এপ্রিল ০৩, ২০২১ ১৫:৪৮ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠক! ৩ এপ্রিল শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • সচিবসহ স্বাস্থ্যের শীর্ষ কর্মকর্তারা করোনা আক্রান্ত, রাজনৈতিক অঙ্গনেও ছড়াছড়ি-কালের কণ্ঠ
  • ৫ এপ্রিল থেকে সরাদেশে লকডাউন ঘোষণা-যুগান্তর
  • করোনা রোগীতে ঠাসা সব শয্যা, ফিল্ড হাসপাতাল জরুরি-যুগান্তর
  • ঘুষ না দেওয়ায় বিআরটিসি বাস বন্ধ-ইত্তেফাক
  • সোমবার থেকে এক সপ্তার লকডাউন, জানালেন ওবায়দুল কাদের–প্রথম আলো
  • মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সামাজিক দূরত্বের একি হাল!– মানবজমিন
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবে শিবিরের যোগসূত্র-সমকাল
  • লকডাউনে চালু থাকবে শিল্প-কারখানা-বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • মোদীর সঙ্গে যোগী, ভোট তৃতীয়ার আগে শনিতে প্রচারে জোর পদ্ম শিবিরের -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • 'হারবে বুঝেই EVM বদলের চক্রান্ত করছে বিজেপি', বিস্ফোরক অভিযোগ যশোবন্ত সিনহার -সংবাদ প্রতিদিন
  • হাইভোল্টেজ প্রচার-মোদি-যোগী, পাল্টা মমতা-অভিষেক-আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু’টি বিষয়ের বিশ্লেষণে যাব। 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. আগামী সোমবার থেকে বাংলাদেশে আরও এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে। তবে অনেকেই দাবি জানিয়েছেন লকডাউন যেন অপরিকল্পিত না হয়। কেন এই বক্তব্য?

২. পারস্য উপসাগরীয় এলাকা থেকে আমেরিকা তাদের সামরিক শক্তি কমাচ্ছে। কি কারণে আমেরিকা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে আপনার মনে হয়?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

সোমবার থেকে এক সপ্তার লকডাউন ঘোষণা ,সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিকে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকাতে প্রস্তুতি কম বলে জানিয়ে প্রথম আলো। সরকার করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগ কার্যত কোনো পরিকল্পনা নেয়নি। জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা।তবে সরকার মধ্যপন্থা বেছে নিয়েছে।এদিকে লকডাউন দেয়া হলেও শিল্প কারখানা চালু থাকবে খবর দিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন লকডাউন কার্যকর করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা কী নেয়া হয়েছে?-মানবজমিন

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদে বলেছেন, সাত দিনের জন্য নাকি লকডাউন দেওয়া হবে, পত্রিকায় দেখলাম । মনে কিছু প্রশ্ন এসেছে। প্রশ্নগুলো হচ্ছে-

- দরিদ্র দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তার কোনো প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে?

- এই সময়ে বইমেলা কি চালু থাকবে?

-প্রণোদনার অর্থ যারা লোন নিয়েছেন তারা টাকা ফেরত দেয়ার সময়ে কি কোনো পরিবর্তন আসবে? (কারণ লকডাউনে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হবে)

-লকডাউন এর সময় বিভিন্ন পণ্যের অনলাইন ডেলিভারি কি চালু থাকবে?

-লক ডাউন হলে বেড়াতে যাওয়া কিংবা গ্রামে চলে যাওয়া ঠেকানোর কোন প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে?

-কৃষিপণ্য সঠিকভাবে সরবরাহের ব্যবস্থা কি নেয়া হয়েছে?

- আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল লকডাউন কার্যকর করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা কী নেয়া হয়েছে?

লকডাউন এর সাথে সাথে এইসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসা জরুরী, নইলে গতবছরের অর্থনৈতিক ধীর গতির প্রভাবে দুর্বল অর্থনীতি বড় রকমের নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।

স র জ মি ন ভোগান্তি, ক্ষোভ-মানজমিন। দৈনিকটির অন্য এক খবরে লেখা হয়েছে,মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা

সামাজিক দূরত্বের একি হাল!খবরটিতে বলা হয়েছে,করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই গতকাল মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মুখে মাস্ক ছিল। তবে ছিল না সামাজিক দূরত্ব। কেন্দ্রের বাইরে ছিল প্রচণ্ড ভিড়, আর স্বাস্থ্যবিধি ছিল একেবারে উপেক্ষিত। যেদিন এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলো সেদিনও সংক্রমণে রেকর্ড তৈরি হয় দেশে। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি উধাও সেখানে খোদ এই পরীক্ষা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।রাজধানীসহ দেশের ১৯টি পরীক্ষাকেন্দ্রের ৫৫টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা।

