'পাঞ্জশিরে গণহত্যার ছক তালেবানের! গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে যাচ্ছে আফগানিস্তান'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ৫ সেপ্টেম্বর রোববারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ‘থানা-পুলিশ করলে খুন করে লাশ পুঁতে ফেলা হবে’-প্রথম আলো
- টিকা মজুদ করে ধনী দেশগুলো ‘নৈতিক জুলুম’ করছে- গর্ডন ব্রাউন -মানবজমিন
- ‘১৮ বছরের কম বয়সীদের আপাতত টিকা নয়’-ইত্তেফাক
- ‘আধুনিক যুদ্ধবিমান মিগ ২১ সংগ্রহ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সময়ে’ -প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
ভারতের শিরোনাম:
- মমতা মানুষের নেত্রী হতে সফল, আনন্দবাজার অনলাইনে অকপট সিপিএমের দীপ্সিতা -আনন্দবাজার পত্রিকা
- কৃষক সমস্যা না মিটলে মুশকিল পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ জয়! আলোচনা RSS-এর বৈঠকে- সংবাদ প্রতিদিন
- সিআইডি-র হাতে এক বিশেষ রেকর্ডিং, চাপ বাড়ছে শুভেন্দুর–আজকাল
শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি-
কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:
১. দৈনিক প্রথম আলোকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন, স্বাধীন দেশে রিমান্ড চলতে পারে না। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?
২. আফগানিস্তান ইস্যুতে শিগগিরই সম্মেলনে বসবে ইরান, রাশিয়া, চীন ও পাকিস্তান। এমন খবর দিয়েছে ইরানের প্রেস টিভি। প্রশ্ন হচ্ছে- এই সম্মেলনের বিশেষ গুরুত্ব কোথায়?
বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:
‘১৮ বছরের কম বয়সীদের আপাতত টিকা নয়’-ইত্তেফাক
১৮ বছরের কম বয়সীদের আপাতত টিকা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর ড. রোবেদ আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, ১৮ বছরের কম বয়সী শিক্ষার্থীদের মডার্না এবং ফাইজারে ভ্যাকসিন দেওয়া হতে পারে।
শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকা নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৭৬ লাখ ১৫ হাজার ১৫৮ জন। এদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তিন কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ১৮৯ জন ও পাসপোর্টের মাধ্যমে পাঁচ লাখ ১০ হাজার ৭০৯ জন নিবন্ধন করেছেন।
‘থানা-পুলিশ করলে খুন করে লাশ পুঁতে ফেলা হবে’-প্রথম আলো
ঢাকার নবাবগঞ্জের তরুণ সাইদুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন ইউরোপের দেশ ইতালিতে গিয়ে নিজের ভাগ্য ফেরাবেন। সেই স্বপ্নপূরণে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি নরসিংদীর নুরুল আলম সুমনের সহযোগী তুহিনুজ্জামানকে ছয় লাখ টাকা দেন তিনি।
২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে করে সাইদুরকে নেওয়া হয় থাইল্যান্ডে। পরদিন থাইল্যান্ড থেকে উড়োজাহাজে করে তাঁকে নেওয়া হয় পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগোতে। টোগোর বিমানবন্দর থেকে তাঁকে একটি হোটেলে নিয়ে যান নুরুল। পরে তাঁকে নিয়ে যান ইদুর বাসায়। সেখানকার একটি বাসায় তাঁকে আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণের জন্য টাকা চাওয়া হয়। সাইদুরের পরিবারের কাছ থেকে আরও সাত লাখ টাকা নেন তুহিনুজ্জামান। কিন্তু তাঁকে মুক্তি না দিয়ে টানা ১৫ মাস ইদুর বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন করেন নুরুল ও ইদুর লোকজন। একপর্যায়ে সেখান থেকে তিনিসহ চারজন পালান। দেশের একটি মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইএমও) সহযোগিতায় চার মাস আগে টোগো থেকে দেশে ফিরে আসেন তাঁরা। দেশে ফিরে নুরুলদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের মামলা করেন সাইদুর।
