চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ আরোহী নিহত
বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ (শুক্রবার) বেলা দেড়টার দিকে মিরসরাইয়ের বার তাকিয়া স্টেশনে ঢোকার মুখে রেলক্রসিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মিরসরাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান জানান, হাটহাজারী থেকে আসা ওই মাইক্রোবাসে মোট ১৪ জন ছিলেন, খৈয়াছড়ায় বেড়াতে যাচ্ছিলেন তারা। তাদের মধ্যে ১১ জন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এছাড়া দুইজনকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরোহীদের মধ্যে কেবল একজন অক্ষত আছেন বলে জানান ইউএনও।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, "খৈয়াছড়া এলাকায় রেলওয়ের ওপর দিয়ে একটি সড়ক পথ গেছে। সেখানে রেলওয়ের নিযুক্ত গেটম্যানও আছে। দুর্ঘটনার পরপর গেটকিপারে সঙ্গে কথা বলেছি। গেটকিপার আমাকে জানিয়েছেন, ট্রেন আসার আগেই গেট ফেলা ছিল। কিন্তু মাইক্রোবাসের চালক গেটবারটি জোর করে তুলে রেললাইনে প্রবেশ করেন। এরপর মহানগর প্রভাতী ট্রেন মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।"
তবে, সীতাকুণ্ড রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশ খোরশেদ আলম জানান, সেখানে কোনো লাইনম্যান ছিলেন না। সড়কের ওপর লেভেল ক্রসিংয়ে সিগন্যাল ছিল না। এই কারণে কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই রেললাইনের ওপর উঠে যায় মাইক্রোবাসটি।
পূর্ব রেলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী জানিয়েছেন, "সংঘর্ষের পর মাইক্রোবাসটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে আটকে যায়, ওই অবস্থায় মাইক্রোবাসটিকে প্রায় আধা কিলোমিটার পথ ছেঁচড়ে নিয়ে থামে ট্রেন।"
এদিকে, দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রামমুখী লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহানগর প্রভাতীর যাত্রীরাও সেখানে আটকে থাকেন। এ সময় চট্টগ্রামমুখী বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। তবে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী লাইন খোলা রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় পূর্ব রেলের ডিটিও আনসার আলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৯