কথাবার্তা: 'ফিলিস্তিন জ্বলছে, এ আগুন নিভবে কবে'
প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ১৮ মে মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চান বাইডেন-প্রথম আলো
- ফিলিস্তিন জ্বলছে,এ আগুন নিভবে কবে-প্রথম আলো
- ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট দেখে বিস্মিত ইসরায়েল- প্রথম আলো
- ইতিহাস আর কেউ মুছতে পারবে না-প্রধানমন্ত্রী-মানবজমিন
- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিং বয়কট করলেন সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা- বাংলাদেশ প্রতিদিন
- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট করায় আমার সাথে অন্যায় করা হচ্ছে: রোজিনা -ইত্তেফাক
- ভারত ফেরতদের নিয়ে চতুর্মুখী সংকট -সমকাল
- অর্থনীতির খবর-করোনা কালেও মাথাপিছু আয় বেড়েছে -যুগান্তর
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বেসামাল দেশের অর্থনীতি, মে মাসেই বেকারত্বের হার হতে পারে সর্বোচ্চ -সংবাদ প্রতিদিন
- একদিনে করোনায় মৃত্যুর রেকর্ড –আজকাল
- নারদ নাটকে জেলেই চার-গণশক্তি
শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের হামলা ও হত্যার সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বমিডিয়ায় বিশেষ শিরোনামে খবর পরিবেশিত হয়েছে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চান বাইডেন-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আট দিনের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
জো বাইডেন গতকাল সোমবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি গতকাল ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এই ফোনকলেই বাইডেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তাঁর সমর্থন প্রকাশ করেন।যুদ্ধবিরতির পক্ষে বাইডেন এখন তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করলেও রোববার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান সংবলিত বিবৃতি আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে নিরাপত্তা পরিষদের রোববারের বৈঠক থেকে কোনো ফল আসেনি।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে। সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত নেই।গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ২১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬১ জন শিশু রয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় ৩৮ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে আড়াই হাজার।
হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে রকেট ছোড়া হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্য, হামাস এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি পক্ষে ১০ জন নিহত হওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে।
ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট দেখে বিস্মিত ইসরায়েল-প্রথম আলো
ইসরায়েলের নৃশংস আগ্রাসনের জবাবে ফিলিস্তিন থেকে রকেট হামলা চালানো হচ্ছে। আগ্রাসনের পাল্টা জবাব হিসেবে যে হারে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলা হচ্ছে, তা দেখে বিস্মিত ইসরায়েল। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গতকাল রোববার স্বীকার করেছে, এবারের সংঘাতে তারা ফিলিস্তিন থেকে সর্বোচ্চহারে রকেট হামলার মুখে পড়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল অরি গর্ডিন বলেন, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন হামাস গোষ্ঠী আজ সোমবার পর্যন্ত ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে প্রায় তিন হাজার রকেট ছুড়েছে। আগে হামাস বা লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘাতকালে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে যে হারে রকেট ছোড়া হয়েছিল, সেই তুলনায় এবার ইসরায়েল অনেক বেশি হারে রকেট হামলার মুখে পড়েছে বলে জানান মেজর জেনারেল অরি গর্ডিন।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, ২০১৯ সালের নভেম্বরে ফিলিস্তিনের সঙ্গে এক দফায় সংঘাতে জড়ায় ইসরায়েল। তখন তিন দিনে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে মোট ৫৭০টি রকেট ছোড়ে হামাস। ২০০৬ সালে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায় ইসরায়েল। ওই যুদ্ধে ১৯ দিনে হিজবুল্লাহ প্রায় ৪ হাজার ৫০০ রকেট হামলা চালায় ইসরায়েলে। হিজবুল্লাহর রকেট হামলায় তখন ইসরায়েলের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হিজবুল্লাহর সঙ্গে এই যুদ্ধের পরই ইসরায়েল একটি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ার বিষয়ে ঘোষণা দেয়। তারপরই তারা ‘আয়রন ডোম’ নামের বিশ্বের অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলে। ইসরায়েল ২০১১ সালে প্রথম ‘আয়রন ডোম’ মোতায়েন করে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, আয়রন ডোমের মাধ্যমে তারা অধিকাংশ রকেট হামলা আকাশেই ঠেকিয়ে দিচ্ছে। তবে এবার গাজা থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আয়রন ডোমের দুর্বলতা সামনে আসছে। গাজা থেকে ছোড়া অনেক রকেট আয়রন ডোম ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
ফিলিস্তিনের বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় একটি ‘আন্তর্জাতিক সুরক্ষাব্যবস্থা’ করার প্রস্তাব দিয়েছে তুরস্ক। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানির মধ্যে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জরুরি বৈঠকে এই প্রস্তাব তুলেছে দেশটি।
ফিলিস্তিন জ্বলছে, এ আগুন নিভবে কবে-প্রথম আলো
