এপ্রিল ২৫, ২০২১ ১৩:১৩ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২৫ এপ্রিল রোববারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:

  • সারা দেশে একসঙ্গে লকডাউন নয়-যুগান্তর 
  • করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট-মহাবিপদ, সীমান্ত বন্ধের পরামর্শ-মানবজমিন
  • দ্বিতীয় টেস্টেও খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ-ইত্তেফাক
  • টিকার সব পথ খোলা রাখতে চায় সরকার নীতিমালায় পরিবর্তন আসছে-সমকাল
  • করোনার ভারতীয় ধরন কতটা বিপজ্জনক–প্রথম আলো
  • ঢাকাকে দিল্লির বার্তা এ দেশেই ভারতীয় টিকা উৎপাদনের প্রস্তাব-কালের কণ্ঠ
  • রাজনৈতিক সরকারের মন্ত্রীদের কাজটা কী-নঈম নিজাম বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • কোভিড আতঙ্কে উটকো ঝামেলা চায় না কমিশন, সপ্তম দফায় মোতায়েন ৭৯৬ কোম্পানি বাহিনী-সংবাদ প্রতিদিন
  • করোনার ভয়ে ১০ গুণ বিমান ভাড়া দিয়ে দুবাই পালাচ্ছেন ধনী ভারতীয়রা! –আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। প্রথমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর।

 এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট মহাবিপদ, সীমান্ত বন্ধের পরামর্শ-মানবজমিন

ভারতে চিহ্নিত করোনার বিপজ্জনক ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভারতে যেভাবে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে তা ক্রমে বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ভারত পরিস্থিতিতে সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ এবং সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের পরামর্শ দিয়েছেন। প্রয়োজনে সীমান্ত বন্ধ রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এছাড়া ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের কঠোরভাবে কোয়ারেন্টিনে রাখার পরামর্শ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, দেশে এমনিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এর মধ্যে আরো একটি আঘাত এলে সেটা মহাবিপদ ডেকে আনবে। তখন বিদ্যমান চিকিৎসা ব্যবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না।লকডাউনের কারণে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বিমান যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সহসাই বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সগুলো ভারতের সঙ্গে ফ্লাইট অপারেশনে যাচ্ছে না বলে আভাষ দিয়েছে।

ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের যে দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে, তার পেছনে কোভিড-১৯’র নতুন ধরন ‘ডাবল মিউট্যান্ট’ কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের সতর্কতা হিসেবে গত মঙ্গলবার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির এক সভাতে ভারতে সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখার প্রস্তাব করা হয়। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি ও জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ভারতে সংক্রমণ পরিস্থিতি মারাত্মক হওয়ায় আমরা অবিলম্বে সরকারকে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। সীমান্ত যদি পুরোপুরি বন্ধ রাখা সম্ভব নাও হয়, তাহলে অবশ্যই ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে সীমান্তে বিধি-নিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, আর কোনো বিপর্যয় এড়াতে এখন ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রাখা উচিত। এ বিষয়ে আমাদের মতামত আমরা যথাযথ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। যদিও সরকারের উপরের মহল থেকেই এই সিদ্ধান্ত আসবে। এদিকে ভারতের সঙ্গে বাংলদেশের সবচেয়ে ব্যস্ত যোগাযোগ সীমান্ত হিসেবে পরিচিত বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যাতায়াত অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ৫ থেকে ৬ শতাধিক মানুষ সীমান্ত দিয়ে আসা-যাওয়া করছেন। এদের প্রায় সবাই চিকিৎসা সেবা নিতে ভারতে যাতায়াত করেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ভারতের এই ভাইরাস আমাদের দেশে ছড়ানোর সমূহ আশঙ্কা আছে। একে তো আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তারওপর স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করছে। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ একদম বন্ধ করা সম্ভব নয় বিভিন্ন কারণে। আর এ কারণে এই ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে। তারা বলেন, বন্দরগুলোতে অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা উচিত। এতে ২০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল জানা যাবে। কোয়ারেন্টিনও সেরা উপায়। কিন্তু যদি সেটা সম্ভব না হয়, তবে পরীক্ষা করিয়ে দেশে ঢোকাতে হবে। এতে অন্তত ৯০ শতাংশ শনাক্ত করা যাবে।

মানবজমিনের খবরে লেখা হয়েছে, সিলেটের ছয় স্থলবন্দরে সতর্কতা বসানো হয়েছে থার্মোস্ক্যানার

করোনায় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচলের উদ্যোগ-সারা দেশে একসঙ্গে লকডাউন নয়-যুগান্তর

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে নতুন করে আর কেন্দ্রীয়ভাবে সারা দেশে একসঙ্গে লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না। তবে কোনো অঞ্চল বা এলাকায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে গেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মতামতের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্ট অঞ্চল বা এলাকায় লকডাউন দিতে পারবে। করোনার সংক্রমণের হার ঝুঁকিমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত চলমান বিধিনিষেধ আংশিকভাবে অব্যাহত থাকবে। মানুষের জীবন-জীবিকার স্বার্থে পর্যায়ক্রমে তা আরও শিথিল করা হবে।

সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এসব বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যায়ক্রমে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, তবে কোনো কারণে সংক্রমণ অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে বা ভয়ংকর রূপ নিলে তখন কেন্দ্রীয়ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এর আগে নয়। তবে স্থাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

করোনাকালে অর্থনীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যুগান্তরের একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছ, করোনাকালে সীমিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড টাকার ব্যবহার কমেছে।করোনাভাইরাসের কারণে ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধার করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাজারে টাকার প্রবাহ বাড়ানো হয়েছে। তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের কর্মকাণ্ড প্রত্যাশিত হারে না বাড়ায় টাকার ব্যবহার আগের তুলনায় বাড়েনি। বরং কমে গেছে।

অপর এক খবরে লেখা হয়েছে,মহামারি করোনাকালে বাংলাদেশের প্রায় ৭৮ শতাংশ নারী-প্রধান পরিবার অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই কাজ বা চাকরি হারিয়েছেন মহামারিতে।একইসঙ্গে তাদের সংসারে কাজের চাপও বেড়েছে।সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে সংসারে সেবাকাজের দ্রুত বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

মানবজমিন এক সালমার সকরুণ কাহিনী তুলে ধরেছে। সেখানে বলা হয়েছে-

করোনা ইউনিটে কাজ করতে গিয়ে গর্ভেই নষ্ট হয়েছে দুই সন্তান, ১১ মাস বেতন বন্ধ-করোনা হাসপাতালের আইসিইউতে দায়িত্ব পালন করে দু’বার পজেটিভ হয়েছি। এই দু’বারে আমার দু’টো ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে। করোনা পজেটিভ হয়েও ছুটি পাইনি। অসুস্থ শরীর নিয়ে ডিউটি করেছি। শরীরে রক্তশূন্যতা, তাই ধারদেনা করে ওষুধ কিনে খাই। অথচ এগারো মাস ধরে বেতন পাই না। খেয়ে না খেয়ে আছি। টাকার অভাবে নিজের বাসা ছেড়ে উঠেছি বাবার বাসায়।

যুগান্তরের খবর-করোনার দ্বিতীয় ঢেউ উন্নয়নের ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আড়াই লাখ কোটি টাকা ব্যাংকে উদ্বৃত্ত তারল্য-যুগান্তর

করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর গত বছরের মার্চের শেষদিকে লকডাউন শুরু হয়। আর এপ্রিল থেকে বন্ধ হয়ে যায় অধিকাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য। নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন অনেক ব্যবসায়ী। চলমান ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যায় কারও কারও আবার কেউ বা ছোট করেন ব্যবসার পরিসর। চাকরিজীবীরাও সব ধরনের বিনিয়োগ ও বাড়তি খরচ থেকে সরে এসে সঞ্চয় শুরু করেন।

বিদেশ থেকে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়লেও সে তুলনায় টাকা তোলা কম হয়েছে। একই চিত্র করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েও। চলতি বছরের মার্চে ক্ষতি কিছুটা কম হলেও এপ্রিলে পুরোপুরি থেমে গেছে। সব মিলিয়ে একের পর এক করোনার অভিঘাতে দেশের অর্থনীতি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকাংশে স্থবির হয়ে পড়েছে। পর্যাপ্ত ঋণ বিতরণ ও বিনিয়োগ না হওয়ায় চলতি বছরের মার্চ ও এপ্রিলে ব্যাংকগুলোতে উদ্বৃত্ত তারল্য আড়াই লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। তবে ঈদকে ঘিরে আবার চাঙ্গা হয়ে উঠবে ব্যাংকিং খাত-এমন ধারণা ব্যাংকারদের।

লকডাউনে আরো সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ফিরেছে শেয়ারবাজারে-ইত্তেফাক

কঠোর লকডাউনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে আরো সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে বিদায়ি সপ্তাহে। শুধু বাজার মূলধনই নয় বিদায়ি সপ্তাহে শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।

দ্বিতীয় টেস্টেও খালেদা জিয়া করোনা পজিটিভ-ইত্তেফাক

খালেদা জিয়ার করোনার নমুনা পরীক্ষার ফল আবারও পজিটিভ এসেছে। তিনি ছাড়াও বাসার আরো তিনজনের করোনা ফের পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. এফ এম সিদ্দিকী। রবিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১২ টা ৫০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলনে করে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যাক্তিগত চিকিৎসক দলের এই প্রধান ।

তিনি বলেন, আজ বেগম জিয়ার শারীরিক সবগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে রিপোর্ট ভালো আসছে। করোনার দ্বিতীয় সপ্তাহের যে জটিলতা তিনি সেটা কাটিয়ে উঠেছেন। আশা করছি ৫-৬ দিন পর আবার টেস্ট করলে তিনি নেগেটিভ হয়ে যাবেন করোনা থেকে।

রাজনীতি এবং নির্বাচন সম্পর্কি খবরে দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছে,

