২০২৫ সাল নাগাদ আসবে 'মেইড ইন বাংলাদেশ' লেখা মোটরগাড়ি
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i101368
বাংলাদেশে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং জনসাধারণের চলাচল বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ব্যাপক মোটরগাড়ির চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর এ চাহিদা বাড়ছে। সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের মধ্যবিত্তদের গাড়ি ক্রয় ক্ষমতা এবং  চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালের এক হিসাবে বাংলাদেশে অন্তত এক কোটি বিশ লাখ মধ্যবিত্ত ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয়ের সামর্থ রাখে।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
ডিসেম্বর ১৭, ২০২১ ১৮:২৪ Asia/Dhaka

বাংলাদেশে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি এবং জনসাধারণের চলাচল বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ব্যাপক মোটরগাড়ির চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিবছর এ চাহিদা বাড়ছে। সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের মধ্যবিত্তদের গাড়ি ক্রয় ক্ষমতা এবং  চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২১ সালের এক হিসাবে বাংলাদেশে অন্তত এক কোটি বিশ লাখ মধ্যবিত্ত ব্যক্তিগত গাড়ি ক্রয়ের সামর্থ রাখে।

দেশীয় বাজারের চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে বাংলাদেশে মোটরগাড়ি নির্মাণের কারখানা স্থাপন এবং এ খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে এরইমধ্যে বিশ বছরের জন্য ট্যাক্স রেয়াত ঘোষণা করেছে সরকার।

এ অবস্থায় দেশীয় বাজারের চাহিদা পুরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কারখানা স্থাপন করে গাড়ি নির্মাণ করার আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে এসেছে জাপান, চীন, কোরিয়া এবং মালয়েশিয়ার বড় বড় অটোমবিল কোম্পানি। এর ফলে দেশে উৎপাদিত গাড়ির মূল্য কমে আসবে। তাছাড়া, বাংলাদেশে নির্মিত গাড়ি দেশের বাইরে রপ্তানি করার লাভজনক সম্ভাবনাও দেখছে গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলো।

ইতোমধ্যে জাপানি অটোমবিল শিল্পের কিংবদন্তী মিত্সুবিশি মোটরস তার ব্র্যান্ডেড গাড়ি তৈরির জন্য বাংলাদেশে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটি চট্টগ্রামে মিরসরাই ইকোনমিক জোনে প্রাথমিকভাবে গাড়ি সংযোজন করার জন্য অর্থ বিনিয়োগ করবে এবং ধীরে ধীরে সংযোজন কারখানাটিকে পূর্ণ গাড়ি উৎপাদন কারখানায় উন্নীত করবে।

বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহিদুল হক ভুঁইয়া এ প্রসঙ্গে এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ “মেইড ইন বাংলাদেশ“ কার উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে মিত্সুবিশি মোটরস বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পিআইএল) সাথে কাজ শুরু করেছে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো এবং বৃহত্তম মোটরগাড়ি সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে প্রাগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (পিআইএল)। ১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৫০,০০০ এরও বেশি যানবাহন সংযোজন করেছে এ কারখানাটি।

২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, জাপানি গাড়ি প্রস্তুতকারক মিত্সুবিশি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রগতির সহযোগিতায় স্থানীয়ভাবে মিত্সুবিশি পাজেরো স্পোর্টসকে সংযোজন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে প্রস্তাব দেয়। প্রায় ৫০০ ইউনিটের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা নিয়ে ২০১১ সালের আগস্টে এর কার্যক্রম শুরু হয়।

২০১৫ সালের মার্চে, পিএইচপি গ্রুপ বাংলাদেশে মালয়েশিয়ান প্রোটন কার সংযোজন করার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। ২০১৭ সালের মে মাসে, পিএইচপি অটোমোবিল বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত প্রোটন প্রাইভ চালু করে। কোম্পানিটি স্থানীয় বাজারে প্রভাব বিস্তারকারী আমদানি করা গাড়িগুলির বিকল্প হিসাবে প্রাইভকে বাজারে নিয়ে যেতে চায়। ১২০০ ইউনিটের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা লক্ষ্যমাত্রাকে বাস্তবায়ন করার জন্য চট্টগ্রামে নতুন ৪০০ কোটি টাকায় একটি কারখানা স্থাপন করা হচ্ছে।

ওদিকে, চীনা গাড়ি প্রস্তুতকারক ফটন মোটর, আগামী বছরের মধ্যে এসিআই মোটরের সাথে যৌথ উদ্যোগে বাণিজ্যিক যানবাহন সংযোজন করার জন্য বাংলাদেশে একটি কারখানা স্থাপন করার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া, কোরিয়ান গাড়ি নির্মাতা হুন্ডাই গাজীপুরের হাইটেক পার্কে মোটরগাড়ি নির্মাণ কারখানা স্থাপনের জন্য সরকারের সাথে চুক্তি সই করেছে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।