প্রাণ নিয়ে দেশে ফেরার কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন সাইদুর। গত বুধবার রাতে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ভাত খেতে অভ্যস্ত। কিন্তু টোগোতে যে বাসায় আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল, সেখানে দিনের পর দিন শিমের বিচি খেতে দেওয়া হতো। খেতে ইচ্ছা না করলেও বেঁচে থাকার জন্য খেতে হতো। কল্পনাও করিনি যে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমাকে আফ্রিকার দেশ টোগোতে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখা হবে। নির্যাতন করা হবে। নুরুল আমায় হুমকি দিয়ে বলতেন, থানা-পুলিশ করলে খুন করে লাশ পুঁতে ফেলা হবে।’
সাইদুর জানান, ইদু টোগোর মানব পাচারকারী চক্রের হোতা। তাঁর ভাড়া করা বাসায় তিনিসহ ৩০–৪০ জনকে আটকে রাখা হয়েছিল। প্রথম দিকে নুরুল ভালো ব্যবহার করছিলেন। পরে নুরুলের কাছে তিনি জানতে চান, কবে তাঁকে ইতালিতে পাঠানো হবে। জবাবে নুরুল বলেছিলেন, শিগগির পাঠানো হবে। তিন মাস পার হওয়ার পর একদিন ইদু তাঁদের কক্ষে আসেন। সেখানে আনোয়ার নামের এক বাংলাদেশি যুবককে ইদু লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলেন। এই দৃশ্য দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান।
সাইদুর বলেন, ‘আনোয়ারকে যেদিন পেটানো হলো, সেদিনই আমি বুঝেছিলাম নুরুলের ফাঁদে আটকে গেছি। তখন কীভাবে এখান থেকে বের হওয়া যায়, সেই চিন্তাই করতে থাকি। এক বছর বদ্ধ ঘরে আটকে থাকায় আমার শরীরে ঘা হয়ে যায়। আর সহ্য করতে পারছিলাম না। গত বছরের জানুয়ারিতে আমার হাতে একটি মুঠোফোন আসে। তখন একটি অনলাইন গ্রুপে আমাদের অবস্থা জানিয়ে দিই। তারপর আওয়াজ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। গত ৩০ মার্চ আমিসহ চারজন টোগোর ওই বাসা থেকে পালাতে সক্ষম হই। পরে আইএমওর সহযোগিতায় গত ২ এপ্রিল উড়োজাহাজে করে দেশে ফিরে আসি।’
গৃহযুদ্ধের মুখে পড়তে যাচ্ছে আফগানিস্তান: মার্কিন সেনা কর্মকর্তা-প্রথম আলো
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে তীব্র সংকটের মধ্যে দিন কাটছে আফগানিস্তানে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটি গৃহযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন সেনাদের সর্বোচ্চ পদধারী জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান মার্ক মিলি। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার তিনি এমন ইঙ্গিত দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
রাজধানী কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তান তালেবানের নিয়ন্ত্রণে এলেও সংঘাত থামেনি। দেশটির পানশির প্রদেশে বিরোধীদের সঙ্গে তালেবানের তীব্র লড়াই চলছে। সেখানে বহু হতাহতের দাবি করেছে তালেবান ও বিরোধীরা। পাশাপাশি ভেঙে পড়তে চলেছে আফগানিস্তানের অর্থনীতি। দেশটির ব্যাংকগুলো এখন প্রায় অর্থশূন্য। বন্ধ রয়েছে বিভিন্ন আর্থিক সহায়তাও। এর মধ্যে কাবুল, হেরাতসহ বিভিন্ন অঞ্চলে অধিকার আদায়ের দাবিতে নেমেছেন আফগান নারীরা। এসব বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে তালেবানের হামলা চালানোর ঘটনাও ঘটেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে মার্ক মিলি বলেন, ‘আমার সামরিক হিসাব–নিকাশ বলছে, পরিস্থিতি গৃহযুদ্ধের দিকে গড়াচ্ছে।’ গৃহযুদ্ধের জের ধরে আফগানিস্তানে আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, আগামী ১২, ২৪ অথবা ৩৬ মাসের মধ্যে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের পুনরুত্থান হতে পারে।
আফগানিস্তানে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তালেবান। ২০০১ সালে তালেবানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ এনে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলো। এর জের ধরে সে বছরই আফগানিস্তানের শাসনক্ষমতা তালেবানের হাতছাড়া হয়। এর দীর্ঘ ২০ বছর পর চলতি বছরের ৩১ আগস্ট দেশটি থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগেই ১৫ আগস্ট কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা আবার তালেবানের হাতে যায়।
