ব্যবসায়ীদের সব পুড়ে ছাই
বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, সেনা ও বিমানবাহিনী
বাংলাদেশের রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবাজারে লাগা আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বঙ্গবাজারের বঙ্গমার্কেটে লাগা আগুন পাশের এনেক্সকো টাওয়ারেও ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪৭টি ইউনিট। এছাড়া, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্মিলিত সাহায্যকারী দল ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার কাজ করছে।
আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ড শুরুর পরপরই সেনাবাহিনীর সম্মিলিত সাহায্যকারী দল সেখানে কাজ করছে। এর পাশাপাশি সেখানে বিমানবাহিনীর একটি সাহায্যকারী দল ও একটি হেলিকপ্টার কাজ করছে।
আজ (মঙ্গলবার) সকাল ছয়টা দশ মিনিটে আগুনের ঘটনা জানার পর ঢাকা এবং আশেপাশের জেলার সবগুলো ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট সেখানে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছে। কিন্তু বাতাসের মধ্যে ঘিঞ্জি ওই মার্কেটের আগুন তিন ঘণ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। বরং আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরও কয়েকটি মার্কেটে। এনেক্সকো টাওয়ার থেকেও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ওই মার্কেটে আগুন লাগার খবর পান তারা। ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের পাশেই হওয়ায় দুই মিনিটের মধ্যে সেখানে প্রথম ইউনিট পৌঁছায়।
এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ইউনিটের সংখ্যা। কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না হওয়ায় ঢাকায় ফায়ার সার্ভিসের অধিকাংশ ইউনিটকে সেখানে ডাকা হয়। বহু দূর থেকেও বঙ্গবাজারের আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়। বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকেও আগুনের ওপর পানি ছিটানো হয়।

ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সকালে ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের কাউকে কাউকে মরিয়া হয়ে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে দেখা যায়। অনেকেই অসহায়ভাবে কাঁদছিলেন। একজন বলছিলেন কয়েক লাখ টাকার মাল তিনি দোকানে তুলেছিলেন ঈদ সামনে রেখে।
মাত্র ২ বছর আগে পোশাক ব্যবসার মাধ্যমে ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ৪০ লাখ টাকা দিয়ে বঙ্গবাজারে একটি দোকান ভাড়া নেন ইব্রাহিম। আসন্ন ঈদের আগে নতুন মালামালসহ তার দোকানে ২০ লাখ টাকার বেশি মূল্যের মালামাল ছিল। কিন্তু, আজ সকালের আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৪