‘৬০ লাখ বাংলাদেশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুহারা হয়েছে-যুগান্তর’

গ্লাসগোতে ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৬) বসছে এ বছরের শেষেই। আর আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনকে অর্থবহ করতে সিভিএফ-কপ২৬ ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ উন্নয়নশীল দেশের জোট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) নেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ সম্মাননা জয়ী শেখ হাসিনা ডিপ্লোম্যাট ম্যাগাজিনের এপ্রিল সংখ্যায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে লিখেছেন, ইতোমেধ্যে ৬০ লাখ বাংলাদেশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুহারা হয়েছে। তারপরও আমরা ১ কোটি ১০ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে চলেছি, আর সেজন্য আমাদেরকে পরিবেশগত মূল্যও চুকাতে হচ্ছে। এর ক্ষতিপূরণ আমাদের কে দেবে? 

বাংলাদেশসহ যেসব দেশ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সদস্য, জলবায়ু পরিবর্তনে তাদের ভূমিকাই যে সবচেয়ে কম, সে কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা লিখেছেন, জলবায়ু অবিচার বন্ধের জন্য উদ্যোগী হওয়ার সময় এসেছে এখন।

‘প্রকৃতির রুদ্ররোষের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ না হলে আমাদের পরাজয় নিশ্চিত। যে প্রকৃতি আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে, খুব সচেতনভাবে আমরা তাকে ধ্বংস করে চলেছি।’

ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

বিজেপি গেট লস্ট, ওরা পচা, বাংলা দখল করতে চায়, রায়দিঘিতে বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার-আজকাল

আজ রায়দিঘিতে জনসভা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সভার শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। বিজেপি ধর্মের রাজনীতি করছে বলে এদিন অভিযোগ করেন তিনি। আইএসএফ-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘হায়দ্রাবাদ থেকে বিজেপির এক বন্ধু এসেছে। আর ফুরফুরা শরিফের এক চ্যাঙড়াকে নিয়ে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে ধর্মীয় স্লোগান দিচ্ছে। আর হিন্দু-মুসলমানে ভাগাভাগির চেষ্টা করছে। মুসলমানের ভোটটাকেও ভাগাভাগির চেষ্টা করছে।’

বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, বিজেপি পুলিসের ড্রেস পড়িয়ে ফেক পুলিস নিয়ে গ্রামের লোককে ভয় দেখাচ্ছে। 

২০২৪ সালে বারাণসী কেন্দ্রে মমতা বনাম মোদি দ্বৈরথ দেখা যেতে পারে সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে রাজনৈতিক মহলে এমন জল্পনা চরমে। এদিন সেই জল্পনা উস্কে দিয়ে তিনি বলেন, বাংলা ওদের খালি করলেই দেশ ওদের খালি করে দেবে। তারপরই বিজেপির বিরুদ্ধে স্লোগান তুলে তিনি বলেন,‘বিজেপি গেট লস্ট, ওরা পচা।’ বিজেপির বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ করেন তিনি।

'হারবে বুঝেই EVM বদলের চক্রান্ত করছে বিজেপি', বিস্ফোরক অভিযোগ যশোবন্ত সিনহার-সংবাদ প্রতিদিন