‘আধুনিক যুদ্ধবিমান মিগ ২১ সংগ্রহ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সময়ে’-যুগান্তর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধুর ‘অপরিসীম প্রজ্ঞা ও প্রচেষ্টায়’ একটি আধুনিক ও শক্তিশালী বিমান বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধুর সময়ই তখনকার সবচেয়ে আধুনিক যুদ্ধবিমান মিগ ২১ সংগ্রহ করা হয়েছিল। এছাড়া এএন ২৬ পরিবহন বিমান, এমআই ৮ হেলিকপ্টার ও এয়ার ডিফেন্স রেডার এগুলো সবই তিনি সংগ্রহ করেন।
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘নৌ ও বিমান বাহিনীর নির্বাচনী পর্ষদ (প্রথম পর্ব) ২০২১’ এ যোগ দিয়ে সরকার প্রধান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে যতটা মনোযোগী ছিল, দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর উন্নয়নে ততটা নজর তাদের ছিল না।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে প্রতিরক্ষা নীতিমালা প্রণয়ন করে দিয়ে গেছেন, তারই আলোকে আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকার নৌ ও বিমান বাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশপাশি যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমানের ‘অপারেশনাল সক্ষমতা’ বৃদ্ধির বহুমুখী পরিকল্পনা নিয়েছে।
দালাল ধরতে দেশজুড়ে র্যাবের অভিযান-কালের কণ্ঠ
সারা দেশে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়, পাসপোর্ট অফিস ও হাসপাতালে দালালদের ধরতে একযোগে অভিযান চালাচ্ছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দেশজুড়ে একযোগে এ অভিযান শুরু করে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, সকাল থেকে সারা দেশে র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন একযোগে অভিযানে নেমেছে। পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ কার্যালয়, সরকারি হাসপাতালসহ যেখানে দালারদের দৌরাত্ম্য সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। অভিযানে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
এরই মধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও পাসপোর্ট অফিসে দালালদের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান চালিয়ে ৫১ জনকে আটক করেছে র্যাব-১০।
পৃথক অভিযানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে করে ৩০ দালাল আটকসহ আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে ১৫ দালালকে আটকের খবর পাওয়া গেছে।
পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রুনাইকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ-যুগান্তর
বহুল আলোচিত ও হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) ঘনিষ্ঠ বান্ধবীসহ দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। তারা হলেন— পিকে হালাদারের বান্ধবী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ভিপি নাহিদা রুনাই ও ওকায়ামা লিমিটেডের পরিচালক শুভ্রা রানী ঘোষ। রোববার পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার খান।
চলতি বছরের ১৬ মার্চ সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে নাহিদা রুনাই ও ২২ মার্চ বিমানবন্দর এলাকা থেকে শুভ্রা রানী ঘোষকে গ্রেফতার করে দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, পিকে হালাদারের বান্ধবী ও অন্যতম সহযোগী নাহিদা রুনাইসহ অন্যান্য আসামি পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আনান কেমিক্যাল লিমিটেড নামে একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকে ৭০ কোটি টাকার ঋণ দেয়। ঋণ উত্তোলনের পর আনান কেমিক্যালের সেই টাকা আবারও পিকে হালদার ও তার সহযোগীসহ সবাই মিলে আত্মসাৎ করেছে।
