দিল্লি বিধানসভার ভেতরে গোপন সুড়ঙ্গ ঘিরে রহস্য !, পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে?
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৪ সেপ্টেম্বর শনিবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরের শিরোনাম:
- ২২ বছরে এক দিনও সেতুটি ব্যবহার হয়নি, ভেঙে পড়ল নৌকার ধাক্কায়-প্রথম আলো
- ময়মনসিংহে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, ৪ জঙ্গি আটক -কালের কণ্ঠ
- বারাদারের নেতৃত্বেই নতুন সরকার?-মানবজমিন
- তুমুল সংঘর্ষের পর পাঞ্জশির ‘দখলে নিয়েছে’ তালেবান -যুগান্তর
- পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে? -ইত্তেফাক
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- গোপন সুড়ঙ্গ! দিল্লি বিধানসভা থেকে লাল কেল্লা পর্যন্ত রাস্তা ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য-আনন্দবাজার পত্রিকা
- দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৪০ হাজার পার, বেড়েই চলেছে অ্যাকটিভ কেস-সংবাদ প্রতিদিন
- ভেস্তে গেল কমিশনের বৈঠক সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচন নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা-আজকাল
- অবশেষে তালেবানদের দখলে পাঞ্জশির,গুজবে কান দিতে বারণ করছে মাসুদ বাহিনী-আজকাল
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
আফগান সংকট কোনদিকে? - বারাদারের নেতৃত্বেই নতুন সরকার?-মানবজমিন

আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দুই সপ্তাহ পার হওয়ার পর সরকার গঠনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে তালেবান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে জোর গুঞ্জন এই সরকারের প্রধান হচ্ছেন তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান মোল্লা আব্দুল গণি বারাদার। শুক্রবার ইসলামপন্থি সংগঠনটির অভ্যন্তরীণ তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে মোল্লা বারাদারের সরকার প্রধান হওয়ার বিষয়টি প্রথম জানায় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। এরপর শুক্রবার দিনভর এ নিয়ে বিশ্ব মিডিয়ায় নানা আলোচনা চলে। তবে দিনশেষে এক তালেবান মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বৃটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সরকারে কে কে থাকবে তা নিয়ে গণমাধ্যমে যত খবর বেড়িয়েছে তা ‘ভিত্তিহীন’। একইসঙ্গে তিনি জানান, আজ শনিবারের আগে সরকার গঠনের ঘোষণা আসার সম্ভাবনা নেই।
এর আগের রিপোর্টগুলোতে বলা হয়েছিল, শুক্রবারই সরকার গঠনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে মিলিশিয়া বাহিনীটি আর এর প্রধান হচ্ছেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা বারাদার। এছাড়া সরকারের বড় পদ পাচ্ছেন তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব এবং রাজনৈতিক শাখার ডেপুটি প্রধান আব্বাস স্তানিকজাই। এই ইয়াকুব আবার তালেবানের সামরিক শাখার দায়িত্বে আছেন। তবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যাচ্ছে না।
তুমুল সংঘর্ষের পর পাঞ্জশির ‘দখলে নিয়েছে’ তালেবান -যুগান্তর

ব্যাপক সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকা নিজেদের দখলে নেয়ার দাবি করেছে তালেবান। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভির।
তালেবানের এক কমান্ডার বলেছেন, পুরেরা আফগানিস্তান এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে। সমস্যা সৃষ্টিকারীরা পরাজিত হয়েছে এবং পাঞ্জশির এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জশির উপত্যকা। এলাকাটি উঁচু-নিচু পাহাড়ি ও দুর্গম হওয়ায় অনেকটা সুবিধাজনক স্থানে ছিল তালেবান প্রতিরোধ গোষ্ঠী। উপত্যকাটিতে ঢোকার রাস্তা খুবই সরু। সেখানে কয়েক হাজার তালেবান বিরোধী যোদ্ধা অবস্থান করছিল। প্রসঙ্গত, এখনো এই অঞ্চলটি এনআরএফের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই গোষ্ঠীটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আফগান প্রতিরোধের নায়ক বলে পরিচিত আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমদ মাসুদ।