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজায় ইসরায়েলি হামলা অল্প কিছুদিনের মধ্যে হয়তো শেষ হবে, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য সংকটের আশু সমাধান হবে, এ কথা ভাবার কোনো কারণ নেই। আবারও জ্বলছে ফিলিস্তিন। এক সপ্তাহ আগে গাজায় যে ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হয়, তা অব্যাহত রয়েছে। ইতিমধ্যে ৫৮টি শিশুসহ প্রায় ২০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। জবাবে হামাসের রকেট হামলায় নিহত হয়েছে ১০ জন ইসরায়েলি, যাদের একজন সেনাসদস্য। অশান্ত হয়ে উঠছে পশ্চিম তীর, সেখানেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে ১৫ জনের বেশি ফিলিস্তিনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও যুদ্ধ শেষের কোনো লক্ষণ নেই।
হামাসের সামরিক শক্তি নিঃশেষ না হওয়া পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলবে, জানিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইতিমধ্যে গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাবহর মোতায়েন করা হয়েছে, যেকোনো মুহূর্তে তারা স্থলপথে গাজা আক্রমণ করে বসতে পারে। এর আগে ২০১৪ সালে গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ স্থল হামলা সাত সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল। হামাসের শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে হামলা চালানো হলেও সে লক্ষ্য যে অর্জিত হয়নি, এবারের হামলা থেকে তা স্পষ্ট।
সাংবাদিক রোজিনার রিমান্ড নাকচ, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ-যুগান্তর
রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার জামিন শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আটকে রেখে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে।সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে ৬২ পাতার নথি সরানোর অভিযোগ
আর কালের কণ্ঠ লিখেছে,রোজিনাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন বয়কট করল সাংবাদিকরা।
ইতিহাস আর কেউ মুছতে পারবে না-প্রধানমন্ত্রী-দৈনিক মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার যে চেষ্টা হয়েছিল, তেমন কাজ এ দেশে আর কেউ করতে পারবে না। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, অনেক ঝড়-ঝাঁপটা পেরিয়ে বাংলাদেশ যেখানে পৌঁছেছে, সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় পৌনে ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার দিনটি স্মরণ করে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছি।
অর্থনীতির খবর-করোনা কালেও মাথাপিছু আয় বেড়েছে-যুগান্তর
করোনা মহামারির মধ্যেও মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে সবশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার।
সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।এই অর্জনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মন্ত্রিসভা।
ভারত ফেরতদের নিয়ে চতুর্মুখী সংকট-সমকাল
ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভীতি ছড়াচ্ছে বাংলাদেশেও। মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে যে কোনো সময় এখানেও ভারতের মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে বলে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে ২৬ এপ্রিল থেকে স্থলসীমান্ত বন্ধ রয়েছে। তবে এরই মধ্যে চিকিৎসার জন্য গিয়ে আটকেপড়া বা ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসা বাংলাদেশিরা স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছেন। এ সুযোগে গতকাল সোমবার পর্যন্ত তিন হাজার ৬৬৬ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
নিয়ম অনুযায়ী ভারতফেরতদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু যেসব স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশিরা প্রবেশ করছেন, সেখানে তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ চতুর্মুখী সংকটে স্থানীয় প্রশাসনে হিমশিম খাচ্ছে।
শুরুতে বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশের সুবিধা ছিল। গত রোববার থেকে কুষ্টিয়ার দর্শনা, দিনাজপুরের হিলি ও রাজশাহীর সোনামুখী দিয়েও লোকজন ভারত থেকে দেশে ফিরছেন। দেশে ফেরত আসা কারও কারও এরই মধ্যে কভিড-১৯ ধরা পড়লে এখনও অনেকের করোনার ধরন শনাক্ত করা যায়নি। এতে ভাইরাসের ধরন নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন সংশ্নিষ্টরা। এ ছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতফেরত যারা দেশে ঢুকছেন, সেখানে কোয়ারেন্টাইনে জায়গা সংকটের কারণে দূর-দূরান্তের অনেক জেলায় তাদের রাখতে হচ্ছে। কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে তাদের অন্যান্য জেলায় নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এর জন্য প্রশাসনের কাছে পরিবহন ও অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্টও পর্যাপ্ত নেই। স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
একাধিক কর্মকর্তা জানান, ভিসার মেয়াদ ১৫ দিনের কম রয়েছে- এমন লোকজন দেশে ফিরে আসছেন। কিন্তু এতে স্থানীয় প্রশাসনের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরি করছে। ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার কারণে দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের দিল্লি, কলকাতা ও আগরতলার বাংলাদেশ মিশনের অনাপত্তিপত্র নিতে হয়।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার সমকালকে বলেন, বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৮০২ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় এসেছেন ৪৯ জন। তাদের অর্ধেককে যশোর ও বেনাপোলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। বাকিদের খুলনা, সাতক্ষীরা, মাগুরা, ঝিনাইদহ ও নড়াইলে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা হয়।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
