কারবালায় ইমাম ইমাম হুসাইনের শাহাদাতের ঘটনা কোনো আকস্মিক ঘটনা ছিল না। ইমাম হুসাইন (আ) জেনেশুনেই ইয়াজিদের নেতৃত্ব মেনে নিতে অস্বীকার করেছিলেন।
গত কয়েক পর্বে আমরা কারবালা বিপ্লবের ঐতিহাসিক নানা পটভূমি ও ঘটনা-প্রবাহের গতি-প্রকৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমরা দেখেছি যে মক্কা ও মদিনার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও সাহাবিদের অনেকেই জানতেন যে ইমাম হুসাইন (আ) যদি কুফার দিকে যান তাহলে তিনি সেখানে শহীদ হবেন।
একটি ইসলামী সমাজ ততক্ষণ ইসলামের ওপর অবিচল থাকতে পারে যতক্ষণ সে সমাজে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজে নিষেধের সংস্কৃতি চালু থাকবে।
কারবালায় মহানবীর (সা) একদল বিভ্রান্ত উম্মতের হাতে নবীজির প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (আ) ও নবী পরিবারের সদস্যসহ তাঁর অনুগত প্রায় ৭২ জনের বীরত্বপূর্ণ ও করুণ শাহাদাত চিন্তাশীল মহলে সব যুগেই সৃষ্টি করেছে নানা প্রশ্ন ও মহাবিস্ময়।
মহররম অনেকেরই মনে তথা অনুসন্ধিৎসু সত্য-প্রেমিকদের মনে এ প্রশ্ন জাগায় যে এমন একটি নৃশংস হত্যাযজ্ঞ কিভাবে নবী-পরিবারের ওপর চালানো সম্ভব হয়েছিল মহানবীর ওফাতের পর প্রায় ৫০ বছরের মধ্যেই!
ফিরে এলো আবারও সেই মহররম মহিয়ান! যে মহররম জাগায় পবিত্র রক্তের মহা-উত্থান! ত্রাসে কাঁপে জালিমের খড়গ-কৃপাণ ভীরু কুলাঙ্গারের দল ইয়াজিদ, জিয়াদ, ওমর সাদ, সীমার, সিনান!
হযরত ইমাম মুসা কাযিম (আ.) ছিলেন ইসলামের অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ সময়ে প্রকৃত ইসলামের কাণ্ডারি ও আদর্শ মহামানব। মহানবীর আহলে বাইতের এই সদস্য ইমাম মুসা কাযিম (আ.)'র পবিত্র জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে মহানবী (সা) ও তাঁর পবিত্র আহলে বাইত বিশেষ করে ইমাম মুসা কাযিমের শানে--
৭ ই জিলহজ্ব ইসলামের ইতিহাসের এক শোকাবহ দিন। কারণ, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইতে জন্ম-নেয়া পঞ্চম ইমাম তথা হযরত ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আ.) ১১৪ হিজরি সনের ৫৭ বছর বয়সে শাহাদাত বরণ করেন। এই মহান ইমামের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি গভীর শোক ও সমবেদনা।
মহান আল্লাহ'র আসমায়ুল হুসনার তালিকাভুক্ত আরেকটি নাম রিয্ওয়ান বা রিদ্ওয়ান। رِضْوَان –এর অর্থ সন্তুষ্ট। মহান আল্লাহ তাঁর সৃষ্টির সব বিষয়ে সন্তুষ্ট ও অস্তিত্বের কোনো অংশই আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে না।
মহান আল্লাহ'র আসমায়ুল হুসনার তালিকাভুক্ত আরেকটি নাম সাবুর। সাবুর হলেন তিনি যিনি নানা কষ্ট ও সংকট বা বিপদ-আপদ ধৈর্য ধরে সহ্য করতে পারেন বা এক কথায় যিনি ধৈর্যশীল।