পানশিরের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে? এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, আফগানিস্তানের পানশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে। তালেবানদের দাবি, তারা এই এলাকা পুরো দখল করে নিয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহীরা এ দাবি প্রত্যাখান করেছে। তারা বলছে, পরিস্থিতি কঠিন তবে এখনো পতন ঘটেনি
মতামত এই তালেবান, সেই তালেবান? প্রথম আলো
ক্ষমতা দখলের দুই সপ্তাহের মাথায় কট্টরপন্থী তালেবান আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বাঘলান প্রদেশে প্রখ্যাত লোকসংগীতশিল্পী ফাওয়াদ আন্দারাবিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ফাওয়াদ আন্দারাবিকে আন্দারাব জেলার কিষ্ণাবাদ গ্রামে তাঁর বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।ফাওয়াদ ছিলেন একজন চারণগায়ক।তাঁর অধিকাংশ গানই ছিল দেশের প্রতি ভালোবাসাসঞ্জাত। তবু তালেবান তাঁকে রেহাই দেয়নি। মাত্র কয়েক দিন আগেই কাবুলে তালেবানের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আফগানিস্তানে সংগীত আবার নিষিদ্ধ করা হবে, যেমনটি ১৯৯৬–২০০১ সাল পর্যন্ত ছিল। এই ঘোষণার তিন দিনের মাথায় ফাওয়াদকে হত্যা করা হলো। এ বিষয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাসুদ আন্দারাবি দাবি করেছেন, তালেবান যোদ্ধারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগীতশিল্পীদের খুঁজে বের করে তাঁদের ওপর অত্যাচার করছেন।

গত ১৫ আগস্ট তালেবান গোষ্ঠী যখন দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে, অনেকেই তখন মনে করেছিলেন এবারের তালেবান হয়তোবা আগেরবারের মতো হবে না। আগেরবারের তুলনায় এবার তারা হবে অপেক্ষাকৃত নমনীয় ও সহনশীল। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। যাঁরা তালেবান শাসন পছন্দ করেন, তাঁরা তো জোর দিয়েই বলছেন, এই তালেবান মোটেও আগের তালেবান হবে না। আর যাঁরা অপেক্ষাকৃত মুক্তমনা, তাঁরাও বলছেন গত ২০ বছরে বৈশ্বিক বাস্তবতা অনেক বদলে গেছে। বিশেষ করে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়া পৃথিবীকে অনেক বদলে দিয়েছে।
এই পরিবর্তিত বাস্তবতায় নিশ্চয়ই তালেবান আগের ভুল করবে না। নতুন প্রজন্মের তালেবান চিন্তাচেতনা, ধ্যানধারণায় আগের প্রজন্মের তুলনায় একটু ভিন্নতর হবে—এটা আশা করেছেন অনেকে। কিন্তু বোদ্ধামহলের সব হিসাব–নিকাশ উল্টে দিয়ে শিল্পী–সাহিত্যিকদের হত্যা চলছেই। ফাওয়াদ এ তালিকায় তৃতীয় বলা চলে।
ঢাকায় আফগান দূতাবাসে অবিশ্বাস্য নীরবতা-মানবজমিন
অবিশ্বাস্য নীরবতা বিরাজ করছে ঢাকার আফগান দূতাবাসে। বারিধারার ওই চ্যান্সারি কমপ্লেক্সে যেন রাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে। এপ্রিল মাস থেকে ঢাকায় আফগানিস্তানের কোনো রাষ্ট্রদূত নেই। সেকেন্ড সেক্রেটারি লেভেলের একজন কূটনীতিকের কাঁধে মিশনের প্রধানের দায়িত্ব। চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শাহ ওয়ালি নাসিরিই সর্বেসর্বা! ঢাকায় আছেন তিনি বহু বছর। তার সঙ্গে বর্তমানে আছেন দু’জন আফগান স্টাফ। কাবুলের মসনদ উলটপালটে প্রভাব পড়েছে তাদের কার্যক্রমেও। আফগানিস্তান দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেগুনবাগিচার পদস্থ কর্মকর্তা বলছেন, আফগান পরিস্থিতির ভয়াবহতায় দেশটিতে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে ঢাকাস্থ আফগান চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফোনটি রিসিভ করেননি কিংবা ফোনটি ব্যাকও করেননি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা বলছেন, তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশের পর দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির দেশ ত্যাগের আগ পর্যন্ত