সব রেকর্ড ভেঙে ভারতে একদিনে ৪৩২৯ প্রাণহানি-আজকাল
করোনাভাইরাসে ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহামারি পর্বে এখন পর্যন্ত এটি সর্বোচ্চ মৃত্যু। এই সময়ে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫৩ জন।মঙ্গলবার ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৫৩ জনসহ দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যাও আড়াই কোটি ছাড়াল। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ২ কোটি ৫২ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যুতে ভারতে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৯ জনের।
চীনের প্রায় ৩ কোটি বিবাহযোগ্য পুরুষ পাচ্ছেন না পাত্রী! কেন....আজকাল
পাত্রের সংখ্যা প্রচুর। কিন্তু কনে মিলছে না। যার ফলে চীনের প্রায় ৩ কোটি যুবক অবিবাহিত রয়েছেন। অনেক দেশের এত জনসংখ্যাই নয়। যে পরিমাণ পুরুষ চীনে অবিবাহিত রয়েছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
চীনে বরাবরই পুত্রসন্তানকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে পরিস্থিতি এখন বদলাচ্ছে। কন্যাসন্তানের সংখ্যাও বাড়ছে। যার ফলে পুরুষদের পাত্রীর অভাবে বিয়ের সমস্যা দ্রুত মিটবে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ চীন মর্নিং পোস্টের একটি সমীক্ষা। চীনের জনসংখ্যা সুমারি অনুযায়ী গতবছর ১ কোটি ২০ লক্ষ সন্তান জন্মেছে। যার মধ্যে পুত্র ও কন্যার অনুপাত যথাক্রমে ১১৩.৩:১০০। ২০১০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অনুপাত ছিল ১১৮.১:১০০। এক গবেষকের কথায়, ‘চীনে সাধারণত পুরুষরা বয়সের তুলনায় কম বয়সিদের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে। দেশে পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা বেশ কম বলেই এটা হচ্ছে।’ আর এক গবেষকের কথায়, ‘গত বছর যে ১ কোটি ২০ লক্ষ সন্তান জন্মেছে। তার মধ্যে অন্তত ৬ লক্ষ পুরুষ বিয়ের সময় পাত্রী পাবেন না।’
চীনে এক সন্তান নীতি ১৯৭৯ সালে কার্যকর করা হয়। তা আবার তুলে নেওয়া হয় ২০১৬ সালে। সমীক্ষা বলছে এখন চীনা মহিলা প্রতি সন্তানধারণের হার ১.৩। তা বাড়িয়ে ২.১ হলে নারী–পুরুষ ভারসাম্য বজায় থাকবে। সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে, চীনের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পুরুষদেরই কনে পেতে সমস্যা হচ্ছে। তার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে অপুষ্টি ও দুর্বল স্বাস্থ্যের বিষয়টি। সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়টিও পরিবর্তিত হবে বলে বিশেষজ্ঞদের মত।
চীনের জনসংখ্যা অত্যধিক হওয়ার এক সন্তান নীতি কার্যকর করা হলেও তা এখন তুলে নেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বিয়ের জন্য চীনা পুরুষদের কনে পাওয়ার সমস্যাও অল্প কয়েক বছরের মধ্যে মিটবে।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় বেসামাল দেশের অর্থনীতি, মে মাসেই বেকারত্বের হার হতে পারে সর্বোচ্চ-সংবাদ প্রতিদিন
অর্থনীতির ওপর করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব আশঙ্কার থেকেও অনেক বেশি। ফলে মে মাসে বেকারত্বের হার (Unemployment rate) আরও বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অধিকাংশ রাজ্যেই পূর্ণ অথবা আংশিক লকডাউন চলছে। প্রয়োজনীয় বা জরুরি নয়, এমন সব দোকান-বাজারই কার্যত বন্ধ। বহু ক্ষেত্রে বন্ধ উৎপাদনও।
করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউনের জেরে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ঠেকেছে তলানিতে। ফলস্বরূপ বছর ঘুরতেই আবার বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি ব্যবসায়ীদের বড় অংশ। এই ব্যবসাগুলির সঙ্গে পরোক্ষভাবে জড়িতদের অনেকেরই রোজগার বন্ধ। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হতে পারেন মে মাসে। বেকারত্বের হার হতে পারে গত চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ভোট পরবর্তী হিংসায় SIT গঠনের দাবি নিহতদের পরিবারের, রাজ্যকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে,ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে এবার রাজ্য সরকারকে নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট । এই সংক্রান্ত ঘটনাগুলির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন নিয়ে যে দাবি করা হয়েছিল নিহতদের পরিবারের তরফে, তা নিয়ে রাজ্যের কী ভাবনা? তা জানতে চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নোটিস পাঠাল দেশের শীর্ষ আদালত। এ নিয়ে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের মতামত জানাতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। তার ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। এদিকে, আজকালের এক খবরে লেখা হয়েছে,সুপ্রিম কোর্ট নয়! হাইকোর্টেই নারদ মামলা লড়তে চায় রাজ্য নারদ কাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে রাজ্যের ২ মন্ত্রী, ১ বিধায়ক সহ ৪ জন আপাতত জেলবন্দি। তাদের জামিনের জন্য হাইকোটে যেতে চায় রাজ্য।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৮
- বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।