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী সদস্য গ্রেগরি মিকস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার চায় বাংলাদেশ উন্নয়নের সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাক। কিন্তু বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। সেখানে মানবাধিকার লংঙ্ঘিত হচ্ছে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও বিচার ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা না থাকলে উন্নয়নের অভিযাত্রা বাধাগ্রস্ত হবে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটসে এক ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এই কংগ্রেসম্যান। যখন কংগ্রেস ম্যান এ কথা বলছেন তখন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে কিসে হবে তা নিয়ে ইসি বলেছেন,  আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম 

সকল সংসদীয় আসনে ইভিএমে ভোট করার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি রেখে যাবো।আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩শ সংসদীয় আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট করার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মহামারি করোনার কারণে সেই প্রস্তুতিতে কিছুটা ভাটা পড়লেও থেমে নেই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। ভোট যন্ত্রটি পরিচালনায় দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে কারিগরি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। যদিও ইভিএম ব্যবহারের পক্ষে-বিপক্ষে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক রয়েছে।

ইসির সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রস্তুতির অংশ হিসাবে ইতিমধ্যে কমিশনের হাতে দেড় লাখের মতো ইভিএম আছে। আরো ৩৫ হাজার ইভিএম দ্রুত ক্রয় করা হচ্ছে। জাতীয় সংসদের ৪০ হাজার ভোট কেন্দ্রে প্রায় দেড় লাখের মতো ইভিএম লাগবে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রস্তুতির ঘাটতি না থাকলেও সক্ষমতা 

পুরান ঢাকায় ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল ব্যবসা দুই হাজার প্রতিষ্ঠানই অবৈধ-যুগান্তর

পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল ও কেমিক্যালসংশ্লিষ্ট প্রায় ২ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই অবৈধ। এগুলোর কোনো ট্রেড লাইসেন্স নেই। নিমতলীর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়ন করেনি সিটি করপোরেশন। পাশাপাশি ইস্যু করেনি নতুন কোনো লাইসেন্সও। এরপরও গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে নির্বিঘ্নে অবৈধভাবে চলছে এসব ব্যবসা। ঝুঁকি নিয়ে পরিচালিত এ ব্যবসার কারণে ঘটছে একের পর এক অগ্নিকাণ্ড। ইতোমধ্যেই ঝরে গেছে দুই শতাধিক প্রাণ। ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি-তাদের প্রতিষ্ঠান অন্যত্র সরিয়ে না নেওয়ার কারণেই তারা পুরান ঢাকায় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

শুক্রবার পুরান ঢাকার আরমানিটোলার অবৈধ কেমিক্যাল গুদামের অগ্নিকাণ্ডে ঝরে গেছেন ৪ জন। আর গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও ২০ জন। এ ঘটনার পর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা তৎপর হয়ে উঠেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলছে, ওই কেমিক্যাল গুদাম সম্পূর্ণ অবৈধ। কোনো ধরনের সরকারি অনুমোদন নেই প্রতিষ্ঠানটির।নিয়ে প্রশ্ন আছে বরাবরই।

এবার কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

কোভিড আতঙ্কে উটকো ঝামেলা চায় না কমিশন, সপ্তম দফায় মোতায়েন ৭৯৬ কোম্পানি বাহিনী-সংবাদ প্রতিদিন

ক্রমশ বাড়তে থাকা কোভিড আতঙ্কের মধ্যে ভোটে কোন বড়সড় ঝামেলা হলে তা হবে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত। সে কথা মাথায় রেখেই রাজ্যের সপ্তম দফা নির্বাচনে (Assembly Polls 2021) নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের অতি সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। ষষ্ঠ দফার মতই এবারও বাহিনী মোতায়েনে কোন ফাঁক রাখা হচ্ছে না। এই দফায় দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান এবং দক্ষিণ কলকাতার মোট ৩৪ টি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকছে মোট ৭৯৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার মধ্যে শুধু বুথের নিরাপত্তা দায়িত্বে থাকবে ৬৫৩ কোম্পানি আধাসেনা।

করোনার ভয়ে ১০ গুণ বিমান ভাড়া দিয়ে দুবাই পালাচ্ছেন ধনী ভারতীয়রা! আজকাল

অতিমারির হাত থেকে রেহাই পেতে দেশ ছেড়ে পালানোর হিড়িক উঠেছে দেশের ধনী সম্প্রদায়ের মধ্যে। আর তার জেরেই আকাশ ছুঁয়েছে বিমান ভাড়া। এমনকী ভর্তি সমস্ত প্রাইভেট জেটও। 

রবিবার থেকে ভারত থেকে দুবাইগামী সমস্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। তার আগে তাই সামর্থ্য থাকা ভারতীয়রা সেদিকেই পা বাড়াচ্ছে। মুম্বই থেকে দুবাইয়ের বিমান ভাড়া সাধারণ সময়ে আট থেকে ১০ হাজার টাকা হয়। এখন তা হয়েছে ৮০ হাজার। দিল্লি থেকে দুবাইয়ের টিকিটও ৫০ হাজারে কিনছে ধনী ভারতীয়রা। ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে তাঁরা আর কেউ দেশে থাকার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। পালাচ্ছেন সদলবলে।# 

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৫

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।