ইউরোপ-আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আফগান দূতরা দফায় দফায় ব্রিফ করেছেন। পরিস্থিতির ক্রমাবনতি, সরকার ও নাগরিকদের অবস্থা সম্পর্কে হোস্ট গভর্মেন্ট এবং ডিপ্লোমেটিক কমিউনিটিকে অবহিত করেছেন তারা। কিন্তু ঢাকার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের কোনো তৎপরতা ছিল না, এখনো নেই। তিনি পররাষ্ট্র দপ্তরকেও পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করার তাগিদ বা প্রয়োজনও মনে করেননি। ভারত ও পাকিস্তানে আফগান দূতাবাসের কার্যক্রম যেমন---এদিকে ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্য রাষ্ট্রগুলোতেও আফগান দূতরা তেমন সক্রিয় নন।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদের সাক্ষাৎকার-তালেবানের প্রধান অংশীদার হবে চীন-প্রথম আলো

আফগানিস্তানের নতুন শাসকগোষ্ঠী তালেবানের প্রধান অংশীদার হবে চীন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির পুনর্গঠনে সহায়তাও করবে বেইজিং। তালেবানের মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠানো শুরু করেছে জাতিসংঘ। বিশ্ব সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক গত বৃহস্পতিবার বলেন, রোববার থেকে এ পর্যন্ত তিনটি উড়োজাহাজ সহায়তাসামগ্রী নিয়ে সে দেশে অবতরণ করেছে। এএফপি, আল-জাজিরা ও দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবর।
কাবুল বিমানবন্দরের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছে কাতার ও তুরস্ক।
ইতালির সংবাদপত্র লা রিপাবলিকায় গত বুধবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আমাদের প্রধান অংশীদার হবে চীন। দেশটি আমাদের স্বার্থ রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবে। আমাদের দেশে বিনিয়োগ করা ও দেশের পুনর্গঠন প্রচেষ্টায় সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছে তারা।
নারী অধিকার নিয়ে নাক না গলানোর আহ্বান তালেবানের-প্রথম আলো
আফগান নারীদের অধিকার নিয়ে নাক না গলানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তালেবান।
৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান তালেবানের মুখপাত্র সুহাইল শাহিন।
আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর দেশটির নারীদের প্রতি তালেবানের আচরণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। পশ্চিমাদের এ উদ্বেগের জবাব দেন সুহাইল। সাক্ষাৎকারে সুহাইল বলেন, আফগানিস্তানে নারীদের অধিকার নিয়ে তাঁদের কোনো সমস্যা নেই। নারীদের শিক্ষা বা তাঁদের কাজ করার অধিকার নিয়েও কোনো সমস্যা নেই। পশ্চিমাদের উদ্দেশে তালেবানের মুখপাত্র বলেন, ‘একে অন্যের সংস্কৃতি পরিবর্তন করার চেষ্টা না করলেই হলো। আমরা যেমন আপনাদের সংস্কৃতি পরিবর্তন করার কথা বলছি না, তেমনি আপনারাও আমাদের সংস্কৃতি পরিবর্তন করার চেষ্টা করবেন না।’
যেভাবে নেয়া হলো সিদ্ধান্ত ৫৪৩ দিন পর খুলছে স্কুল-কলেজ-মানবজমিন

দীর্ঘ অপেক্ষার সমাপ্তি। ৫৪৩ দিন বা এক বছর পাঁচ মাস ২৪ দিন বন্ধের পর খুলছে স্কুল-কলেজ। ১২ই সেপ্টেম্বর রোববার খুলবে স্কুল-কলেজ। তবে শুরুতে পুরোদমে খুলছে না তা। চলতি ও পরবর্তী বছরের এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস করবে আর বাকিরা করবে সপ্তাহে একদিন। কর্তৃপক্ষ চাইলে একই দিন থেকে খুলতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়ও। করোনায় লণ্ডভণ্ড শিক্ষাক্যালেন্ডার এবার সংস্কারের পালা। প্রাণঘাতী করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তিনবারের পরিকল্পনা ভেস্তে যাবার পর এলো সুস্পষ্ট ঘোষণা। একাধিকবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তাগাদা দিয়েছিল। কিন্তু টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যদের সায় না থাকায় খোলা হয়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হয়েছে আন্দোলন, দাবি তুলেছিলেন অভিভাবকরাও। ২৪শে আগস্ট ইউনিসেফ জানায়, স্কুল-কলেজ বন্ধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম দেশ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তাতে সায় দিয়েছে কোভিড মোকাবিলায় গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি। গতকাল শুক্রবার চাঁদপুরে মহামায়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নবনির্মিত ভবনের উদ্বোধন শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা-পরিকল্পনাসহ নানান বিষয় তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। খুলছে স্কুল-কলেজ
