-
বিশ্বের সবচেয়ে দূরপাল্লার আত্মঘাতী ড্রোন প্রদর্শন করছে ইরান
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ ১৭:১০ইরানের সশস্ত্র বাহিনী আজ (শুক্রবার) তেহরানে বিশ্বের সবচেয়ে দূরপাল্লার আত্মঘাতী (কামিকাজে) ড্রোন প্রদর্শন করেছে। এই ড্রোনের নাম হচ্ছে 'অরাশ'।
-
ইরানে হামলায় সাদ্দামকে গোটা বিশ্ব সহযোগিতা করেছিল: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩ ১৫:৪৯ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, গোটা বিশ্ব সাদ্দামকে ইরান আক্রমণ করতে সাহায্য করেছিল এবং সবাই ছিল আক্রমণকারী। এ ধরণেরই এক যুদ্ধে, এ ধরণেরই এক সংঘাতে বিজয়ের মঞ্চে আরোহন করে সবার সামনে নিজেদের উচ্চ অবস্থান তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছিল ইরানি জাতি।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৪৪): যুদ্ধের ময়দানে ইরানি যোদ্ধাদের আল্লাহর স্মরণ
নভেম্বর ০৫, ২০২২ ১৭:০৯আগ্রাসী সাদ্দাম বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানি যোদ্ধারা আল্লাহকে স্মরণ করতেন এবং অবসরে জিকির-আসগারে মশগুল থাকতেন। তাদের কাছে আল্লাহর স্মরণ ও তাঁকে রাজি-খুশি রাখা ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে তারা যুদ্ধে জয়-পরাজয়কে অতোটা গুরুত্ব দিতেন না। এই মানসিক শক্তি নিয়েই তারা অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে ন্যুনতম অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করার সাহস পেতেন।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৪৩): ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানের বিজয়ে ঈমানি শক্তির ভূমিকা
নভেম্বর ০৫, ২০২২ ১৬:৫৯ইরাকের আগ্রাসী সাদ্দাম সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে শহীদ হাসান বাকেরি সর্বোচ্চ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে ইরানি যোদ্ধাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিজয় উপহার দিয়েছিলেন। তিনি ইসলামি চিন্তাধারার আলোকে ‘আল্লাহর প্রতি দৃঢ় ঈমান’কে যেকোনো যুদ্ধ জয়ের প্রধান হাতিয়ার মনে করতেন। তিনি নিজে মহান সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা আল্লাহ তায়ালার ওপর পরিপূর্ণ নির্ভরশীল হতে পেরেছিলেন।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৪২): তরুণ রণকৌশলবিদ ও কমান্ডার শহীদ হাসান বাকেরি (২)
নভেম্বর ০১, ২০২২ ২০:৪৭ইরাকের আগ্রাসী সাদ্দাম সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় কেউ যদি ইরানি শিবিরগুলোতে যেতেন তাহলে তিনি এক অদ্ভুত বিষয় দেখতে পেতেন। তিনি দেখতেন, নিরীহ প্রকৃতির ঈমানদার কিছু মানুষ নানা কাজে ব্যস্ত রয়েছে এবং তাদের মধ্যে ধর্মকর্ম পালন করার প্রতি আগ্রহ প্রবল। একেবারেই মনে হয় না যে, এই মানুষগুলো সাদ্দামের মতো একজন রুক্ষ শাসকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এখানে সমবেত হয়েছেন। ইরানের শিবিরগুলোকে সে সময় মানুষ তৈরির কারখানা বলা হতো।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৪১): তরুণ রণকৌশলবিদ ও কমান্ডার শহীদ হাসান বাকেরি (১)
নভেম্বর ০১, ২০২২ ২০:৩৫গত কয়েক আসরে আমরা ইরানের সেই কমান্ডারদের নিয়ে আলোচনা করেছি যারা ইসলামি বিপ্লব ও তাদের মাতৃভূমি ইরানকে রক্ষা করার জন্য প্রাণপণ যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করেছিলেন। এসব কমান্ডার ছিলেন ঈমান, আত্মত্যাগ ও প্রতিরোধ সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক। পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সময় কেউ ইরানের সেনা সমাবেশে প্রবেশ করলে বুঝতেই পারত না সেখানে কে কমান্ডার আর কে সাধারণ সৈনিক।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৪০): কয়েকজন ঈমানদার ইরানি কমান্ডার
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৮:৫০আগ্রাসী ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ইরানি সৈন্য ও কমান্ডাররা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ এবং তাকে সন্তুষ্ট করার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন বলেই বিজয়ী হয়েছিলেন। এ সম্পর্কে পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধে শহীদ ইরানি কমান্ডার হাজি ইব্রাহিম হেম্মাত তার যোদ্ধাদের বলেন: “আপনারা যখনই কোনো কাজ করতে যাবেন তা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করুন। এটা করতে পারলেই আমাদের বিজয় নিশ্চিত।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩৯): যুদ্ধক্ষেত্রে ইরানি যোদ্ধাদের আল্লাহর স্মরণ
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৮:৪২গত তিন আসরে আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে তিনজন শহীদ ইরানি কমান্ডারের খোদাভীরুতা ও পরহেজগারি নিয়ে আলোচনা করেছি। আগ্রাসী ইরাকি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানি শিবিরগুলোতে যে আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিরাজ করত তার উদারহণ দিতে গিয়ে আমরা শহীদ আব্বাস বাবায়ি, শহীদ মোহাম্মাদ বোরুজেরদি ওরফে মাসিহ কুর্দিস্তান এবং শহীদ সাইয়্যেদ হোসেইন আলামুল হুদার জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেছি।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩৮): শহীদ কমান্ডার হোসেইন আলামুল হুদা
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৮:৩৩১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর নেতৃত্বে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হওয়া পর ইরানি জনগণের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি শক্তিশালী হয় এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নীতি-নৈতিকতার প্রসার ঘটে। তবে যুদ্ধের ময়দানে ইরানি যোদ্ধাদের মধ্যে ধর্মীয় ও মানবিক মূল্যবোধের যে অভাবনীয় বিকাশ দেখা গিয়েছিল সেটা শুধুমাত্র বিপ্লব পরবর্তী ওই পরিবেশের কারণে হয়নি।
-
ইরান-ইরাক যুদ্ধের ইতিহাস (১৩৭): ইরানি কমান্ডার শহীদ মোহাম্মাদ বোরুজেরদি
নভেম্বর ০১, ২০২২ ১৫:২৬ইরানি জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে কথা বলছিলাম আমরা। ইরানের তরুণ ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস অত্যন্ত গভীর ছিল বলেই তারা স্বৈরাচারী শাহ সরকার উৎখাতের আন্দোলনে একজন আলেমকে নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর মতো একজন আধ্যাত্মিক নেতার নেতৃত্বে ইরানি জনগণ এদেশের মাটি থেকে আড়াই হাজার বছরের রাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা উৎখাত করেছিল।