সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২০ ১৭:০৮ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

প্রথমে বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • জোরালো হচ্ছে আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান-দৈনিক ইত্তেফাক
  • রেকর্ড উচ্চতায় রিজার্ভ, প্রবাসী আয়েও গতি-প্রথম আলো
  • দুই দিনের রিমাণ্ডে ডা.সাবরিনা-দৈনিক সমকাল
  • ওসি প্রদীপের পক্ষে আইনি লড়াই, অর্থ জোগানদাতাতেক খুঁজকে দুদক-মানবজমিন
  • কুড়িগ্রামে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত-দৈনিক যুগান্তর
  • চীনকে ছাড় দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র, ফের সমালোচনায় পম্পেও-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • দৈনিকটির অন্য একটি খবরের শিরোনাম-কুয়েত আকাশ পথ ব্যবহারের অনুমতি দেবে না ইসরাইলকে
  • নিমতলী অগ্নিকাণ্ডে টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি-টিআইবি-কালের কণ্ঠ

ভারতের শিরোনাম:

  • লাদাখে এলাকা দখল ঘিরে জল্পনা, সেনা-সজ্জায় বদল, পাল্টা তৎপর চীনও-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • বিরোধীদের চাপ, বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা বিজেপি বিধায়ককে নিষিদ্ধ করল ফেসবুক-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • সঙ্কটজনক করোনা করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম এই ওষুধ, দাবি ডাব্লিউ এইচ ও’র-দৈনিক আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

করোনার সর্বশেষ খবর:ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা-৮ লাখ ৬৭ হাজার৭৮৮জন। আক্রান্ত ২ কোটি ৬১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮৫ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৮৪ লাখ। ভারতের আজকালে লেখা হয়েছে,করোনা সংক্রমণে একদিনে বিশ্বরেকর্ড করে ফেলল ভারত। গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৮৪ হাজার,এ সময় মারা গেছেন  জন১০৪৩ জন, মোট মৃত্যু-৬৭ হাজার ছাড়াল। আর মোট আক্রান্ত প্রায় ৩৮ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৬। ভারতে একদিনে সর্বোচ্চ পরীক্ষার দিনে আক্রান্তে বিশ্বরেকর্ড গড়। আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, পয়লা নভেম্বরের মধ্যেই টিকা সব রাজ্যে , তৈরি থাকতে নির্দেশ মার্কিন প্রশাসনের।আর সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে,১ নভেম্বরেই করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনছে আমেরিকা! ভোটের আগে চমক ট্রাম্পের। 

বাংলাদেশের দৈনিকগুলোতে বলা হয়েছে, একদিনে সেদেশে করোনায় আরো ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

ইউএনওর ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে আনা হলো ঢাকায়-মানবজমিন

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক জখম হয়েছেন। ইউএনওকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনায় হয়েছে। তার বাবা রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন। বুধবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাঁর সরকারি বাসভবনে ঢুকে তাঁকে ও তাঁর বাবা ওমর আলীকে কুপিয়ে জখম করে। ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের স্বামী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।এদিকে,জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, খুব দ্রুত জানা যাবে ইউএনওর ওপর হামলাকারীর পরিচয়।

রাজনীতির খবরে দৈনিক ইত্তেফাকে লেখা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকাকালে দেশবিরোধী বিদেশি শক্তিরই প্রতিভূ ছিল বিএনপি : সেতুমন্ত্রী

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যাদের রাজনীতির উৎস বন্ধুকের নল, জনগণ নয়, তাদের মুখে জনস্বার্থের কথা মানায় না। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন দেশবিরোধী বিদেশি শক্তিরই প্রতিভূ ছিল। আজ সকালে সেতু ভবনে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন। জনস্বার্থ নাকি সরকারের লক্ষ্য নয়, বিএনপি মহাসচিবের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জনগণের স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে বলেই মানুষের আস্থায় পরিণত হয়েছে। 

জোরালো হচ্ছে আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান-দেশ জুড়ে বিতর্কিত নেতাদের তালিকা প্রণয়ন। ইত্তেফাকের এ খবরে বলা হয়েছে,

আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অভিযান জোরালো হচ্ছে

সারা দেশে দুর্নীতি-অনিয়মসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের ৮ হাজার নেতার একটি তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এই তালিকা প্রস্তুত করেছেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দলীয় সূত্র জানায়, বিতর্কিত এই ৮ হাজার নেতার মধ্যে ৫ হাজারই বিরোধী মতাদর্শী অনুপ্রবেশকারী। অনেকে আবার বড় নেতাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও পরিচিত। তবে যত প্রভাবশালী এবং সরকার কিংবা ক্ষমতাসীন দলের যত ঘনিষ্ঠই হন না কেন, এবার ছাড় পাবেন না কেউ। কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় নিতে নারাজ সরকার ও দল।