আগামী ১২ই সেপ্টেম্বর থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। খোলা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ও
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিল চাইলে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গেই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে আমরা আবারো বসবো। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিল নেবে। যেভাবে চলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
স্কুল-কলেজ খুললেও পুরোদমে ক্লাসে যাবে না শিক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রী গণমাধ্যমে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলেও শুরুতে সব শ্রেণির ক্লাস হবে না। মানতে হবে যা যা
স্কুল-কলেজ খোলার পর মানতে হবে তিনটি নির্দেশনা। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চ সাজাতে হবে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রেখে। পাঁচ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে একজন শিক্ষার্থী বসা এবং পাঁচ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের বেঞ্চে দুজন শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করাতে হবে। এছাড়াও শ্রেণিকক্ষে সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হবে।
‘টিকার আওতায় আসবে ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরাও’
এবার ১২ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও করোনার টিকার আওতায় আনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। কবে হবে এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি শেষ হচ্ছে। পূর্ব ঘোষিত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কবে হচ্ছে শঙ্কা দেখা দিয়েছে পরীক্ষার্থীদের মাঝে। হারিয়ে গেছে হাজারো স্কুল
দীর্ঘ বন্ধে গুটিয়ে গেছে প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল। আর হারিয়ে গেছে প্রায় ১০ হাজার স্কুল। এসব ছোট বড় স্কুলে মেলেনি কোনো অনুদান। স্কুল খোলা না থাকায় মেলেনি শিক্ষার্থীদের বেতন। ফলে এসব স্কুল হারিয়ে যাবার পাশাপাশি পেশা পাল্টিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন লাখো শিক্ষক। স্কুল অনেকে ভাড়া দিয়েছেন মেস, গোডাউন বা ফ্ল্যাট হিসেবে। হাসি ফুটেছে টিউশনি করানো শিক্ষার্থীদের
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আরিফ হাসান। বাবাহীন এই শিক্ষার্থী টিউশনি করিয়ে চালাতেন নিজের ও ছোট বোনের লেখাপড়ার খরচ। কিন্তু করোনাকালে টিউশনি হারিয়ে বিপাকে পড়ে যান তিনি। আরিফ বলেন, করোনার আগে ৬টি টিউশনি করাতাম। এরপর একে একে টিউশনি বন্ধ হয়ে আয়হীন হয়ে পড়ি।
২২ বছরে এক দিনও সেতুটি ব্যবহার হয়নি, ভেঙে পড়ল নৌকার ধাক্কায়- প্রথম আলো

দুই গ্রামের মানুষের যোগাযোগের সুবিধার জন্য দুই দশকের বেশি সময় আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকায় এক দিনের জন্যও সেতুটি ব্যবহার হয়নি। আজ শুক্রবার সকালে ইটবোঝাই একটি নৌকার ধাক্কায় সেতুটি ভেঙে পড়েছে।