প্রসঙ্গত আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুসহ সিন্ডিকেটের সহায়তায় কয়েকটি লিজিং কোম্পানি থেকে অন্তত ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা সরিয়ে পিকে হালদার দেশ থেকে সটকে পড়েন। এ অর্থের বড় একটি অংশ কানাডা, ভারত ও সিঙ্গাপুর পাচার করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা সরানো হয়। এ ছাড়া এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং থেকে একই কায়দায় আরও প্রায় ৭৫০০ কোটি টাকা ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে পিকে হালদার ও তার সিন্ডিকেট।
সব মিলিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এফএএস ফাইন্যান্স থেকে প্রায় ২২০০ কোটি টাকা, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে ২৫০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে প্রায় ৩০০০ কোটি টাকা অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেখিয়ে আত্মসাৎ ও পাচার করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পিকে হালদারের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী হিসেবে পরিচিত নাহিদা রুনাইয়ে বাড়ি চট্টগ্রামের খুলশী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায়। রুনাইয়ের বাবার নাম মফিজুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামে একটি সরকারি দপ্তরে ‘করণিক’ পদে চাকরি করতেন।
নাহিদা রুনাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষে জীবিকার সন্ধানে ঢাকায় এসে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডে চাকরি পান।
চাকরির সুবাদে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয় পিকে হালদারের সঙ্গে। ২০০৯ সাল থেকে রিলায়েন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন পিকে হালদার। ২০১২ সালের দিকে পিকের সঙ্গে পরিচয় রুনাইয়ের। পিকে হালদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এত বেশি হয়ে যায় যে, তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এসএমই লোন শাখার অফিস এক্সিকিউটিভ থেকে প্রতিষ্ঠানপ্রধান পিকে হালদারের বান্ধবী ‘বড় আপা’ হিসেবে পরিচিতি পান তিনি।
এবার ভারতের কয়েকটি খবর তুলে ধরছি:
কৃষক সমস্যা না মিটলে মুশকিল পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ জয়! আলোচনা RSS-এর বৈঠকে-সংবাদ প্রতিদিন
আসন্ন পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে কৃষক বিক্ষোভ । আরএসএসের দু’দিনের বৈঠকের আলোচনার সারাংশ হিসাবে উঠে এসেছে এই তথ্যই। সংঘ নেতারা মনে করছেন, দ্রুত কেন্দ্রের উচিত কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা। সেটা না হলে পাঞ্জাবে ভাল ফল করা একপ্রকার অসম্ভব। শুধু তাই নয়, কৃষক অধ্যুষিত পশ্চিম উত্তরপ্রদেশেও সমস্যায় পড়তে পারে গেরুয়া শিবির। সংঘ নেতারা মনে করছেন, কৃষক সমস্যা না মেটালে পাঞ্জাবে ভাল ফল করা সম্ভব নয়। সমস্যা হতে পারে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কৃষক অধ্যুষিত এলাকা নিয়েও। উল্লেখ্য, কেন্দ্রের বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সেই নভেম্বর মাস থেকেই আন্দোলনরত পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ কয়েকটি রাজ্যের কৃষকরা। বেশ কয়েক দফায় কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার পরও তাঁদের সমস্যা মেটাতে পারেনি কেন্দ্র।
সিআইডি-র হাতে এক বিশেষ রেকর্ডিং, চাপ বাড়ছে শুভেন্দুর-আজকাল
