বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী হত্যা: চালক, হেলপারসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বাংলাদেশের রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাস চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় জাবালে নুর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং পলাতক হেলপার কাজী আসাদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আর জাবালে নূর বাসের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও আরেক হেলপার এনায়েত হোসেন খালাস পেয়েছেন।
আজ (রোববার) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে পুরাতন দণ্ডবিধি অনুযায়ী। ঘটনাটির সময়কাল অনুযাযী নতুন সড়ক পরিবহন আইন প্রয়োগ করা হয়নি।
সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল জানান, এ মামলায় মোট ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ৩৭ জনকে আদালতে হাজির করে। রায় ঘোষণা উপলক্ষে গ্রেপ্তার চার আসামিকে কারাগার থেকে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়।
গত ১৪ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের প্রতিযোগিতায় নিহত হন শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মীম ও আবদুল করিম রাজীব।
এ ঘটনায় নিহত মীমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট জমা দেয়া হয়। ছয় আসামির মধ্যে জাবালে নূরের মালিক জাহাঙ্গীর আলম, দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং তাদের সহকারী এনায়েত হোসেন কারাগারে রয়েছে। আরেক মালিক শাহাদাত হোসেন জামিনে রয়েছে। পলাতক আছেন সহকারী কাজী আসাদ।
অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যান জাবালে নূরের মালিক শাহাদাত হোসেন। তার পক্ষে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ আসে। বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলে।
দুর্ঘটনার পরপরই সহপাঠীদের মৃত্যুর বিচার চেয়ে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা। সে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে রাজধানীজুড়ে। একপর্যায়ে তা হয়ে দাঁড়ায় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর আন্দোলন। সে আন্দোলনে সমর্থন দেন সর্বস্তরের মানুষ। যার প্রেক্ষিতে নতুন সড়ক পরিবহন আইনের গেজেট প্রকাশ করে সরকার।#
পার্সটুডে/শামস মণ্ডল/আশরাফুর রহমান/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।