সেতুটির অবস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা ধরখার ইউনিয়নে। বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের মধ্যবর্তী নয়াখালের ওপর সেতুটি নির্মাণ হলেও তা কোনো কাজে আসেনি। এলাকাবাসীর দাবির মুখে ১৯৯৯ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনের তৎকালীন সাংসদ শাহ আলম সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। আখাউড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয় (এলজিইডি) নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করেছিল। উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বি সেতুটির দুই গোড়ায় মাটি নেই। সেতুটি সমতল থেকে অন্তত ১৫ ফুট উঁচু। এতে সারা বছর চারপাশে পানি থাকায় ২২ বছর সেতুটিতে কেউ কখনো ওঠানামা করেনি।

সেতু নির্মাণের আগে রাস্তা নির্মাণ করতে হয়। কিন্তু এখানে ঘটেছে উল্টোটা। আগে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পরে আর রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি।বাছির মো. আরিফুল হক, চেয়ারম্যান, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদ
বনগজ গ্রামের আরিফুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, কৃষ্ণগনর গ্রামের বাছির মিয়া, নুরু মিয়া বলেন, নয়াখালে শুধু সেতুটিই নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু রাস্তার কোনো কাজ হয়নি। সেতুটি এক দিনের জন্যও গ্রামের মানুষ ব্যবহার করতে পারেনি। বর্ষাকাল এলে এলাকার শিশুরা সেতুর ওপরে ওঠে আর সেতু থেকে পানিতে লাফ দেয়। বিকেলে অনেকে সেতুর ওপরে বসে আড্ডা দেয়। এরই মধ্যে সেতুটি ভেঙে পড়ল।
ভেঙে পড়ার আগে সেতুটি। একদিনের জন্যও মানুষ সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে পারেনি
ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাছির মো. আরিফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সেতু নির্মাণের আগে রাস্তা নির্মাণ করতে হয়। কিন্তু এখানে ঘটেছে উল্টোটা। আগে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পরে আর রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। দুই বছর আগে একটি কর্মসূচি দিয়ে সেখানে ছয় লাখ টাকা ব্যয় করে মাটি ফেলেছিলেন। কিন্তু বন্যার পানি সেই মাটি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। আর বর্তমান মাটির রাস্তা থেকে সেতুটির উচ্চতা প্রায় ১৫ থেকে ১৮ বা ২০ ফুট হবে। এই সেতু কোনো কাজে আসেনি।
এলজিইডির আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল লতিফ জানান, ইউএনওর মাধ্যমে সেতুটি ভেঙে যাওয়ার সংবাদ পেয়ে উপসহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলামকে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের ডেটাবেইসের তথ্যানুসারে সেতুর দৈর্ঘ্য ১৭ মিটার বা ৫৫ দশমিক ৭৭ ফুট এবং প্রস্থ ৬ ফুট। ১৯৯৯ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ ব্যয় ছিল ৬ লাখ টাকা।
৬৩ হাজার টাকার খাজনা হয়ে গেল ১১৯০ টাকা-ইত্তেফাক

অবিশ্বাস হলেও সত্য। ৭০ শতক ভূমির ৬৩ হাজার টাকার খাজনা এক ফোন কলে হয়ে গেল ১ হাজার ১৯০ টাকা। কুমিল্লার তিতাস উপজেলার লালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, উপজেলার শাহপুর আনোয়ারুল হক দাখিল মাদ্রাসার জন্য শাহপুর গ্রামের আলী আকবর, আব্দুল কাদির, শহিদ উদ্দিন ও তাদের ওয়ারিশগণ শাহপুর মৌজার ৩৭৭৩ দাগে ৩৫ ও ১৪ শতক এবং ২৩৭৩ দাগে ২১ শতাংশ পুকুর দান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। দলিল রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়ায় খাজনার রশিদ বাধ্যতামূলক থাকায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ খাজনা দেওয়ার জন্য লালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যায়। ভূমি অফিস থেকে তাদের জানানো হয় ১৪০২ বাংলা সাল থেকে ১৪২৮ বাংলা সাল পর্যন্ত খাজনা বাবদ ৬৩ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। এত টাকা দিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ খাজনা পরিশোধে হিমশিম খাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে শরণাপন্ন হন উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকারের কাছে।
