অক্টোবর ১৫, ২০২১ ১৬:০৫ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৫ অক্টোবর শুক্রবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:

  • হাজীগঞ্জে ১৪৪ ধারা চলছে, পুলিশ–বিজিবির বাড়তি নিরাপত্তা-প্রথম আলো
  • ভোর থেকে মোবাইল ফোনে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা বন্ধমানবজমিন
  • মণ্ডপে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা সরকারের চক্রান্ত: ফখরুল-ইত্তেফাক
  • নিত্যপণ্যে ক্রেতার হাঁসফাঁস দাম বাড়তে বাড়তে এখন লাগামহীন-যুগান্তর
  • মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে অর্ধশত নারীকে বিক্রি-কালের কণ্ঠ

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • কাশ্মীরে রাতভর সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, শহিদ এক সেনাকর্তা এবং এক জওয়ান-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • কৃষক আন্দোলনের মূল মঞ্চের পাশে হাত-পা কাটা ঝুলন্ত দেহ! তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর-সংবাদ প্রতিদিন
  • উপরাষ্ট্রপতির অরুণাচল সফর নিয়ে চীনের আপত্তি, পাত্তা দিল না ভারত-আজকাল

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম-পূজামণ্ডপে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে আজ শুক্রবারও ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। পুলিশ সারা রাত বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালালেও নতুন করে কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, হাজীগঞ্জসহ চাঁদপুরের পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। তারপরও হাজীগঞ্জের প্রতিটি পূজামণ্ডপ ও হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়তি পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা আছে। কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।

৬৪ জেলার এসপিকে বার্তা-নিরাপত্তা জোরদার,২২ জেলায় বিজিবি মোতায়েন-মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, কুমিল্লার ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সংঘাতে নিহত হয়েছেন চারজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ২২ জেলায় বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। সেইসঙ্গে র‌্যাব ও পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে সক্রিয় রয়েছেন গোয়েন্দা সদস্যরা। একইভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিহত ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সাইবার টহল দেয়া হচ্ছে।

দেশের ৬৪ জেলার হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে টহল বাড়ানোর পাশাপাশি পূজামণ্ডপগুলোতে কয়েকস্তরে গড়ে তোলা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা বলয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারকে বিভিন্ন ফরম্যাটে বার্তা পাঠানো হয়েছে। হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সন্দেহভাজনদের দেহ তল্লাশি ছাড়াও মণ্ডপে সনাতন ধর্মের লোকজন ছাড়া অন্যান্য দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। পাশাপাশি সাইবার দুনিয়াতে নজরদারি রেখেছে র‌্যাব  ও পুলিশের সাইবার পেট্রোলিং শাখা। কুমিল্লার ইস্যুকে কেন্দ্র করে  কোনো গোষ্ঠী যাতে উগ্র প্রচার প্রপাগান্ডা, গুজব ও নাশকতার ছক তৈরি করতে না পারে সেইদিকে নজরদারি গড়ে তোলা হয়েছে।  এ উপলক্ষে ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার, ব্লগ ও ওয়েব সাইটগুলো মনিটরিং করা হচ্ছে।

মণ্ডপে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা সরকারের চক্রান্ত: ফখরুল-ইত্তেফাক

দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লা, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় সরকারকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দুর্গাপূজায় কতগুলো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, বিশেষ করে কুমিল্লায় ও চাঁদপুরে। চাঁদপুরে পুলিশ নির্বিচারে গুলি করেছে। গুলিতে মানুষ নিহত হয়েছেন। এই যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করবার যে চক্রান্ত -এটা এই সরকারের চক্রান্ত। তারা এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে চায়, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কোরআন শরীফ নিয়ে রেখেছে পূজামণ্ডপে। কে করেছে? যারা করেছে তারা এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্যই করেছে। অন্যদিকে আবার পুলিশ গুলি চালায় নির্বিচারে, সেটাও একই কারণে তারা করেছে।’ তিনি দাবি করেন, দেশের নানা সমস্যা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার তার সংস্থা দিয়ে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে অর্ধশত নারীকে বিক্রি, গ্রেপ্তার ৮-কালের কণ্ঠ

মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দ্রী গ্রামে সাইফুল ইসলাম টুটুলের ছিল মুদি দোকান। তাঁর লেখাপড়ার গণ্ডি উচ্চ মাধ্যমিক। একসময় বিদেশে লোক পাঠানো দালালদের সঙ্গে গড়ে ওঠে সখ্য। ওই দালালদের মাধ্যমে গ্রামের কয়েকজনকে বিদেশেও পাঠান টুটুল। এরপর টাকার লোভে পড়ে মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। নিজেই হয়ে ওঠেন পাচারের নিয়ন্ত্রক। রাজধানীর বাড্ডায় খুলে বসেন তিনটি অবৈধ কম্পানি (ওভারসিজ এজেন্সি)। এই প্রতিষ্ঠানের আড়ালে গেল সাত বছরে অর্ধশত নারীকে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে শেষে দালালদের কাছে বেচে দেন। এ ছাড়া শতাধিক ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণাও করেছেন টুটুল।

তাঁর প্রধান সহযোগী তৈয়ব আলী ছিলেন চা দোকানি। টুটুলের সঙ্গে একজোট হয়ে তিনি নিজেকে বিমান পরিবহন কম্পানির ব্যবস্থাপক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার পথে হাঁটেন। গেল মঙ্গলবার রাত থেকে গতকাল বুধবার সকাল পর্যন্ত বাড্ডায় ‘টুটুল ওভারসিজ’, ‘লিমন ওভারসিজ’ ও ‘লয়াল ওভারসিজ’ নামের তিনটি অনুমোদনহীন কম্পানিতে অভিযান চালিয়ে আরো ছয় সহযোগীসহ টুটুল ও তৈয়বকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। অন্যরা হলেন শাহ্ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন লিমন, মারুফ হাসান, জাহাঙ্গীর আলম, লালটু ইসলাম, আলামিন হোসাইন ও আব্দুল্লাহ আল মামুন। অভিযানের সময় দুই নারীসহ চার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ১০টি পাসপোর্ট, সাতটি ফাইল, চারটি সিল, ১৭টি মোবাইল ফোন, পাঁচটি রেজিস্টার, ব্যাংকের চেক বই, দুটি কম্পিউটার, তিনটি লিফলেট এবং ১০ হাজার টাকা। র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, মানবপাচার ও প্রতারণার কারবার করে টুটুল ও তাঁর সহযোগীরা কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছেন।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন র‌্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক।

বিশেষ সাক্ষাৎকার এই সার্চ কমিটি আসলে কার কমিটি হবে-প্রথম আলো

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। আইন না হওয়ায় এবারও কমিশন গঠন করা হবে সার্চ কমিটির মাধ্যমে। এ পদ্ধতির দুর্বলতা, কমিশন গঠনে আইনের প্রয়োজনীয়তা, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা, সরকারের ভূমিকাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন হওয়ার কথা থাকলেও ৫০ বছরেও তা হয়নি। সম্প্রতি সুজন একটি খসড়া উপস্থাপন করেছে। আইন করার কথা সরকারের। আপনাদের কেন এ রকম একটি খসড়া উপস্থাপন করতে হলো?

বদিউল আলম মজুমদার: দুর্ভাগ্যবশত গত ৫০ বছরে কোনো সরকারই এই আইন করেনি। সাংবিধানিক নির্দেশনা উপেক্ষা করে গেছে। সুজন নাগরিকদের সংগঠন; নাগরিকদের স্বার্থে, নাগরিকদের কল্যাণে কাজ করে। আমরা মনে করি, এটার বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হওয়া দরকার।

কেউ কেউ বলছে সময় নেই। তারা আলাপ–আলোচনা করতেও অনাগ্রহী। এ খসড়া করার মাধ্যমে আমরা দেখাতে চেয়েছি, এ রকম একটা আইন করা খুব একটা সময়সাপেক্ষ বা জটিল বিষয় নয়। বস্তুত এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একটি খসড়া করে রেখে গিয়েছিল। আমরা ওই খসড়া কাজে লাগিয়ে, আশপাশের দেশগুলোর আইনকানুন দেখে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে খসড়াটি করেছি। এটা নিয়ে আলাপ–আলোচনা শুরু হওয়া দরকার। কারণ, শুধু আইন করলেই হবে না। আইনে যাতে জনস্বার্থ সংরক্ষিত হয়, সেটা দেখতে হবে।

 আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইনমন্ত্রী বলেছেন, কোভিড পরিস্থিতি ও সময়স্বল্পতার কারণে আইন হচ্ছে না। এবারও সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন কমিশন করা হবে। তাঁর মতে, এ ব্যবস্থা আইন না হলেও আইনের কাছাকাছি।