অর্থনীতি নিয়ে প্রথম আলোর দুটি প্রতিবেদন। একটির শিরোনাম একরম-

রেকর্ড উচ্চতায় রিজার্ভ, প্রবাসী আয়েও গতি

রেকর্ড উচ্চতায় রিজার্ভ, প্রবাসী আয়েও গতি

এতে লেখা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও দেশে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে, বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ১৬ হাজার ৬৯৩ কোটি টাকা। কোরবানি ঈদের কারণে গত জুলাইয়ে রেকর্ড ২৬০ কোটি ডলার আয় এসেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বিদেশি ঋণ ও সহায়তার ওপর ভর করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩ হাজার ৯০০ কোটি বা ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

অপর শিরোনামটি-তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ

এতে বলা হয়েছে,করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে উঠছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প। পরপর দুই মাস ৩০০ কোটি ডলার করে পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত আগস্টে চলতি বছরের সর্বোচ্চ ৩৩৬ কোটি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত জুনে শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট পোশাক রপ্তানি দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৯৫ কোটি ডলার।

সাদাকালো-কিশোর গ্যাং: নেপথ্যে অনেক কারণ। কালের কণ্ঠে লেখক, কবি ও গবেষক, ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিকের এ শিরোনামের নিবন্ধটি দৈনিক কালের কণ্ঠে পরিবেশিত হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে,

রাজনৈতিক-সামাজিক পরিবর্তনের পথ ধরে কখন যে তাদের হাতে প্রথম লাঠি, পরে ধারালো ক্ষুর এবং সেই ধারাবাহিকতায় আগ্নেয়াস্ত্র, বড় ভাইয়াদের মদদে, তাদেরও নেপথ্যে আরো বড়রা—ওই সব কাহিনি ভয়ংকর। আপাতত আমরা ‘কিশোর গ্যাং’ নিয়েই কথা বলব—এরা বয়সের তুলনায় সন্ত্রাসী তৎপরতায় কম ভয়ংকর নয়।

ভাবা যায় না শিক্ষা পরিবেশের ঘটনা কোথা থেকে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। বহু কথিত ‘কোমলমতি’ কিশোর শিক্ষার্থীদের হাতে ক্ষুর ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার, সহপাঠী খুন, মাদকাসক্তি এবং বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী অপরাধী অপতৎপরতা। 

যেসব ঘটনা ঘটছে, সংবাদপত্রে যা প্রকাশ পাচ্ছে ‘কিশোর গ্যাং’, ‘গ্যাং কালচার’ ইত্যাদি শিরোনামে তার ভয়ংকরতা শুধু ঘটনাতে সীমাবদ্ধ নয়, এর পরিণাম সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিচারে আরো ভয়ংকর।

কিশোর গ্যাং শুধু সন্ত্রাসীপনায় সীমাবদ্ধ নয়, এর তৎপরতা ও কার্যকর বিস্তার অনেক ব্যাপক এবং সামাজিক বিচারে তাৎপর্যপূর্ণ। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য যে এসব কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মাদকাসক্তি, মাদক কারবার ও নারী ধর্ষণের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সমাজে গড়ে তুলছে বিরাট এক অপরাধীচক্র, তথা চক্রের অংশ।

‘গত বছর ঢাকায় র‌্যাব-পুলিশের ব্যাপক অভিযানে অন্তত ৩০টি কিশোর গ্যাংয়ের দুই শতাধিক সদস্য গ্রেপ্তার হয়। তখন শনাক্ত হওয়া ৬২টি গ্রুপের মধ্যে অন্তত ৪২টি এখনো সক্রিয়। হামলা, সংঘর্ষ ও হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটাচ্ছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। স্কুলের গণ্ডি পেরোনোর আগেই কিশোরদের একটি অংশ জড়িয়ে পড়ছে অপরাধীচক্রের সঙ্গে। ঘটাচ্ছে ভয়ংকর সব অপরাধ।’ প্রশ্ন উঠতে পারে, হঠাৎ করেই কয়েক বছরের মধ্যে সমাজে এমন অঘটন ঘটতে গেল কেন, কী কারণে?

