অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট: রাজধানীর সঙ্গে ৪৩ পথে নৌযান চলাচল বন্ধ
https://parstoday.ir/bn/news/bangladesh-i75570-অনির্দিষ্টকালের_ধর্মঘট_রাজধানীর_সঙ্গে_৪৩_পথে_নৌযান_চলাচল_বন্ধ
বাংলাদেশে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে  রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৩টি নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের সাথে যুক্ত হয়েছে পণ্য পরিবহন সংকট। রাজধানীর কাঁচাবাজারে মাছ, সব্জি ও তরিতরকারী সরবরাহের ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
(last modified 2025-09-26T18:07:30+00:00 )
নভেম্বর ৩০, ২০১৯ ১২:৫৮ Asia/Dhaka
  • সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল
    সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল

বাংলাদেশে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে  রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৩টি নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রীদের দুর্ভোগের সাথে যুক্ত হয়েছে পণ্য পরিবহন সংকট। রাজধানীর কাঁচাবাজারে মাছ, সব্জি ও তরিতরকারী সরবরাহের ক্ষেত্রে এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

নৌযান শ্রমিকদের আটটি সংগঠনের জোট বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এর ডাকে নিয়োগপত্র ও খোরাকিসহ ১১ দফা দাবিতে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই ধর্মঘট কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, নৌযান মালিক ও সরকার বারবার ওয়াদা ভঙ্গ করায় তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছেন। এবার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন না।

তাদের এগারো দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা প্রদান, মাস্টারশিপ পরীক্ষায় অনিয়ম বন্ধ করা, নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধ করা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের 'হয়রানি' বন্ধ করা। এসব দাবিতে গত জুলাইয়েও অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছিল নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এবং জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন।

চাঁদপুর ঘাটে লঞ্চের অপেক্ষায় যাত্রীরা

গত ১২ নভেম্বর রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দাবি আদায়ে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ধর্মঘটের আলটিমেটাম দেয় নৌ-শ্রমিক, কর্মচারীদের সংগঠনগুলো।

অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের মূল দাবিগুলো মেনে নিয়ে লঞ্চ মালিকরা ২০১৬ সালে পাঁচ বছর মেয়াদি চুক্তি করেছিলেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ধর্মঘট অযৌক্তিক।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহ আলম ভূঁইয়া বলেন, ২০১৮ সালের আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত তারা তিনবার ধর্মঘটে গেছেন। প্রতিবারই শ্রম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করানো হয়।

 তিনি বলেন, এবারও ধর্মঘট বন্ধ করতে গত বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সভা হয়। সেখানে অয়েল ট্যাঙ্কার মালিক ছাড়া অন্য নৌযানের মালিক প্রতিনিধিরা আসেননি। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেডারেশনভুক্ত সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা হয়। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে- যাত্রীবাহীসহ সব নৌযানের মালিক-প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছাড়া শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো ধরনের বৈঠক হবে না। এছাড়া শ্রমিকরাও কোনো আশ্বাস মানবেন না।

শ্রমিক ফেডারেশনের নেতা শাহ আলম আরো জানান, তাদের ১৫ দফা দাবি পাঁচ বছরের মধ্যে বাস্তবায়নে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু গত তিন বছরে বেতন স্কেল ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করা ছাড়া বাকি ১৪ দাবির কোনটিই পূরণ করা হয়নি।#

পার্সটুডে/আবদুর রহমান খান/আশরাফুর রহমান/৩০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।