তেহরানে বাংলাদেশের ৫২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত
(last modified Sat, 26 Mar 2022 11:21:18 GMT )
মার্চ ২৬, ২০২২ ১৭:২১ Asia/Dhaka
  • রাষ্ট্রদূত এ. এফ. এম. গওসোল আযম
    রাষ্ট্রদূত এ. এফ. এম. গওসোল আযম

ইরানের রাজধানী তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ৫২তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। আজ (শনিবার) সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পতাকা উত্তোলন করেন রাষ্ট্রদূত এ. এফ. এম. গওসেল আযম সরকার

'স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য' শীর্ষক আলোচনা সভার আগে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঠানো বাণী পড়ে শোনান যথাক্রমে কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. জুলিয়া মঈন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী।

এক মিনিট নীরবতা পালন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বাণী পড়ে শোনান রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এফ এম কামাল হোসেন এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বাণী পাঠ করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (হিসাব) এস এম সাদিকুল কবির।

কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. জুলিয়া মঈন

তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ. এফ. এম. গওসেল আযম সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের সিনিয়র সাংবাদিক নাসির মাহমুদ, গাজী আবদুর রশীদ ও আবু সাঈদ।

নাসির মাহমুদ

তেহরান প্রবাসী বাঙালিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রেডিও তেহরানের সাবেক কর্মী সৈয়দ মূসা রেজা, ডা. কাজী ইকবাল নেওয়াজ, সিনিয়র সাংবাদিক এজাজ হোসাইন, এস এম মিজানুর রহমান, দূতাবাসের ইরানি কর্মকর্তা সাজ্জাদ জামাল বাছির ও মোহসেন রেজায়ী এবং তেহরান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী গাজী তালহা অর্নিল প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন রেডিও তেহরানের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আমির হোসেন, মুহাম্মদ আশরাফুর রহমান ও মোহাম্মদ বাবুল আকতার।

গাজী আবদুর রশীদ ও ফেরদৌসী সুলতানা পারভীন

অনুষ্ঠানে নিজের লেখা গল্প পরিবেশন করেন ফেরদৌসী সুলতানা পারভীন ও সাংবাদিক গাজী আবদুর রশীদ।  

ওয়ালিদ ইসলাম

দূতালয় প্রধান ওয়ালিদ ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সমাপনী বক্তব্য রাখেন কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. জুলিয়া মঈন এবং রাষ্ট্রদূত এএফএম গাওসেল আযম। রাষ্ট্রদূত সভাপতির বক্তব্যে জাতির পিতা ও স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কৃতজ্ঞতা ও গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন। সেইসঙ্গে স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী ৩০ লাখ শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো মা-বোন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে স্মরণ করেন। যে সমস্ত রাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সমর্থন দিয়েছেন তাদের কথাও উল্লেখ করেন।

রাষ্ট্রদূত এএফএম গাওসেল আযম তার বক্তব্যে স্বাধীনতার অর্ধশত বছরে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশেষকরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সাফল্যগাঁথা এবং উন্নয়নের অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ অনুযায়ী বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সফল হবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তাঁরা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিসহ নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। আজকের অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূতভাবে অংশগ্রহণ করায় রাষ্ট্রদূত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।অনুষ্ঠান শেষে বাংলাদেশি খাবার দিয়ে সবাইকে আপ্যায়ন করা হয়।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৬

ট্যাগ