Pars Today
ইহুদিবাদী ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরি করেছে উপবনিবেশবাদীরা। এ কথা বলেছেন ইরানের ইন্সটিটিউট ফর হিউম্যানিটিস অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মুসা নাজাফি।
নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে ফরাসি সেনাঘাঁটির বাইরে দেশটির হাজার হাজার মুসলিম নাগরিক এসব উপনিবেশবাদী সেনাকে বিদায় করার আবেদন জানিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। গতকাল (শুক্রবার) জুমার নামাজের পর তারা এ সম্মিলিতভাবে এ দোয়া করেন।
ফ্রান্স সরকারের নির্দেশ মেনে হিজাব খুলে ফেলতে অস্বীকার করায় দেশটির সরকারি স্কুলগুলো থেকে বহু মুসলিম ছাত্রীকে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
নাইজারের সেনাশাসিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী আলী মোহাম্মদ লামিনে জেইন বলেছেন, তার দেশ থেকে ফ্রান্সের সেনা দ্রুত প্রত্যাহারের ব্যাপারে যোগাযোগ চলছে।
ফ্রান্সের সেনা এবং কূটনীতিক প্রত্যাহারের দাবিতে নাইজারের রাজধানী নিয়ামির ফরাসি সেনাঘাটির কাছে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
নাইজারে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের কূটনৈতিক মর্যাদা বাতিল করতে এবং তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে নাইজারের সামরিক সরকার।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে ফ্রান্সের সেনা প্রত্যাহার করার জন্য দেশটির শত শত নারী বিক্ষোভ করেছেন। গতকাল (বুধবার) সকালে এসব নারী নাইজারের রাজধানী নিয়ামির ফরাসি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা ঝাড়ু মিছিল করেন এবং ফ্রান্সের আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গ্যাবনে সেনাবাহিনীর হাতে প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গোর নেতৃত্বাধীন ফ্রান্সপন্থি সরকারের পতন হওয়ায় জনগণ রাস্তায় নেমে আনন্দ উদযাপন করেছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেছেন, সামরিক অভ্যুত্থান-কবলিত নাইজারের সামরিক সরকার দেশটি ত্যাগ করতে চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দিলেও দেশটিতে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত সেদেশ ত্যাগ করবেন না। তিনি গতকাল (সোমবার) রাজধানী প্যারিসে কূটনীতিকদের এক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে একথা ঘোষণা করেন।
নাইজারের রাজধানী নিয়ামিতে হাজার হাজার মানুষ ফরাসি সেনাদের আফ্রিকার দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। একই সঙ্গে তারা হুমকি দিয়ে বলেছেন, যদি ফরাসি সেনারা এক সপ্তাহের মধ্যে নাইজার ছেড়ে চলে না যায় তাহলে তাদের ঘাঁটিতে হামলা চালানো হবে।