বৃহত্তর স্বার্থে পারভেজ হোসেন সরকার উক্ত টাকা দিতে সম্মতি জানান এবং ভূমি অফিসের পেশকার মিজানুর রহমানকে বলেন। পরে খাজনা পরিশোধ বাবদ ৬০ হাজার টাকার কথা জানানো হয়। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় লালপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা রতন কুমার দেব বর্মণের কাছে লিখিত হিসাব চান পারভেজন সরকার। পরবর্তীতে উক্ত কর্মকর্তা হিসাব না দিয়ে ৭০ শতক পুকুরের ১ হাজার ১৯০ টাকার তিনটি খাজনা রশিদ সরবরাহ করেন।
এ বিষয়ে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা রতন কুমার দেব বর্মণ বলেন, বাণিজ্যিক হারে পুকুরের খাজনা বাবদ ৬৩ হাজার টাকা বকেয়া আসে। চেয়ারম্যানের অনুরোধে শ্রেণি পরিবর্তন করে কৃষি পুকুর হিসেবে ১৪২২ থেকে ১৪২৮ পর্যন্ত খাজনা ১ হাজার ১৯০ টাকা হয়। তিন বছরের অধিক খাজনা বকেয়া থাকলে তামাদি আইনে রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা করে খাজনা আদায় করতে হয়। আইনি প্রক্রিয়ায় না গিয়ে এভাবে খাজনার রসিদ কাটা কি ঠিক হয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
ময়মনসিংহে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলি, ৪ জঙ্গি আটক-কালের কণ্ঠ
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর এলাকা থেকে অস্ত্রসহ ৪ জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক মো. রোকনুজ্জামান।
জানা যায়, শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার পরে র্যাব-১৪ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জঙ্গিদের তৎপরতা ও অবস্থানের কথা জানতে পেরে খাগডহর এলাকায় অভিযান শুরু করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরাও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। পরে অভিযানের এক পর্যায়ে ৪ জঙ্গিকে আটক করে র্যাব।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
গোপন সুড়ঙ্গ! দিল্লি বিধানসভা থেকে লাল কেল্লা পর্যন্ত রাস্তা ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য-আনন্দবাজার পত্রিকা

চাঁদনী চকের লাল কেল্লা থেকে দিল্লির বিধানসভা পর্যন্ত গভীর সুড়ঙ্গ রয়েছে। যে সুড়ঙ্গের বহুদিন থেকে শোনা গেলওে এতদিন তার হদিস কিছুতেই মিলছিল না। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সন্ধান মেলেনি। বৃহষ্পতিবার খোঁজ মিলল সেই রহস্যময় সুড়ঙ্গের!দিল্লি বিধানসভা থেকে লাল কেল্লার দূরত্ব সাড়ে পাঁচ কিলোমিটারের কিছু বেশি। অনুমান করা হচ্ছে সুড়ঙ্গটি ততটাই লম্বা।বৃহষ্পতিবার দিল্লি বিধানসভার একটি প্রথম সুড়ঙ্গ-মুখমটি দেখতে পাওয়া যায়।

কৃত্রিম সবুজ ঘাসের কার্পেট কেটে উদ্ধার হয় সুড়ঙ্গের লোহার দরজা। সেটি সরাতেই দেখা মেলে গভীর ওই সুড়ঙ্গ। ইতিহাসবিদদের অনুমান প্রায় ১০০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল সুড়ঙ্গটি।সুড়ঙ্গটি নিয়ে স্বভাবতাই কৌতূহল জন্মেছে। কেন এবং কারা তৈরি করেছিল এ সুড়ঙ্গ। বিস্তর জল্পনা চলছে। তবে ইতিহাসবিদরা এর সঙ্গে ব্রিটিশ যোগ খুঁজে পেয়েছেন।বন্দি বিপ্লবীদের আদালতে হাজিরার জন্য ব্রিটিশ সেনারা এই সুড়ঙ্গ পথই নাকি ব্যবহার করতেন। যার ফলে কোনো বন্দির পালানোর সুযোগও থাকত না।
ভেস্তে গেল কমিশনের বৈঠক সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচন নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা-আজকাল
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে,রাজ্যের ৭ আসনে বাকি রয়েছে উপনির্বাচন। কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠক বাতিলের পর থেকে সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচন হওয়া নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা।রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন কমিশনের বৈঠক যেহেতু বাতিল হয়েছে সেই জন্য সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচন না হওয়ারা সম্ভাবনাই প্রবল। গতকাল নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়।সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৪