নন্দীগ্রামে হারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই আরও একটি আসন থেকে লড়ার সুযোগ খুঁজছেন। ১ তারিখ, নন্দীগ্রামে ভোট হয়ে যাওয়ার পর থেকে একাধিকবার এই দাবি তুলেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। তার জবাব দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতৃত্ব (TMC) স্পষ্ট করেছে যে অন্য কোনও আসন থেকে তাঁর লড়াইয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। কারণ, নন্দীগ্রামেই জিতছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে বিজেপির এই বক্তব্যে বিরাম নেই। শুক্রবার রাতেও অসম থেকে একই দাবি তুলেছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। এবার তার পালটা দিয়ে তৃণমূলের আরেক মুখপাত্র যশবন্ত সিনহা বললেন, ”মিথ্যের চর্চা চলছে বিজেপির অন্দরে। ‘মাইন্ড গেমসে’ আমাদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করছি। সেসব ‘মাইন্ড গেমস’ রুখে দিতে আমরা প্রস্তুত।”শনিবার দুপুরে তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে আরও বড় অভিযোগ তুললেন বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী, তৃণমূলের মুখপাত্র যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। বললেন, ”প্রথম দু’দফার ভোটে ফলাফল যে খুবই নিরাশাজনক হবে, তা বুঝেছে বিজেপি। তাই গভীর রাতে মোদি-অমিত শাহ-নাড্ডা মিলে বৈঠক করেছেন। হারবে বুঝে বিজেপি ইভিএম বদলের চক্রান্ত করেছে। আমরা তা রুখে দেব। আগামী ৬ দফা ভোটে ওদের ফল আরও খারাপ হবে।”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য আসন থেকে লড়াই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই। দুই শিবিরই এ নিয়ে দাবি, পালটা দাবি করছে। বিজেপির দাবি খারিজ করতে গিয়ে আরও বেশি আক্রমণ শানিয়ে তুলছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ভোটপর্বের মাঝেই ফলাফল নিয়ে একে অপরের উপর মানসিক চাপ তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগও উঠছে। তৃণমূল নেতৃত্ব এবার সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল, হারের ইঙ্গিত পেয়ে ইভিএম বদলের ষড়যন্ত্র করছে। যশবন্ত সিনহার এই অভিযোগ খারিজ করতে পালটা গেরুয়া শিবিরও যে ঝাঁপিয়ে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

 

মোদীর সঙ্গে যোগী, ভোট তৃতীয়ার আগে শনিতে প্রচারে জোর পদ্ম শিবিরের-আনন্দবাজার পত্রিকা

ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে দু’দফার ভোট মিটে গিয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিল ভোট তৃতীয়ার আগে ফের প্রচারে জোর দিতে চলেছে বিজেপি। আজ পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র নির্বাচনি জনসভা করলেন দুটি। আজ আজকাল লিখেছে- রাজ্যে মোদি-যোগী, পাল্টা মমতা-অভিষেকের প্রচার। আজ পশ্চিমবঙ্গে হাইভোল্টেজ নির্বাচনি সভা হলো- তৃতীয় দফার ভোটকে সামনে রেখে।

পশ্চিমবঙ্গের ভোটে এগিয়ে মমতার তৃণমূল! বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত এ খবরে বলা হয়েছে,

ভারতে নির্বাচন চলাকালে বুথফেরত জরিপ নিষিদ্ধ। তবে নির্বাচন শুরুর আগ পর্যন্ত করা বিভিন্ন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আসন কমলেও পশ্চিমবঙ্গে আবারও ক্ষমতায় আসছে মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস।

শুক্রবার উত্তরবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণায় মমতা ব্যানার্জি বলেন, প্রথম দুই দফায় ৬০ আসনে ভোট গ্রহণ হয়েছে। আমরা এর মধ্যে ৫০ আসনেই জিততে চলেছি। তৃণমূল সব মিলিয়ে ২০০ আসনে জিতবে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্র বলছে, ২৯৪ আসনের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় অন্তত ১৮০ আসনে জিততে চলেছে তারা। যদিও বিজেপির দাবি, তারা এবার ২০০ আসনে জিতবে এবং সরকার গড়বে।এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভাঙা পা নাচাচ্ছেন—এমন একটি ভিডিও নিয়ে হইচই শুরু করেছে বিজেপি। ৭ মার্চ নন্দী গ্রামে প্রচারণায় গিয়ে মমতা পায়ে চোট পান। পায়ে প্লাস্টার করতে হয়েছে। সেই অবস্থায় হুইল চেয়ারে বসে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। শুক্রবার ভিডিওটি পোস্ট করে বিজেপির মুখপাত্র প্রণয় রায় অভিযোগ করেন যে, আমরা প্রথম থেকেই বলেছি ঘটনাটি নাটক। এবার দিদি নিজেই সেটা প্রমাণ করেছেন। যে পায়ে ব্যথার জন্য হুইলচেয়ার নিয়ে ঘুরতে হয়, সেই পা তিনি দিব্যি নাচাচ্ছেন! বিজেপির দাবি, ভিডিওটি বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে বয়াল বুথে মমতা বসে থাকার সময় করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মমতা তৃণমূলের কোনো দলীয় কার্যালয়ে বসে রয়েছেন। সেখানে টেবিলের তলা দিয়ে মমতাকে চোট পাওয়া বাম পা দোলাতে দেখা যাচ্ছে। একটা সময়ে ব্যান্ডেজ করা বাম-পায়ের উপর ডান পা তুলে রাখছেন তিনি। তৃণমূল এ অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি বলেন, বিজেপি কুৎসিত প্রচারণা চালাচ্ছে। অমানবিক!#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।