তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি
জনদাবি জোরদার হলেই হতে পারে সংবিধান সংশোধন: অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালে। এখনো অনেক সময় বাকি। তবে কী ধরনের নির্বাচন হবে এ নিয়েই চলছে এখন যত আলোচনা। বিরোধীরা চাইছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকার এ ব্যাপারে একদম অনড়। এবার অবশ্য বিরোধী শিবিরের পাল্লা ভারী। বাংলাদেশে কী অন্য কিসিমের শাসন আসবে নাকি সমঝোতা হবে দু’পক্ষের মধ্যে?
যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে। সেখানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে উচ্ছসিত বিএনপি নেতাকর্মীরা। কিন্তু সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, খুব কমসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি বিএনপির ঐসব সমাবেশে। এমন দোটানা আলোচনার মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া জনসাধারণের। তারা বলছেন, করোনাপরবর্তী অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে বিপর্যস্ত তারা। এমন পরিস্থিতিতে আগামীর রাজনীতির মাঠ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে গরম হয়ে উঠবে কিনা? হলে কেমন হবে পরবর্তী অবস্থা?
এ বিষয়ে জানতে রেডিও তেহরান থেকে আমরা কথা বলেছি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হকের সঙ্গে। তিনি রেডিও তেহরানকে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি দাবি এখন আর বিএনপি কিংবা সরকারবিরোধী অন্যকোন রাজনৈতিক দলেরই দাবি- এমনটা না। এটা এখন সাধারণ মানুষের দাবি। তাই সরকারের উচিত হবে দ্রুত এই দাবি মেনে নেয়া। নইলে আগামীতে পরিস্থিতি খারাপ হলে সে দায় থাকবে সরকারের।
এদিকে, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম রেডিও তেহরানকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাখ্যা দিচ্ছেন সংবিধান লংঘন করে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিতে যেতে চান না। কিন্তু ১৯৯৪-৯৫ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে ছিল না, কিন্তু তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ঢুকানোর জন্য আন্দোলন করেছিল। সেই আন্দোলনের উত্তাপের কাছে তৎকালীন বিএনপি সরকার আত্মসমর্পন করেছিল। ফলে ১৯৯৬ সালে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আসে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরই অধীনে।
এমন প্রেক্ষাপটে এখন জনদাবিকে বাস্তবায়নের জন্য কঠোর আন্দোলন জরুরি বলে মনে করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ। #
পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/১৭