বদিউল আলম মজুমদার: আমাকে একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বললেন, আইনমন্ত্রী যে কথাটি বলেছেন তার মানেটা কী? হয় আইন, না হয় আইন নয়। কাছাকাছি বলে তো কিছু নেই। আমারও প্রশ্ন, আইনের কাছাকাছি মানেটা কী? সংবিধানে আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা হলো ‘আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে’ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আইন করা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক। এ দায় কারও ওপর এ সরকার চাপাতে পারবে না। কারণ, তারা টানা ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। সময় নেই, এ যুক্তি খাটে না। এখনো যে সময় আছে, যদি করতে চান তাহলে করতে পারেন। সরকার বলে আসছে, সবকিছু সংবিধানসম্মতভাবে হবে। সংবিধান থেকে একচুলও নড়বেন না। এখানে সংবিধান কোথায় গেল? সংবিধানটা কি এমন জিনিস যে টেলিফোন গাইডের মতো, আমি যখন ইচ্ছা ব্যবহার করব, যখন ইচ্ছা ছুড়ে ফেলব?

নিত্যপণ্যে ক্রেতার হাঁসফাঁস-দাম বাড়তে বাড়তে এখন লাগামহীন। সরবরাহ ও মজুত পর্যাপ্ত থাকার পরও প্রতিবছরই ভোক্তার পকেট কেটে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে যাচ্ছে অসাধুরা। যুগান্তরের প্রতিবেন এটি। গত কয়েক বছর ধরেই নিত্যপণ্যের বাজারে থেমে থেমে একরকম অস্থিরতা থাকছেই। একটু একটু করে প্রতি বছরেই বাড়ানো হয়েছে দাম।

বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়ে অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা এই মুহূর্তে মধ্য ও নিম্নবিত্তের মানুষের জন্য যেন লাগামহীন- এমন মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।তাদের মতে, কখনো আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি, আবার কখনো সরবরাহ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে প্রতিবছরই এসব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে মিল ও মোকাম মালিক এবং আমদানিকারকরা।এর নেপথ্যে সক্রিয় থাকছে অসাধু ব্যবসায়ীদের সেই প্রভাবশালী সিন্ডিকেট সদস্যরা। যারা সবসময়েই থাকেন অধরা। ফলে প্রতিবছরই তারা ভোক্তার পকেট কেটে নিয়ে যাচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে এসে বাড়তি দামে রীতিমতো হাঁসফাঁস করতে হয় ক্রেতাদের। গত পাঁচ বছরের (২০১৬ অক্টোবর-২০২১ অক্টোবর) পণ্যমূল্যের দাম পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রাজধানীর খুচরা বাজারে পঁাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ২৩৫ টাকা। কেজিতে গরুর মাংস ও রুই মাছ যথাক্রমে ১৫০ ও ১৩০ টাকা বেড়েছে। কেজিপ্রতি চালে ১৭-২০ টাকা, ডাল ৩০ টাকা, চিনি ২০ টাকা ও দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে।

পাশাপাশি এই পাঁচ বছরে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৬৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিমের (১২ পিস) দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। তাছাড়া সবজির দাম গত পাঁচ বছরে অনেক বেড়েছে।

সব মিলে ক্রেতা সাধারণের এসব পণ্য কিনতে সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে সবচাইতে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে নিম্ন আয় ও খেটে খাওয়া মানুষ।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

কৃষক আন্দোলনের মূল মঞ্চের পাশে হাত-পা কাটা ঝুলন্ত দেহ! তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর-সংবাদ প্রতিদিন/আনন্দবাজার

কৃষক আন্দোলনের মঞ্চের কাছে হত্যা করা হল এক যুবককে। দিল্লির সিংঘু সীমানায় শুক্রবার সকালে পুলিশ ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। মৃতদেহটির একটি হাত কবজি থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল। গোড়ালি থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে পায়ের একটি পাতাও।মৃতদেহটি যেখানে পাওয়া গিয়েছে, তার অদূরে কৃষক আন্দোলনের মঞ্চ। মঞ্চের কাছে রাখা পুলিশের ব্যারিকেডকে উল্টো করে তার গায়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল দেহটি। শুক্রবার ওই দেহ ঘিরে নতুন করে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে কৃষকদের মধ্যে।পুলিশ এই ঘটনায় অপরিচিত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটির তদন্তও শুরু করেছে। তবে কে বা কারা এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে, সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি।

