জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে ৩ তদন্ত কমিটি
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i114090-জাতীয়_গ্রিডে_বিদ্যুৎ_বিপর্যয়ের_কারণ_অনুসন্ধানে_৩_তদন্ত_কমিটি
বাংলাদেশের জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) নির্বাহী পরিচালক (পি অ্যান্ড ডি) ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগকে আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
(last modified 2025-10-11T13:22:26+00:00 )
অক্টোবর ০৫, ২০২২ ১১:১৮ Asia/Dhaka
  • জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে ৩ তদন্ত কমিটি

বাংলাদেশের জাতীয় পাওয়ার গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা খতিয়ে দেখতে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) নির্বাহী পরিচালক (পি অ্যান্ড ডি) ইয়াকুব ইলাহী চৌধুরীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগকে আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুর ২টার দিকে জাতীয় সঞ্চালন লাইনের পূর্বাঞ্চলে বিভ্রাটের কারণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের অর্ধেক অঞ্চলের বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ধাপে ধাপে বিদ্যুৎ ফেরাতে কাজ শুরু করেন। রাত ১০টার দিকে ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এই দীর্ঘ ৮ ঘন্টায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহান বিদ্যুৎহীন এলাকার মানুষ। মোবাইল নেটওয়ার্কে বিভ্রাট দেখা দেয়। 

এদিকে, বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। রাতে মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিদ্যুৎ বিভাগ ও সংশ্লিষ্টরা কাজ করছে।’

পিজিসিবির একটি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগের কথা জানিয়ে ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গ্রাহকদের ‘একটু ধর্য্য ধরার জন্য’ অনুরোধ করেছেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী রাত ১১টার দিকে তার ফেসবুক পেজে আরেক বার্তায় বলেন, ‘সম্মানিত গ্রাহকবৃন্দ, বিশেষ পরিস্থিতিতে আপনারা ধৈর্য্য ধরেছেন, গুজবে কান দেননি, আপনাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিড ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) নির্বাহী পরিচালক ইয়াকুব এলাহী চৌধুরী বলেন, “যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এধরনের সমস্যা হয়েছে। এক এলাকায় সমস্যা হলে সেটা অন্য এলাকাকেও আক্রান্ত করে। তবে আজকের ক্ষেত্রে কোথায় কী হয়েছে, তা আমরা এখনও বুঝতে পারিনি।”

এর আগে ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। গত আট বছরে ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেও গ্রিড বিপর্যয় হয়েছে।
গত ৭ সেপ্টেম্বরে যে কয়েক ঘণ্টার জন্য গ্রিড বিপর্যয় হয়, তার সুনির্দিষ্ট কারণ ও স্থান নির্ণয় করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।

বার বার কেন এই ধরনের বিপর্যয় হয়- জানতে চাইলে বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, সঞ্চালন লাইনে মাঝে মধ্যেই ছোটখাটো সমস্যা হয় এবং সেটা হতে পারেও। শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এধরনের ঘটনা ঘটছে। এটা ঠেকানোর জন্য আধুনিকায়ন করতে হবে। তখন প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। যান্ত্রিক ত্রুটি কমে যাবে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন কারণে গ্রিড বিপর্যয় হতে পারে। যখন কোনো গ্রিড বিপর্যয় ঘটে, সঙ্গে সঙ্গেই কারণ বলা যায় না। সবগুলো ‘ফ্যাক্টর’ বিশ্লেষণ করে একটা কাছাকাছি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হয়। #

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।