বলা বাহুল্য, কারণ বহুবিধ এবং তা সমাজের নানা স্তরে বিস্তৃত। আমরা সাধারণ বিচারে এর কারণ হিসেবে বলে থাকি সামাজিক অবক্ষয়ের কথা, মূল্যবোধ ও আদর্শগত অভাবের কথা। সুস্পষ্ট ভাষায় দায়ভার নির্ধারণ করতে চাইলে প্রথম অভিযোগের দণ্ডটা নেমে আসে পরিবারের ওপর। পারিবারিক শিক্ষার অভাব, শৈশব থেকে সন্তানদের আদর্শনিষ্ঠ, সৎপথে পরিচালনায় অভিভাবকদের উদাসীনতা একটি প্রধান কারণ।

বিত্তবান বা মধ্যবিত্ত ও অনুরূপ পরিবারে অভিভাবকরা ব্যস্ত নিজ নিজ কাজে বা অবসর-বিনোদনে। তাঁরা ভুলে থাকেন যে সন্তানদের, প্রচলিত ভাষায় ‘মানুষ’ করে গড়ে তোলার দায় তাঁদের কাজ ও কর্তব্যের অংশ। সে দায় পালিত না হলে আদর্শহীন শিশু-কিশোর শিক্ষায়তনে বা বাইরে সঙ্গীদের কুপ্রভাবে পথভ্রষ্ট হয়, নিষিদ্ধ পথের টানে অপরাধজগতের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে। ক্রমে তা বাড়তেই থাকে নানা মাত্রায়।

দ্বিতীয় দায়িত্ব শিক্ষায়তনের অভিভাবক তথা শিক্ষকদের, যদিও সেটা সময় বিচারে আংশিক, তবু গুরুত্বপূর্ণ নজরদারির বিচারে। শ্রেণিকক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীরা কী করছে সেদিকে লক্ষ রাখার দায় অবশ্যই শিক্ষকদের। প্রহার নয়, শাস্তি নয়, সন্তানতুল্য মায়া-মমতা ও দরদ দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়েই পথভ্রষ্টদের সঠিক পথে নিয়ে আসার দায়িত্ব শিক্ষকদের। সে দায়িত্ব কি তাঁরা পালন করে থাকেন? এককথায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে করেন না। ফল যথারীতি নেতিবাচক।

এর ফলে এই যে সন্ত্রাসী কিশোর গ্রুপ গড়ে উঠছে, তা পুরোপুরি বন্ধ করার দায়িত্ব তো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। তাদের উল্লিখিত তথ্যে যে ৪২টি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার ও কার্যকলাপ বন্ধ করা কি একান্তই অসম্ভব? ব্যবস্থা না নিলে কথিত ৪২টি গ্রুপ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়ে পরিস্থিতি আরো বেসামাল করে তুলবে। কাজেই এ কাজটি এখনই নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা দরকার।

জাতীয় স্বার্থ বিবেচনাতেই কষ্টসাধ্য হলেও এ দায় পালন করতে হবে। এরপর তাদের সংশোধনাগারে প্রেরণ স্বাভাবিক পথে ফিরিয়ে আনার জন্য। সেখানেও যে কত ভুলভ্রান্তি, কত অযোগ্যতা, তা ইদানীং প্রকাশিত কয়েকটি ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কিশোর গ্যাং বিষয়ক এদিকটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। আগামীতে তা আলোচনার ইচ্ছা রইল।

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

লাদাখ সীমান্তে ভারত- চীন উত্তেজনা বৃদ্ধি

আবারও লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন উত্তেজনা। দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, লাদাখে এলাকা দখল নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে চীন-ভারত।

চীনের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের বিশেষ বাহিনীর এক সদস্য নিহত হওয়ার পর লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। সীমান্তে ফের মুখোমুখি অবস্থানে চীনা ও ভারতীয় সেনারা। পত্রিকাটি জানিয়েছে, প্যাংগং লেকের উত্তরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা বিন্যাসে কিছু পরিবর্তন ঘটিয়েছে ভারত। এ ছাড়া লেকের দক্ষিণ প্রান্তের একাধিক স্থানে বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত শনিবার চীনা সেনাবাহিনী বিনা প্ররোচনায় প্যাংগং লেকের দক্ষিণ প্রান্তের স্থিতাবস্থা বদলে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। গতকাল রাতেও তারা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের দিকের চুমার এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।

চীনা সেনাদের লাগাতার এমন চেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতেই প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে সেনা বিন্যাসে বদল ঘটানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর এমন অবস্থান বদলে জল্পনা ছড়ায় প্যাংগং লেকের উত্তর ঘেঁষে থাকা ফিঙ্গার ফোরের দখল নিয়েছে ভারতীয় সেনা।পরে সেনা সূত্রে জানানো হয়, ফিঙ্গার ফোরের দখল নেয়া নিয়ে যে জল্পনা ছড়িয়েছে, তা ঠিক নয়। তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা বিন্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্তের পরে গত দুদিনে দক্ষিণ প্রান্তে চীনা সেনাদের জমি দখলের চেষ্টা করতে দেখে রেজাং লা এবং রেচিন লা এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ভারত।

এ ছাড়া চুসুলের কাছে চীনা সেনাদের মুখোমুখি টি-৯০ ট্যাংক নিয়েও অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। 