হঠাৎ করেই চাপ বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর উপর। শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য, উঠছে প্রশ্ন। শুভেন্দুর নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু মামলায় এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তলব করেছে সিআইডি। শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং বয়ান রেকর্ড করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে সিআইডি আধিকারিকরা। আগামীকাল সকালে ভবানীভবনে সিআইডির তরফে তলব করা হয়েছে শুভেন্দুকে। শুভেন্দুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রশ্নমালাও প্রস্তুত রাখছে সিআইডির আধিকারিকরা। শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী মৃত্যুকালীন জবানবন্দি দিয়েছিলেন এক এএসাইয়ের কাছে। আর এই মামলায় ওই এএসআইয়ের বয়ান রেকর্ডটিকে হাতিয়ার করে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর সিআইডি আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, মৃত নিরাপত্তারক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর স্ত্রীয়ের অভিযোগ, ‘আমার স্বামী তো সেইসময় রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। আর কর্মরত অবস্থায় আমার স্বামীর গায়ে কীভাবে লাগল গুলি? আমি বিচার চাই। এতদিন ভয়ে আতঙ্কে মুখ বন্ধ করে রেখেছিলাম। তবে এখন পরিস্থিতি অন্যরকম। তাই সাহস করে মুখ খুলেছি। আমার স্বামীর মৃত্যুর ন্যায়বিচার চাই।
মমতা মানুষের নেত্রী হতে সফল, আনন্দবাজার অনলাইনে অকপট সিপিএমের দীপ্সিতা-সংবাদ প্রতিদিন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আপনার কেমন লাগে? এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে সিপিএম নেত্রী দীপ্সিতা ধরের সপাট জবাব, ‘‘উনি সাধারণ মানুষের কাছে নিজেকে নেত্রী হিসেবে তুলে ধরতে সফল।’’ তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে বালিতে প্রার্থী হয়েও পরাজিত দীপ্সিতা মুখ্যমন্ত্রী মমতার সম্পর্কে মন্তব্যে ততটা দরাজ নন। আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক লাইভে নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শের কথা মাথায় রেখেই উত্তর দিলেন দীপ্সিতা। বললেন, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মানুষের অনেক চাওয়া-পাওয়া ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেই আশা পূরণ করতে পারেননি তিনি।’’
পাঞ্জশিরে গণহত্যার ছক তালিবানের! রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ প্রাক্তন আফগান ভাইস প্রেসিডেন্ট-সংবাদ প্রতিদিন
আফগানিস্তানের (Afghanistan) ৩৩টি প্রদেশেরই দখল নিয়েছে তালিবান (Taliban)। কিন্তু পঞ্জশির এখনও অধরা জেহাদিদের। হিন্দুকুশ পর্বতে ঘেরা ওই এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন কাবুল ও দেশের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা বহু মানুষ। এদিকে পঞ্জশিরে থাকা নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সঙ্গে লাগাতার লড়াই চলছে তালিব যোদ্ধাদের। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী বাহিনীর অন্যতম নেতা ও দেশের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ (Amrullah Saleh) অভিযোগ জানালেন, পঞ্জশিরে গণহত্যার ছক কষছে তালিবান। সাহায্য়ের জন্য তিনি এবার চিঠি লিখলেন রাষ্ট্রসংঘকে (UN)।
সেই চিঠিতে সালেহ জানিয়েছেন, পঞ্জশিরে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত আড়াই লক্ষ মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বহু মহিলা ও বয়স্ক মানুষ। এমনকী শিশুও। এই পরিস্থিতিতে যেভাবে তালিবান পঞ্জশির ঘিরে রেখেছে তাতে বিপদ বাড়ছে। তালিবান এখানে গণহত্যার পরিকল্পনা করেছে। তিনি আরজি জানিয়ে লেখেন, ”যদি আন্তর্জাতিক মহল এই বিষয়ে নজর না দেয়, তাহলে মানবতাকে আরও বড় বিপদে পড়তে হবে।” তাঁর আরও দাবি, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ, কোভিড অতিমারী ও অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছেই। এর মধ্যে তালিবানের সাম্প্রতিক কাণ্ডে ভয়ংকর সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৫