখ্যা!#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৮
 

ট্যাগ