এফডব্লিউসিএমএস পদ্ধতি পরিবর্তনের আভাস
মালয়েশিয়ায় বিদেশিকর্মী নিয়োগের কোটা স্থগিত; উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের কর্মীরা
মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক আবেদনের কোটা অনুমোদন স্থগিত করেছে দেশটির সরকার। বিদেশি কর্মী কর্মসংস্থান শিথিলকরণ পরিকল্পনাসহ (পিকেপিপিএ) বিদেশি কর্মীদের জন্য কোটার আবেদন এবং অনুমোদন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিদেশি কর্মীদের অনুমোদন স্থগিত করেছে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ, ফিলিপাইন, নেপালসহ সোর্সকান্ট্রিভুক্ত ১৫টি দেশের শ্রমিকদের জন্য কোটার আবেদন ও অনুমোদন গতকাল থেকে স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। শনিবার মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমারের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয় বলে খবর প্রকাশ করেছে দেশটির ইংরেজি দৈনিক মালয় মেইল।
প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সেক্টর থেকে বিদেশি কর্মীদের জন্য ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৯৬টি কর্মসংস্থানের কোটা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন দেয়ার পরপরই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বলা হয়, পিকেপিপিএ উৎপাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি এবং পরিষেবা খাতে কোটা অনুমোদনের সংখ্যা বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিদেশি শ্রমিকদের জন্য যে সংখ্যক কোটা অনুমোদন দেয়া হয়েছে, তাতে গুরুত্বপূর্ণ খাতসহ শিল্পকারখানায় এসব কর্মীকে দিয়ে শ্রমের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে মানবসম্পদ মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ার নিয়োগদাতারা বাংলাদেশ থেকে ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩ জন কর্মী নিতে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন পেয়েছেন। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের জন্য এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৩টি কোটার অনুমোদন দিয়েছে। এর বিপরীতে গত ৫ মার্চ পর্যন্ত বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন ১ লাখ ২১ জন কর্মী।
এদিকে, আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ফরেন ওয়ার্কার্স সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফডব্লিউসিএমএস) পদ্ধতিতে পরিবর্তন হওয়ার আভাস পাওয়া গেছে। এর ফলে নতুন কোনো সিস্টেমে মালয়েশিয়া সরকার শ্রমিক নেয়ার কার্যক্রম শুরু করতে পারে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের বিভিন্ন জনশক্তি রপ্তানিকারক ও অভিবাসন প্রত্যাশিরা। তবে জনশক্তি রপ্তানীকারকদের সংগঠন বায়রার প্রেসিডেন্ট আবুল বাশার বলেছেন, এসব নতুন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের কর্মীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক আই্ওএম কর্মকর্তা আসিফ মুনীর বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ মালয়েশীয়া শ্রমবাজারের সংকট সমাধানে সরকারকে এখনি উদ্যোগী হতে হবে। নইলে খানিকটা ঝুঁকির শংকা এই অভিবাসন বিশেষজ্ঞর। #
পার্সটুডে/বাদশাহ রহমান/আশরাফুর রহমান/২০