পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতি
দুদকের ৩ মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছরের কারাদণ্ড
-
শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের পূর্বাচল প্রকল্পে প্লট জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা তিনটি মামলায় দেশটির ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, দুদকের তিনটি মামলার প্রতিটিতে আদালত সাত বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তিন মামলার পৃথক দুটিতে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তিনটি মামলাতেই গৃহায়নের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার খালাস পেয়েছেন। অন্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে।
এই তিন মামলা বাদ দিলে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আরেকটি দুর্নীতি মামলার রায় আগামী ১ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হবে।
প্রসিকিউশন জানায়, হাসিনা, তার ভাগ্নি আজমিনা সিদ্দিক ও টিউলিপ এবং ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও দুটি দুর্নীতির মামলা এখন একই আদালতে বিচারাধীন।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, তিনটি মামলার আসামি টিউলিপ তার ক্ষমতা অপব্যবহার করে রেহানা, ববি এবং আজমিনার জন্য প্লট পাইয়ে দিয়েছেন।
পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের আওতায় প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে তাদের ঢাকা সমন্বিত জেলা অফিস-১-এ ছয়টি পৃথক মামলা দায়ের করে।
দুদকের অভিযোগ, রাজউকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে শেখ হাসিনা তার ছেলে জয়, পুতুল, বোন শেখ রেহানা, তার ছেলে ববি এবং মেয়ে আজমিনার জন্য পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক অঞ্চলে অবৈধভাবে ১০ কাঠার ছয়টি প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ নিয়েছেন, যদিও বিদ্যমান বিধি অনুসারে তারা এর যোগ্য ছিলেন না।
২৫ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ছয়টি অভিযোগপত্র দাখিল করে। ছয়টি মামলাতেই হাসিনাকে সাধারণ আসামি করা হয়েছে। পরে ৩১ জুলাই হাসিনা, রেহানা, জয়, পুতুল, ববি, টিউলিপ এবং আজমিনাসহ ২৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।#
পার্সটুডে/জিএআর/২৭