বেশ কয়েকটি ভাইরাল ভিডিয়ো শুক্রবার সকালে সামনে এসেছে। তার একটিতে দেখা যাচ্ছে পঞ্জাবি নিহাং সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ এক যুবকের উপর অত্যাচার করছেন। মাটিতে ফেলে মারধর করা হচ্ছে ওই.যুবককে। তবে এই ভিডিয়োর যুবকই মৃত ব্যক্তি কি না, সে ব্যাপারে তদন্তকারীরা নিশ্চিত নন।

কাশ্মীরে রাতভর সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, শহিদ এক সেনাকর্তা এবং এক জওয়ান-আনন্দবাজার পত্রিকা

জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হলেন এক সেনা কর্তা এবং এক সেনা জওয়ান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুঞ্চ জেলায় সেনা-জঙ্গি মুখোমুখি গুলির লড়াই চলাকালীন তাঁরা নিহত হন। সেনবাহিনীর তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

গত চারদিন ধরেই জঙ্গিদের খোঁজে সেনা অভিযান চালানো হচ্ছিল পুঞ্চে। বৃহস্পতিবার জঙ্গিদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ বাধে পুঞ্চ-রাজৌরির জঙ্গলে। সেনাবাহিনীর তরফে জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পুঞ্চের মেনধার মহকুমার নার খাস জঙ্গলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দু’পক্ষের গুলির লড়াই হয়। জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান চালানোর সময়েই সেনাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুলির লড়াইয়ে গুরুতর জখম হন এক সেনা কর্তা এবং এক জওয়ান। পরে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই দু’জনের মৃত্যু হয়।

গত ১০ অক্টোবর পুঞ্চ জেলায় জঙ্গিদের গুলিতে এক আধিকারিক-সহ পাঁচ জওয়ান শহিদ হন। তার পর থেকে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলছে। জম্মু-পুঞ্চ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, ওই একই জঙ্গিদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার গুলির লড়াই হয়েছে।

উপরাষ্ট্রপতির অরুণাচল সফর নিয়ে চীনের আপত্তি, পাত্তা দিল না ভারত-আজকাল

মাসের পর মাস দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও কাটল না জট। চীনের সঙ্গে চাপানউতোর সেই রয়েই গেল। কখনও লাদাখ, কখনও অরুণাচল প্রদেশে এসে পড়ল আঁচ। এবার‌ অরুণাচল প্রদেশে উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুর সফর নিয়ে আপত্তি জানাল চীন। কানে তুলল না ভারত। বরং বিদেশ মন্ত্রক জানিয়ে দিল, অরুণাচলে নিয়ন্ত্রণ রেখায় উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগে নজর দিক চীন। 

গত সপ্তাহে বেঙ্কাইয়া নাইডু দু’দিনের জন্য অরুণাচল প্রদেশে গিয়েছিলেন। শনিবার সে রাজ্যের বিধানসভার অধিবেশনেও ভাষণ দেন তিনি। এর পরেই আপত্তি তোলে চীন। চীনা বিদেশমন্ত্রকের ঝাও লিজিয়ন বলেন, ‘চীন–ভারত সীমান্তের প্রশ্নে চীনের অবস্থান স্পষ্ট। চীন সরকার কোনওদিনই তথাকথিত অরুণাচল প্রদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। তাই এখানে ভারতের কোনও নেতার সফরের তীব্র বিরোধী চীন।’

চীনের এই দাবি নস্যাৎ করেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি স্পষ্ট জানিয়েছেন, অরুণাচল প্রদেশ অখণ্ড ভারতের অংশ। তাঁর কথায়, ‘অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ প্রশ্নে কোনও আপোস করা হবে না। এ ক্ষেত্রে চীনের আপত্তি আমরা খারিজ করছি।’ তিনি এও বলে দেন, ভারতীয় নেতারা যেমন বিভিন্ন রাজ্যে সফর করেন, তেমন ভাবেই অরুণাচলেও করবেন। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতেও কোনও আপত্তি গ্রাহ্য করা হবে না।

সম্প্রতি অরুণাচলে এলএসি পেরিয়ে চীনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকায় মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে তারা পিছু হটে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৫

ট্যাগ