ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষের পর চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জের ধরে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট)। আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আজ (মঙ্গলবার) থেকে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বিকেল বিকেল ৫টার মধ্যে ছেলেদের হল এবং আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১০টার মধ্যে মেয়েদের হল ছাড়তে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের সমন্বয়ে এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই সভা চলে।
এর আগে গত রোববার ও শনিবার ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এক পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসানের অনুসারী। অপর পক্ষটি সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। বাস দেরিতে ছাড়া নিয়ে ওই মারামারির সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে, ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জেরে আজ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে হেলমেটধারীদের টহল দেখা গেছে। আজ ভোর পাঁচটা থেকে সশস্ত্র অবস্থায় হলুদ হেলমেট পরা ১৫-২০ জনের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান করছে। হেলমেটধারী ওই তরুণদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি বিভাগের কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছিলেন।
হেলমেটধারীদের টহল
এর আগে আজ সকাল ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহনের বাস চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশে রওনা দিলে হেলমেটধারীরা বাসগুলো আটকে পুনরায় গ্যারেজে ফেরত পাঠিয়েছেন। দুই পক্ষের মারামারির পর গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ বিভাগের ২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করেছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক রেজাউল করিম হেলমেটধারীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর জন্য চট্টগ্রাম শহর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের ক্যাম্পাসে নিয়ে আসতে যায়। তবে বাসগুলো স্বাধীনতা চত্বরে পৌঁছানোর পর কয়েক তরুণ বাসগুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন। এরা কারা, সেটা আমার জানা নেই। তবে এরা ড. কুদরত-ই-খুদা হলের দিক থেকে এসেছে বলে আমি জানতে পেরেছি।’#
পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।