নিত্যপণ্যের বাজারদর
সবজির দাম কমলেও বেড়েছে মুদি পণ্যের দাম; নিম্নবিত্তের নাগালে নেই ইলিশ
হেমন্তের দ্বিধা জড়ানো প্রকৃতিতে শীত আসি আসি করছে। তবে তার অগ্রদূতেরা আগেভাগেই চলে এসেছে সদর্পে। প্রকৃতিতে তার আগাম আলোড়ন। বাজারে এসেছে শীতের সবজি। মহানগরের কাঁচাবাজারে সাজানো থরে থরে আঁটি বাঁধা তরতাজা পালংশাক, পুঁইশাক, লালশাক। শিম, কপি, রাঙা টমেটো, সাদা মুলা, লাউ, বরবটি, রক্তিম বিট আরও অনেককিছু। তবে দাম এখনো অনেকটাই বেশি।
যদিও হরেক রকম শীতের সবজিতে বাজার ভরে ওঠায় অন্তত পাইকারি পর্যায়ে দাম কিছুটা কমেছে। তবে হরতাল-অবরোধের প্রভাবে খানিকটা ক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা। দামের প্রভাবের চেয়ে ক্রেতা কমে যাওয়ার অভিযোগ তাদের।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে খোলা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায়। আর প্যাকেজাত সাদা চিনির দাম ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। এসব চিনির দাম কয়েক সপ্তাহ আগেও ১৪০ টাকার মধ্যে ছিল।
দোকানিরা বলছেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কোম্পানি মালিকরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আবার দাম বাড়িয়েও কোম্পানি মালিকরা সরবরাহ করছেন না পন্য।
এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চিনি, সয়াবিন ও আটার দাম। অন্যান্য মাছের দাম কমলেও বেড়েছে ইলিশের দাম। পণ্যমূল্য সহনীয় রাখার দাবি নিম্নআয়ের মানুষের।
নতুন আলু বাজারে আসায় দাম কমেছে পুরনো আলুর। তবে আটা, চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। বেড়েছে ইলিশের দাম। তবে অন্যান্য মাছের দাম কমেছে কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পরযন্ত। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম পেঁয়াজ গরু খাসি ও ব্রয়লার মুরগীর দাম। নিত্যপণ্যের দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনার দাবি সাধারণ মানুষের। পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে বাজার মনিটরিং জোরদার করার তাগিদ ভোক্তাদের।#
পার্সটুডে/বাদশা রহমান/আশরাফুর রহমান/২৪