অসাধু ব্যবসায়িদের ওপর থেকে সরকারের আর্শিবার্দের হাত সরানোর দাবী বিশ্লেষকদের
ঈদ উৎসবে নিত্যপণ্যের দাম চড়া; অনৈতিক ব্যবসায়িক মূল্যবোধের কুফল
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ঈদ, পূজা কিংবা যে কোন উৎসব-পার্বণে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয় নিত্যপণ্যে ও অন্যান্য সামগ্রীতে। দাম কমানো হয় পণ্যসামগ্রীর। সে তুলনায় ভিন্ন চিত্র ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে। এখানে উৎসব-পার্বণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ যেন অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে।
ভোক্তার পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারী করার নানা অপকৌশলে ব্যস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসাধু ব্যবসায়ীদের যে কারসাজি শুরু হয়েছে, তা নিতান্তই অন্যায়, অনৈতিক ও অযৌক্তিক। তারপরেও নীতি নির্ধারক মহল এই কঠিন সময়ে একেবারেই চুপ, দেখানো দায়িত্বের নামে কিছু ভোক্তা অধিকারের অভিযানেই সন্তুষ্টি খুজতে হয় ভোক্তাদের।
যে দেশের ১৮ কোটি মানুষের করের টাকায় সব সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মীর বেতন ভাতা ও যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। শুধুমাত্র গুটিকয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের করের কাছে সেখানে সরকার কিভাবে জিম্মি থাকে সেটাই ভাবনার বিষয় বলে মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা। এই পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দাম বেড়েছে বিভিন্ন পণ্যের। পরিবহন ভাড়া দৃশ্যমান বৃদ্ধির বাইরে টিকিটে না লিখেও বাড়তি ভাড়া আদায় করছে পরিবহন শ্রমিকরা। জিম্মিদশায় নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরত মানুষ গুলোর দুর্ভোগও চরমে।
এখানে বাড়তি মুনাফায় ভোক্তার পকেট কেটে পকেটস্থ করার দুরভিসন্ধিতে ভোক্তাদের জিম্মি করে পণ্যের দাম বাড়ানো হয়, যা ব্যবসায়িক নীতি নৈতিকতা পরিপন্থী ও অগ্রহণযোগ্য হলেও এটিই এখন রীতিতে পরিণত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, করোনা অভিঘাত মোকাবিলা পরবর্তী সময়ে মানুষের আয় ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের মধ্যে একটা বড় ব্যবধান তৈরী হয়েছে। একারণে দৃশ্যত বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি, অভাব না থাকলেও মানুষ তা কিনতে পারছে না। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বা সামর্থ্যের অভাবই এখানে প্রধান। আর উৎসব পার্বনকে উপলক্ষ্য করে যারা প্রতিনিয়ত এধরনের কাজ করে যাচ্ছে তাদের ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। কারন প্রকারান্তরে সরকারই তাদের কাছে জিম্মি।
ইসলামের বিধানে শতভাগ শত পেশা হিসেবে ব্যবসায় মূল্যায়ন করা হলেও, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আজ তাদের অনৈতিক মূল্যবোধের কারনে এই পেশাকে কলুষিত করছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির। তিনি বলেন, এই অসাধু চক্র সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সরকারের নীতি নির্ধারনী মহলের আর্শিবাদের হাত না সরলে ভোগান্তি মুক্তির সম্ভাবনা কম বলেই মনে করেন শহিদুল ইসলাম কবির। #
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/রেজওয়ান হোসেন/২৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।