নোট বাতিলের ভয়াবহ ফল এখনও ভুগতে হচ্ছে, জিডিপি নিয়ে ফের তোপ রাহুলের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

জিডিপি নিয়ে মোদিকে ফের তোপ রাহুলের

চার বছর হতে চলল। কিন্তু নোট বাতিলের ভয়াবহ প্রভাব আজও বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ভারতের অর্থনীতিকে। আজ দেশের জিডিপি (GDP) হ্রাসের যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে, এর নেপথ্যেও সেই নোট বাতিলের ব্যর্থতা। অন্তত প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর এমনটাই অভিযোগ। তাঁর দাবি, নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) আসলে নগদমুক্ত নয়, কৃষক, মজুর এবং ছোট ব্যবসায়ী মুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখেন।

দিন কয়েক আগেই করোনা পরিস্থিতি এবং ভারত চিন সীমান্ত নিয়ে কয়েকটি ভিডিওর মাধ্যমে মোদি সরকারের ব্যর্থতার খতিয়ান তুলে ধরতে দেখা গিয়েছিল রাহুলকে (Rahul Gandhi)। সেই ভিডিও সিরিজে এবার নতুন সংযোজন হয়েছে অর্থনীতি। বৃহস্পতিবার নিজের নতুন ভিডিও সিরিজ ‘অর্থব্যবস্থা কি বাত’-এর দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করেছেন রাহুল। সেখানেই নোটবন্দি নিয়ে মোদি সরকারকে নতুন করে তোপ দেগেছেন এই কংগ্রেস নেতা।

রাহুল বলছেন,”২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের সেই পাশার চালের ভয়াবহ পরিণতি আজ সহ্য করতে হচ্ছে ভারতকে। মোদির সেদিনের ওই সিদ্ধান্তের ফলে গোটা দেশকে ব্যাংকের লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। আমাকে বলুন, সেদিনের পদক্ষেপের সুফল কী হল? কোনও কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে? না। গরিবরা কোনও সুবিধা পেয়েছে? না। কিচ্ছু না। তাহলে কারা উপকার পেল? শিল্পপতিরা, সাধারণ মানুষের টাকায় শিল্পপতিদের ঋণ মকুব করা হয়েছে।” রাহুলের অভিযোগ, নোট বাতিলের আসল উদ্দেশ্যই ছিল, অসংগঠিত ক্ষেত্র থেকে সব টাকা বের করে ব্যাংকে আনা। অসংগঠিত ক্ষেত্র পুরোটাই চলে নগদের উপর। নোট বাতিলের ফলে সেটা শেষ হয়ে গেল। নরেন্দ্র মোদি আসলে নগদমুক্ত নয়, কৃষক, মজুর এবং ছোট মজুর মুক্ত ভারতের স্বপ্ন দেখেন।

সঙ্কটজনক করোনা রোগীর প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম এই ওষুধ, দাবি হু’‌র- দৈনিক আজকাল 

গোটা বিশ্বজুড়ে করোনা সঙ্কটের মধ্যেই আশার কথা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অবশেষে করোনায় মৃত্যু কমাতে জীবনদায়ী ওষুধের সন্ধান পাওয়া গেল। স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের ফলে নাকি সঙ্কটাপন্ন করোনা রোগীদেরও প্রাণে বাঁচানো যাবে। আরও ভাল করে বলতে গেলে, কর্টিকোস্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের প্রয়োগে করোনায় মৃত্যুর সম্ভাবনা নাকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। অন্তত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন গাইডলাইনে এমনটাই দাবি করেছে।সঙ্কটজনক কোভিড রোগীকে বাঁচাতে সস্তার ডেক্সামেথাজোনই ব্রহ্মাস্ত্র হয়ে উঠেছে।

আজকাল, গণশক্তিসহ সব দৈনিকে খবর-হ্যাক হয়ে গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের টুইটার অ্যাকাউন্ট। বৃহস্পতিবার ভোররাতে টুইটার হ্যান্ডলটি হ্যাক করার পর, সেখান থেকে বেশ কয়েকটি টুইট করা হয়। সেই সব টুইটে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে টাকা দান করার আবেদন করা হয়েছিল। হ্যাকের ঘটনা স্বীকার করেছেন টুইটার কর্তৃপক্ষ। অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

আর সংবাদ প্রতিদিনের একটি খবরে লেখা হয়েছে, তাঁকে ঘিরেই শুরু হয়েছিল যাবতীয় বিতর্ক। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টেও উঠে এসেছিল তাঁর নাম। সেই বিজেপি বিধায়ক টাইগার রাজা সিংকে এবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুকের কমিউনিটি গাইডলাইন ভঙ্গ করার অভিযোগ আছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩

ট্যাগ