গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট পরীক্ষার অনুমোদনের সংবাদ সঠিক নয়: ঔষধ প্রশাসন
-
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ ‘জি র্যাপিড ডট ব্লট’ কিটের পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেয়নি ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। বরং এই কিটের কার্যকারিতা যাচাইয়ের জন্য দুটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভ্রান্তি নিরসনে সরকারি সংস্থাটির পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ মর্মে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে যে, মেসার্স গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কর্তৃক উদ্ভাবিত GR Covid-19 Rapid Dot Blot Immunoassay কিটের পরীক্ষার জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর কর্তৃক অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে; যা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা (Performance Trial) করার জন্য সব নিয়ম মেনে ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত CR0-3: ICDDRB এবং CR0-10: BSMMU কর্তৃক সম্পন্ন করার জন্য গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব পারফরম্যান্স ট্রায়াল শেষে প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

একই দিন বিকেলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কিট পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) অথবা আইসিডিডিআর,বির যে কোন একটিতে পরীক্ষা করার কথা বলেছে।’
গণস্বাস্থ্যের করোনা কিট পরীক্ষা নিয়ে গত কয়েকদিনের বিতর্কের পর এটিকে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে মন্তব্য করেন তিনি।
এরপর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, বিএসএমএমইউ বা আইসিডিআির,বি এ কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার পর অনুমোদনের সুপারিশ করলে তাঁরা কিটটি বিপণনের অনুমতি দেবেন।

গত শনিবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা শনাক্তকরণ কিট সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে চেয়েছিল। তবে ওই অনুষ্ঠানে সরকারের কোনো প্রতিনিধি হাজির হন নি। পরে অনুমোদনের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে নিয়ম অনুযায়ী কন্ট্র্যাক্ট রিসার্চ ফার্মের (সিআরও) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঔষধ প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে বলেন, জনগণের নিকট কম মূল্যে করোনা শনাক্তকরণ কিটের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় তারা অসহযোগিতা করছে। তিনি এটাও বলেছেন, 'গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কাউকে ঘুষ দিয়ে তাদের কিটের অনুমোদন নেবেন না, তাতে কিট বাজারে আসুক বা না আসুক।' এ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে পরস্পরকে দায়ী করেছে। আর বিষয়টি বিভিন্ন মহলে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/আবদুর রহমান খান/১
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।