বাংলাদেশের ২০ লাখ মানুষ ক্যান্সারে ভুগছে, চিকিৎসাব্যবস্থা অপর্যাপ্ত
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i103364-বাংলাদেশের_২০_লাখ_মানুষ_ক্যান্সারে_ভুগছে_চিকিৎসাব্যবস্থা_অপর্যাপ্ত
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে দ্য গ্লোবাল ক্যান্সার অবজারভেটরি ২০২০ সালে ক্যান্সার বিষয়ে অনুমাননির্ভর এক তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে, বাংলাদেশে প্রতিবছর দেড় লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আর ক্যান্সারে প্রতিবছর মারা যায় ১ লাখ ৮ হাজারের বেশি মানুষ। নিজস্ব কোনো পরিসংখ্যান না থাকায় জনস্বাস্থ্যবিদেরা এই তথ্যই ব্যবহার করছেন।
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২ ১৮:৪৫ Asia/Dhaka

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে দ্য গ্লোবাল ক্যান্সার অবজারভেটরি ২০২০ সালে ক্যান্সার বিষয়ে অনুমাননির্ভর এক তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে, বাংলাদেশে প্রতিবছর দেড় লাখ মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আর ক্যান্সারে প্রতিবছর মারা যায় ১ লাখ ৮ হাজারের বেশি মানুষ। নিজস্ব কোনো পরিসংখ্যান না থাকায় জনস্বাস্থ্যবিদেরা এই তথ্যই ব্যবহার করছেন।

সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম অসংক্রামক ব্যাধিবিষয়ক জাতীয় সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছিলেন, দেশে ক্যান্সারে ভুগছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ।

তবে দেশের ক্যান্সার রোগীর তুলনায় চিকিৎসার আয়োজন অনেক সীমিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি ১০ লাখ মানুষের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার কেন্দ্র বা হাসপাতাল থাকা প্রয়োজন। এসব কেন্দ্রে ক্যান্সার শনাক্তসহ ক্যান্সার চিকিৎসার তিন ধরনের (কেমোথেরাপি, সার্জারি ও বিকিরণ চিকিৎসা) পদ্ধতি থাকতে হবে।

দেশে ১৭ কোটি জনসংখ্যার হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী ১৭০টি ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র থাকা দরকার। সরকারি ও বেসরকারি সূত্র বলছে, দেশে ক্যান্সার কেন্দ্র আছে ৩৩টি। এর মধ্যে বিকিরণ যন্ত্র আছে ১৯টিতে।

একদিকে ক্যান্সার রোগীর চাপ, অন্যদিকে দেশে অপর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থা—এমন পরিস্থিতির মধ্যে আজ (শুক্রবার) পালিত হচ্ছে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। এ বছরের প্রতিপাদ্য: 'ক্যান্সার সেবায় বৈষম্য কমান। বেশি মানুষকে সেবা দিতে হবে, সেবার ক্ষেত্রে যেন বৈষম্য না হয়।'

এ উপলক্ষে ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রাজধানীর হাতিরঝিলে একটি নৌ শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, কেবল মাত্র তামাক সেবন থেকে বিরত থাকলে ক্যান্সারের অনেকগুলো ধরন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

মেয়েদের মাঝে ক্যানসারের  প্রকোপ সম্পর্কে রংপুর মেডিকেল কলেজের রেডিওথেরাপি বিভেগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার জাহান আফরোজ বলেছেন,  স্বাস্থ্য সম্পর্কে অসচেতনতা এবং পরিবারের দারিদ্র্যের কারণে অনেকক্ষেত্রে দেরিতে রোগ শনাক্ত হয় বলে মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।  

তাছাড়া,  চিকিৎসা ব্যয়বহুল হবার কারণে এবং চিকিৎসা সুবিধার স্বল্পতার কারণে  অনেক ক্ষেত্রে সঠিক সময় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না।

চিকিৎসকগণ বলছেন, ক্যান্সার জটিল রোগ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসায় দীর্ঘ সময় দরকার হয়। তবে ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়। প্রাথমিকভাবে রোগ শনাক্ত হলে এবং যথাযথ চিকিৎসা হলে মানুষ আরোগ্য লাভ করতে পারে।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।