গাজার নিয়ন্ত্রণ এখন হামাসের হাতে, মানুষও সন্তুষ্ট: ইসরায়েলি গণমাধ্যমের স্বীকারোক্তি
-
গাজার নিয়ন্ত্রণ এখন হামাসের হাতে
পার্সটুডে- ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো স্বীকার করেছে, ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজায় শক্তিশালীভাবে ফিরে এসেছে।
পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নিরাপত্তা রিপোর্টগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, হামাস নিজেদের প্রতিষ্ঠান ও পুলিশ বাহিনী পুনর্গঠনের মাধ্যমে গাজার প্রায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে; বিষয়টি দখলদার সেনাবাহিনীর মতে, যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল-থার্টিন জানিয়েছে, তাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো মন্ত্রিসভার কাছে যে তথ্য উপস্থাপন করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে হামাস গাজা উপত্যকায় তাদের প্রশাসনিক ও পুলিশি কাঠামো পুনর্গঠন করছে।
এসব মূল্যায়ন অনুযায়ী, গাজার ২৫টি পৌরসভার মধ্যে ১৩টিই কার্যক্রম শুরু করেছে পুরোদমে; হামাসের অধীনস্থ পুলিশবাহিনী পুনরায় মোতায়েন হচ্ছে ও অভ্যন্তরীণ চেকপোস্ট স্থাপন করছে।
'আরব ৪৮' ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এই বলে সতর্ক করেছেন যে, হামাস গাজায় বিস্তৃত এলাকায় “প্রায় পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ" নিয়ে ফিরে এসেছে এবং তাদের সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করছে। গত সপ্তাহে মার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এই রিপোর্ট করেছে যে, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামাসের জনপ্রিয়তা বেড়েছে এবং এটাকে গাজা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পত্রিকাটির মতে, নিরাপত্তা এই পরিবর্তনের একটি প্রধান কারণ। গত মাসে অস্ত্রবিরতি স্থিতিশীল হওয়া ও ইসরায়েলি বাহিনী পিছিয়ে আসার পর আবার হামাসের সদস্যদের রাস্তায় দেখা যায়, তারা পুলিশ ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে টহল দিচ্ছে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার জনগণ অপরাধ ও লুটপাটের হার কমে যাওয়াকে স্বাগত জানাচ্ছে। এ বিষয়ে গাজা শহরের ব্যবসায়ী হাজিম সারুর বলেছেন, “আমরা নিরাপত্তার ভাঙন দেখেছি, যার সঙ্গে ছিল চুরি, দাঙ্গাবাজি ও আইনহীনতা। হামাস ছাড়া কেউ তা থামাতে পারে না, এ কারণেই মানুষ তাদের সমর্থন করে।”
কূটনৈতিক ক্ষেত্রে হামাসের সক্রিয় উপস্থিতি
মিসর, কাতার ও তুরস্কের প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার কায়রোতে একত্রিত হয় দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য। এগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি গাজায় অস্ত্রবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারী দেশ। মিসরের গোয়েন্দা বিভাগের ঘনিষ্ঠ গণমাধ্যম জানিয়েছে, এ বৈঠকটি মিসর ও তুরস্কের গোয়েন্দা প্রধান এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় ধাপ সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা জোরদার করার পথগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।#
পার্সটুডে/এসএ/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন