ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’: মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম বন্দরে মহাবিপদ সংকেত
(last modified Sat, 09 Nov 2019 06:19:43 GMT )
নভেম্বর ০৯, ২০১৯ ১২:১৯ Asia/Dhaka
  • ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’: মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম বন্দরে মহাবিপদ সংকেত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সর্তকর্তা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

আজ (শনিবার) সকাল ৯টায় আবহাওয়া দপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এরই মধ্যে গতিবেগ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর। গতকাল সন্ধ্যায় গতিবেগ ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার ছিল, এখন সেটি ১৩০ কিলোমিটারে গিয়ে ঠেকেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে ৫ থেকে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বুলবুল আরো ঘণীভূত হয়ে উত্তর- উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এটি আজ সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।’

আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের পক্ষ থেকে শনিবার সকাল ৯টায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ ভোররাত ৩টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরায় দ্বীপ এবং চরসমূহ ১০ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরের দ্বীপ এবং চরসমূহের জন্য ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার থাকবে, যেটি ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ধ্যা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল দিয়ে অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান শুক্রবার জানিয়েছেন, বুলবুল মোকাবিলায় সরকার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। উপকূলীয় এলাকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে এবং ১৩টি জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে এসব এলাকার লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে নৌবাহিনী জানিয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি এবং বরগুনা এলাকায় উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য খুলনা বিএনএস তিতুমীরে পাঁচটি উদ্ধারকারী জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।