কমছে আবাদি জমি, বাড়ছে খাদ্য চাহিদা: সমৃদ্ধ আগামী রক্ষায় কৃষিজমি বাঁচানোর পরামর্শ
(last modified Mon, 05 Dec 2022 12:09:18 GMT )
ডিসেম্বর ০৫, ২০২২ ১৮:০৯ Asia/Dhaka

বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়েছে। 'মাটি: খাদ্যের সূচনা যেখানে' প্রতিপাদ্যে দিবসটিতে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

উদ্ভিদের জন্ম বৃদ্ধিতে ও মানবকল্যাণে মৃত্তিকার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিতেই বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস নির্ধারণ করা হয়। মৃত্তিকার সঠিক পরিচর্যার গুরুত্ব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মৃত্তিকা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন (আইইউএসএস) ২০০২ সালে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালনের প্রস্তাব উত্থাপন করে। পরে এটি জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সংস্থার অনুমোদন লাভের পর প্রতিবছর ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদযাপিত হয়।

কিন্তু প্রযুক্তি আর উন্নয়নের বাংলাদেশে কেমন আছে প্রিয় মৃত্তিকা সেই খোঁজ আজ ক’জনেই বা রাখেন। বহুজাতিক কোম্পানির বর্ণিল মোড়কের আড়ালে বাণিজ্যিক পরিকল্পনার ‘স্লো পয়জনিং’–এ প্রতিনিয়ত নীল হয়ে যাচ্ছে প্রিয় ধরিত্রী। বাংলাদেশে বর্তমানে ফসলি জমি প্রায় ৭ দশমিক ২৯ মিলিয়ন হেক্টর। পৃথিবীর মোট ভূখণ্ডের প্রায় ১০ শতাংশ জায়গায় ফসল আবাদ হলেও বাংলাদেশের মোট আয়তনের প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে চাষাবাদ করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিক্স বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. হাসনিন জাহান রেডিও তেহরানকে বলেন, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার দক্ষতা পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। নিবিড় চাষাবাদের হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে একেবারে প্রথম সারিতে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও নগরায়ণের জন্য মাটির ওপর চাপ বেড়েই চলেছে। আবাদি জমি কমে যাচ্ছে অব্যাহতভাবে। শিল্পায়ন ও নগরায়ণের ধোয়া তুলে, সমৃদ্ধ আগামীর কথা বলে তিন ফসলি কৃষিজমি চিরদিনের জন্য চলে যাচ্ছে শিল্পপতিদের উদরে। তবে কৃষিজমি নিয়ন্ত্রণে সরকারের আইন থাকলেও তার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

এদিকে, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য জোগাতে মাটি আজ ক্লান্ত। নিখুঁত ও দক্ষ নীতি-কৌশল নিয়ে না এগোলে চরম সংকটে পড়তে পারে মৃত্তিকাকেন্দ্রিক বাংলার কৃষি অর্থনীতি, জীবন ও জীবিকায়ন।

এ বিষয়ে জানতে কথা হয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: রফিকুল ইসলাম রেডিও তেহরানকে বলেন, বাংলাদেশের মৃত্তিকার ‘কার্বন ক্রেডিট ভ্যালু’ কত, কেউ কি হিসাব করেছেন? নিবিড় চাষাবাদের ফলে মৃত্তিকা কার্বন হ্রাস পাচ্ছে অব্যাহতভাবে। জৈব পদার্থের আশঙ্কাজনক মাত্রাতেও থেমে নেই নিষ্ঠুর পীড়ন। তাই পুষ্টি ও জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ ‘টপ সয়েল’ রক্ষায় এখনই আমাদের ভাবতে হবে বলে জানান এ মৃত্তিকা বিজ্ঞানী। #

পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