বাংলাদেশে দূষণ বন্ধে ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারি তৎপরতা জোরদার 

বেশি দূষিত শহরের তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা প্রায়ই দখল করে শীর্ষ স্থান। যা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যখাতের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি বহির্বিশ্বে দেশের সুনামকেও করছে ক্ষতিগ্রস্ত।

চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হওয়ায়র তালিকায় বিশ্বের মধ্যে ঢাকার  অবস্থান দাঁড়ায় পঞ্চমে। বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি-প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এই তালিকা প্রকাশ করে।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্য-ঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

একিউআই স্কোর ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য-সতর্কতাসহ জরুরি অবস্থা বিবেচনা করা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ পরিমাণে বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্য-ঝুঁকি তৈরি করে।

এমন পরিস্থিতিতে নড়ে চড়ে বসেছে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার বায়ুদূষণ রোধে সরকার ঘোষিত বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে রাজধানী ঢাকা ও আশেপাশের ৫ স্থানে। মোবাইল কোর্ট পরিচালিত করে এ অভিযানে পরিবেশ দূষণের দায়ে মোট ২৬টি যানবাহনকে ৮৫ হাজার টাকা এবং ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে যা যা করা দরকার সরকার তা করবে। জনগণ যাতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বসবাস করতে পারে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে এখন। সরকার জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বায়ু-দূষণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে আগামীতেও।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ জানান, বায়ু-দূষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিকে সকল ডিসিদের আহবান জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় যাতে স্ব স্ব দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে এ জন্য ২ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে এক বিশেষ সভাও আহবান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

আজ এ অভিযানের অংশ হিসেবে ঢাকা বাইপাস এক্সপ্রেসওয়ে এবং বিআরটি মহাসড়ক নির্মাণকারী ০২টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। সাভার এলাকায় মোবাইল কোর্টে যানবাহনের মাত্রাতিক্ত হর্ন দ্বারা শব্দ দূষণের দায়ে ৪টি যানবাহন হতে মোট ১১ হাজার টাকা এবং যানবাহনের কালোধোঁয়া দ্বারা বায়ুদূষণের দায়ে ৪টি যানবাহন হতে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। #

পার্সটুডে/নিলয়/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।