প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা
'কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটননগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে'
কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটননগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সেখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং দ্বীপাঞ্চলের জীববৈচিত্র্যও রক্ষা করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) আইকনিক ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়ে বলেন, কক্সবাজারকে বিশ্বের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত করা হবে। সে জন্য আমি সবাইকে বিশেষ করে কক্সবাজারবাসীকে অপরিকল্পিত স্থাপনা নির্মাণ না করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে আশপাশের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিশ্চিত করার লক্ষে ইতোমধ্যে একটি মাস্টার প্লান তৈরি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের বিশাল সমুদ্র সীমায় পর্যটনের ক্ষেত্র আরো প্রসারিত করার মাধ্যমে এই জায়গাটাকে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করার উদ্যোগ আমরা নিতে যাচ্ছি।এছাড়া যেহেতু এটা আন্তর্জাতিক এয়ার রুটে পড়ে, তাই কক্সবাজার বিমানবন্দরকে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমান বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সরকারের কাজ চলমান রয়েছে।
এই বিমানবন্দর যখন সম্পূর্ণ হবে তখন পশ্চিমা দেশগুলো থেকে প্রাচ্যে যাতায়াতকারী বিমানগুলো এখান থেকে রিফুয়েলিং করার মাধ্যমে এটি একটি রিফুয়েলিং কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, রিফুয়েলিংয়ে বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময়ে অগ্রাধিকার পায়। এক সময় হংকং ছিল, এর পর থাইল্যান্ড অথবা সিঙ্গাপুর এখন দুবাই। কিন্তু এখন কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিং এর একটি কেন্দ্র।
পাশাপাশি এখানে তার সরকার ক্রিকেট স্টেডিয়াম করেছে, ফুটবল স্টেডিয়ামও করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খেলাধূলা আয়োজনের সব ধরনের ব্যবস্থা এখানে থাকবে। মেরিন ড্রাইভ যেটি কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত করা হয়েছে সেটা একেবারে চট্টগ্রাম পর্যন্ত করা হবে।
আগামী আষাঢ় মাসে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের উপকূলজুড়ে ঝাউগাছ রোপণ করে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝাউগাছ সমুদ্রসৈকতের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি করবে, পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রক্ষাকবচের ভূমিকা পালন করবে।
কক্সবাজার শহরের বাহারছড়াস্থ মুক্তিযোদ্ধা গোলচত্বর মাঠে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, মন্ত্রানলয়ের সচিব মো. শহীদুল্লা খন্দকার ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমেদ বক্তব্য দেন।
পার্সটুডে/ আব্দুর রহমান খান/ বাবুল আখতার/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।