জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ ১৮:৫১ Asia/Dhaka

বাংলাদেশে সম্প্রতি শিল্পখাতে বাল্ক পর্যায়ে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। এর ফলে উৎপাদনেও দাম বাড়বে। যার নেতিবাচক প্রভাব ইতোমধ্যে শিল্প কারখানায় পড়তে শুরু করেছে।

উদ্যোক্তারা বলছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে তারা বিষয়টি অবগত। কারণ এ মূল্যবৃদ্ধির আগে সরকার উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিল। তারা সরকারকে বলেছিলেন গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে ২৫ টাকা করলে আপত্তি নেই। তবে গ্যাস সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে হবে। তা না হলে শিল্পে বড় ধরণের সমস্যা তৈরি করবে। কিন্তু গ্যাসের দাম দাম বাড়লেও গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি এখনো কমেনি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাষ্ট্রিজ সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ রেডিও তেহরানকে বলেন, একলাফে গ্যাসের দাম এতটা বৃদ্ধি করায় উৎপাদন সক্ষমতা হারাবে কারখানাগুলো। ফলে কাজের পরিসর কমবে, শ্রমিক ছাটাইয়ের মত ঘটনাও ঘটবে আগামীতে, এমন শঙ্কা এ ব্যবসায়ী নেতার।

আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ

তিনি আরো বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিটের প্রসেসিং ব্যয় বাড়বে ১৫ শতাংশ। এর প্রভাবও পড়বে উৎপাদনের ওপর। অথচ রপ্তানি আদেশে বাড়তি অর্থ নেয়ার সুযোগ নেই, ফলে বিকল্প সোর্সিংয়ে চলে যাবে রপ্তানি বাজার। এতে কার্যাদেশ হারানোরও আশঙ্কা রয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এমনিতেই উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সেটা এয়ারফ্রেইট হোক আর শিপপ্রেইট হোক-উভয় খরচ বেড়েছে। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধিতে সমস্যা প্রকট করে তুলেছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে। ডাইস কেমিকেল থেকে শুরু করে সব ধরণের মেটা রিয়ালের দাম বেড়েছে। তারপর যদি গ্যাসের বিল বৃদ্ধির কারণে কস্ট অব ডুইং বাড়ছে। যদিও এ সমস্যা বিশ্বজুড়ে। এর প্রভাব পড়েছে মূল্যস্ফীতিতে।

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে রপ্তানি বাণিজ্য ঝুঁকি তৈরি হবে বলে মনে করেন ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, যেভাবেই বাড়ুক, খরচ বৃদ্ধির কারনে সংকট তৈরি হচ্ছে এটাই রুঢ় বাস্তবতা। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি সরবরাহ নির্বিঘ্ন করার দাবি এ ব্যবসায়ী নেতার।   

তিনি আরো বলেন, আশপাশের দেশের তুলনায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা বাড়তি চাপে আছে। দাম বাড়িয়ে শতভাগ সরবরাহ নিশ্চিত করা হলেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যেত বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা।

উদ্যোক্তারা বলছেন, এখন প্রয়োজন মতো গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, না হলে বড় ধরনের সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। এতে পুরো উৎপাদনে ঝুঁকি তৈরি হবে। ফলে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রপ্তানি আয়ে। #

পার্সটুডে/নিলয় রহমান/আশরাফুর রহমান/২৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